ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) বীর্যপাতের ফলে শরীর নাপাক হলে এই নাপাক শরীরে নাপাক কাপড় পরিষ্কার করলে সেই কাপড় পবিত্র হবে।
(২) ফরজ গোসলের সময় যদি কেউ প্রথমে হাত ধৌতত করে,তারপর লজ্জাস্থান ধৌতত করে হাত পরিষ্কার করে.তারপর অযুর মত করে শুধু পা ধৌত করা ব্যতিত গোসল করে, এখন যদি এর মাঝে কোনো কারণে লজ্জাস্থানে হাত লাগে তাইলে আবার প্রথম থেকে ফরজ গোসল করতে হবে না।
গোসলের সুন্নাত ১২ টি।
(১)বিসমিল্লাহ পড়ে শুরু করা।
(২)নিয়্যাত করা।
(৩)দুনু হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
(৪)নাপাক যদি শরীরের কোথাও লেগে থাকে, তা ধৌত করা।
(৫)লজ্জাস্থান ধৌত করা।
(৬)এরপর গোসলকারী ব্যক্তি নামাযের ওজুর মত ওজু করবে,
(৭)অতঃপর শরীরে তিনবার পানি ঢেলে দিবে।য
দি কেহ বহমান পানিতে অথবা এ পরিমাণ পানিতে ডুব দেয়,যা বিধানের ক্ষেত্রে বহমান পানির তুল্য,এবং কিুছুক্ষণ তাতে অবস্থান করে নেয়, তবে সে গোসলের সমস্ত সুন্নাত আদায়কারী বলে গণ্য হবে।
(৮)মাথা থেকে পানি ঢালতে শুরু করবে।
(৯)তারপর ডান কাঁধ ধুবে।
(১০)অতঃপর বাম কাঁধ ধুবে।
(১১)ধোয়ার সময় শরীর মলে ধুবে।
(১২)শরীরের এক অঙ্গ অপর অঙ্গের অব্যবহিতের পরে ধুবে।
গোসলের মুস্তাহাব,ওজুর মুস্তাহাব বা আদাবের মত।তবে পার্থক্য এতটুকু যে,গোসলের সময় কেবলা মুখী হবে না।কেননা এতে অনেক সময় সতর খুলে যাওয়ার আশংকা থাকে।
ওজুর মধ্যে যেগুলা মাকরুহ গোসলে মধ্যেও সেগুলা মাকরুহ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/229