আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম, গত ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩০ মিনিট এ আমার সন্তানের জন্ম হয়, যা কিনা আরবি হিসেবে জুম্মা তথা শুক্রুবার রাতের মধ্যে পড়ে। এখন আমি সন্তানের আকিকা সপ্তম দিনে দিতে চাই। তাহলে সপ্তম দিন হিসেবে কোন দিনটিকে ধরবো এবং আকিকা সকালে নাকি বাদ মাগরিব দিতে হবে?
দয়া করে আমার সন্তানের জন্মের সময়ের সাথে হিসেব করে আকিকা দেবার সঠিক সময় এবং বার নির্ণয় করে আমাকে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে

العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.

ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1755

اگر کوئی ساتویں دن عقیقہ نہ کرسکے تو آئندہ جب کرے ساتویں دن کا خیال کرنا مستحب ہے، ا س کاآسان طریقہ یہ ہے کہ جس دن لڑکا یا لڑکی پیدا ہو، اس سے ایک دن پہلے عقیقہ کردیں، مثلاً اگر لڑکا جمعہ کے دن پیدا ہوا ہے تو جمعرات کو عقیقہ کردیں اور اگر جمعرات کو بچہ پیدا ہواہے تو بدھ کو عقیقہ کردیں، اس طرح جب بھی عقیقہ کیا جائے گا، وہ حساب سے ساتواں دن پڑے گا۔ (شرح المہذب، ج:۹،ص:۲۴۵)

ইসলামি শরিয়তের যেসব মাসআলা দিন-তারিখ, মাস-বছরের সঙ্গে সম্পৃক্ত; সেগুলো চাঁদের হিসাবে গণনা করতে হয়। সুতরাং শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ম দিনে আকিকা করতে হলে চাঁদের হিসাব অনুযায়ী করতে হবে। আর চাঁদের হিসাবে দিন-তারিখ সূর্যাস্তের পর থেকেই শুরু হয়।

সুতরাং কোনো সন্তান যদি সোমবার সূর্যাস্তের পর জন্ম নেয় তবে তার অর্থ হলো সে মঙ্গলবারে জন্ম নিল।

وذهب جمهور الفقهاء إلى أن يوم الولادة يحسب من السبعة ولا تحسب الليلة إن ولد ليلا بل يحسب اليوم الذى يليها (الموسوعة الفقهية الكويتية-30/278)

জুমহুর ফুকাহায়ে কেরামের মতে জন্মদিন গণনার ক্ষেত্রে রাতকে গণ্য করা হবে না।বরং রাতের পরের দিনকে জন্মদিন মনে করা হবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩০ মিনিটে যেহেতু আপনার সন্তান হয়েছে, তখনকার আরবী তারিখের সুচনাতেই আপনার সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে।কেননা মাগরিবের পর থেকেই আরবী তারিখ শুরু হয়। তাই আপনি ৮ ডিসেম্বর দিনের বেলায়  আকিকা করবেন। অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর মাগরিব থেকে নিয়ে ৮ ডিসেম্বর মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত আপনার ছেলের সপ্তম দিন বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...