ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1755
اگر کوئی ساتویں دن عقیقہ نہ کرسکے تو آئندہ جب کرے ساتویں دن کا خیال کرنا مستحب ہے، ا س کاآسان طریقہ یہ ہے کہ جس دن لڑکا یا لڑکی پیدا ہو، اس سے ایک دن پہلے عقیقہ کردیں، مثلاً اگر لڑکا جمعہ کے دن پیدا ہوا ہے تو جمعرات کو عقیقہ کردیں اور اگر جمعرات کو بچہ پیدا ہواہے تو بدھ کو عقیقہ کردیں، اس طرح جب بھی عقیقہ کیا جائے گا، وہ حساب سے ساتواں دن پڑے گا۔ (شرح المہذب، ج:۹،ص:۲۴۵)
ইসলামি শরিয়তের যেসব মাসআলা দিন-তারিখ, মাস-বছরের সঙ্গে সম্পৃক্ত; সেগুলো চাঁদের হিসাবে গণনা করতে হয়। সুতরাং শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ম দিনে আকিকা করতে হলে চাঁদের হিসাব অনুযায়ী করতে হবে। আর চাঁদের হিসাবে দিন-তারিখ সূর্যাস্তের পর থেকেই শুরু হয়।
সুতরাং কোনো সন্তান যদি সোমবার সূর্যাস্তের পর জন্ম নেয় তবে তার অর্থ হলো সে মঙ্গলবারে জন্ম নিল।
وذهب جمهور الفقهاء إلى أن يوم الولادة يحسب من السبعة ولا تحسب الليلة إن ولد ليلا بل يحسب اليوم الذى يليها (الموسوعة الفقهية الكويتية-30/278)
জুমহুর ফুকাহায়ে কেরামের মতে জন্মদিন গণনার ক্ষেত্রে রাতকে গণ্য করা হবে না।বরং রাতের পরের দিনকে জন্মদিন মনে করা হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩০ মিনিটে যেহেতু আপনার সন্তান হয়েছে, তখনকার আরবী তারিখের সুচনাতেই আপনার সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে।কেননা মাগরিবের পর থেকেই আরবী তারিখ শুরু হয়। তাই আপনি ৮ ডিসেম্বর দিনের বেলায় আকিকা করবেন। অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর মাগরিব থেকে নিয়ে ৮ ডিসেম্বর মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত আপনার ছেলের সপ্তম দিন বিবেচিত হবে।