আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (56 points)
১.শিয়ারা ও কাদিয়ানীরা তো কাফের।এটা জানার পরেও শিয়া/ কাদেয়ানী(দুটা যে কোনো একএকটা) সম্পর্কে কারো মনে যদি সন্দেহ চলে আসে যে তারা কাফের কিনা তবে আবার পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি তাদের(শিয়া/কাদেয়ানী)কাফের বলেই মনে করে। তবুও এই সন্দেহ করার কারনে কি ইমান চলে যাবে উক্ত ব্যক্তির??

২.কখন বা কি কাজ করলে একজন ব্যক্তিকে বেদ্বীন বলে গন্য হয়?বেদ্বীন বলতে মুলত কি বোঝায়?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/45904/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْمَُرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ.

হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৩৪)

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٌ قَالَ لأَخِيهِ: كَافِرٌ، فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا.

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন লোক তার কোন ভাইকে ‘হে কাফের’ বলে সম্বোধন করলে তাদের একজন কুফরীর শিকার হলো (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, মুয়াত্ত্বা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৪১)।

অর্থাৎ কাহাকেও কাফের বলিয়া ফতোয় দিলে ইহা আর ব্যৰ্থ বা অনর্থ হয় না। সুতরাং যাহাকে কাফের বলা হইয়াছে সে যদি প্রকৃতপক্ষে কাফের হয়, তবে ফতোয়া ঠিক। অন্যথায় কাফের বলিয়া যে ফতোয়া দিয়াছে ফতোয় তাহার দিকে ফিরিয়া আসিবে। অতএব, কাফের হওয়ার ফতোয়া দিবার বেলায় অত্যধিক সতর্কতা অবলম্বন করা অপরিহার্য।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
ফাতহুল বারী গ্রন্থে আছেঃ

فقد باء بها أحدهما "، وهو بمعنى: " رجع " أيضا، قال النووي: اختلف في تأويل هذا الرجوع فقيل: رجع عليه الكفر إن كان مستحلا، وهذا بعيد من سياق الخبر، وقيل: محمول على الخوارج لأنهم يكفرون المؤمنين.
والتحقيق: أن الحديث سيق لزجر المسلم عن أن يقول ذلك لأخيه المسلم، وذلك قبل وجود فرقة الخوارج وغيرهم، وقيل: معناه: رجعت عليه نقيصته لأخيه ومعصية تكفيره، وهذا لا بأس به، وقيل: يخشى عليه أن يئول به ذلك إلى الكفر
সারমর্মঃ  
এই ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। 
কেহ কেহ বলেছেন যে যদি সে এভাবে কাফের বলাকে হালাল মনে করে,তাহলে সে কাফির হবে।
কেহ কেহ বলেন এটি খাওয়ারেজদের উদ্দেশ্য তিলাওয়াত করা হয়েছে।  
তবে তাহকীকী কথা হলো, এই হাদীস আনা হয়েছে মুসলমানদের হুমকি ও সতর্কতার জন্য।
কেহ কেহ বলেন যে এতে উক্ত ব্যাক্তির উপর ভয় হয় যে এর কারনে সে কুফরের দিকে যাবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই সন্দেহ করার কারনে উক্ত ব্যাক্তি ঈমান চলে যাবেনা।
তবে তাকে তওবা করতে হবে।

(০২)
যে ব্যাক্তি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেনা,রমজান মাসে নিয়মিত রোযা রাখেনা,যাকাত ফরজ হলে আদায় করেনা,মহিলা হলে পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে বের হয়না,সেই বেদ্বীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (56 points)
০২.যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ (১দিন ২ ওয়াক্ত আর অন্য একদিন ৩ ওয়াক্ত নামাজ) কাজা করে ফেলে এবং কিছু দিন দেরী করে সেই কাজা নামাজ আদায় করে তাহলে কি সেই ব্যক্তিকে বেদ্বীন বলা যাবে?(সে নামাজ পড়ে সবসময় তবে ২ দিন মিস করে ফেলেছে,পর্দাও করে পূর্ণভাবে,রোজাও রাখে,তার যাকাত ফরজ হয়নি)।
by (565,890 points)
সেই ব্যক্তিকে বেদ্বীন বলা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...