আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
523 views
in সাওম (Fasting) by (63 points)
হায়েয ষষ্ঠ দিন বন্ধ হয়ে গেছে ভেবে এর পরের দিন রোযা রাখি।রোযা রাখা অবস্থায় কাপড়ে খুবই হালকা লাল দাগ দেখতে পাই।তারপরও রোযা, নামাজ, তারাবীহ পড়েছিলাম।

এখন প্রশ্ন হলো

১) রোযাটা কি হয়েছে নাকি এই রোযা আবার রাখতে হবে?

২) রোযা যদি না হয়ে থাকে তাহলে হায়েয অবস্থায় আমি যে নামাজ কুরআন পরলাম,,এতে কি আমার গুনাহ হয়েছে??

৩) ধরেন, আজকে রাতে হায়েজ ভালো হলো, তাহলে কি রাতেই ফরজ গোসল করে পরের দিন রোযা রাখতে হবে নাকি পরের দিন সকালে গোসল করলেই হবে?? গোসল ছাড়া সাহরি খেয়ে রোজা রাখলে কি রোযা হবে না?

উত্তর গুলো খুবই দরকার উস্তায।

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/9433 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/78

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
৫ দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।
তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6962


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ষষ্ট দিন হায়েয বন্ধ হওয়ার পর যদি আবার ১০ দিনের ভিতর দেখা দেয়,তাহলে এই ১০ দিন পর্যন্ত সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। 

ষষ্ট দিনে হায়েয বন্ধ হওয়ার পর সপ্তম দিনে আবার দেখা দেওয়ার পরও আপনার জন্য নামায রোযা কিছুই করা জায়েয হয়নি।বরং দশদিন পর্যন্ত আপনি কোনো প্রকার ইবাদত করবেন না।উক্ত দশদিনের রোযাকে আপনি কাযা করবেন।

(১)
রোযাকে আবার কাযা করতে হবে।
(২)
জ্বী,আপনার জন্য উচিৎ হয়নি।তবে যেহেতু আপনি না জেনে করেছেন,তাই আপাতত গোনাহ হচ্ছে না।তবে ভবিষ্যতে আর এমনটা করবেন।

(৩)
পরের দিন সকালে গোসল করলেও হবে।আপনার রোযাতে কোনো সমস্যা হবে না।তবে যেহেতু এটা ফরয গোসল।তাই যত তারাতারি গোসল করে নেয়াই উত্তম। গোসল ছাড়া সাহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোযা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...