আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
414 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ।

স্ত্রী হিসেবে স্বামীর প্রতি দায়িত্বের ব্যাপারে নিচের বিষয়গুলোর উপর একটু আলোকপাত করবেন।
১। স্ত্রীকে যদি স্বামী বলে পেটে, যোনির আশেপাশে, নিতম্বে সুগন্ধি ব্যাবহার করতে, স্ত্রী যদি তা না করতে চায় তাহলে কি গুনাহ হবে স্ত্রীর?

২। স্বামী স্ত্রীর নাভিতে, নিতম্বে চুম্বন করতে, লেহন করতে চাইলে স্ত্রী না সায় দিলে কি তার গুনাহ হবে?
৩। স্ত্রীকে বাসায় যদি উঁচু-আকর্ষণীয় জুতা পড়ে চলতে বলে স্বামী, স্ত্রী না পড়লে কি গুনাহ হবে তার? উল্লেখ্য বাসায় গাইরে মাহরামের আনাগোনা নেই এমন অবস্থায়।

৪। স্ত্রীর কানে, নাকে একের অধিক জায়গা ফুরিয়ে দিতে চায় স্বামী, স্ত্রী না চাইলে কি গুনাহ হবে তার? নাকে নোলক পড়ানোর জন্য নাকের মাঝের অংশে ফুরানোর জন্য স্বামী বলতে পারবে কিনা? পারলে স্ত্রী যদি না করে তাহলে গুনাহ হবে কিনা?

৪। স্বামী যদি স্ত্রীর কান নাকের মত নাভি ফুরিয়ে কোন দুল বা আংটি পড়ে থাকতে বলে স্ত্রীর কি রাজি হতে হবে?

৫। স্ত্রীকে যদি নীল, বেগুনি, খয়েরি, সবুজ কিন্তু কালো না, এমন রঙগুলোর বোরখা কিনে দিয়ে বলে এগুলোই পড়তে বের হওয়ার সময়, স্ত্রীর কি তা করতে হবে? না করলে গুনাহ হবে?
৬। হায়েজের সময় স্বামী যদি বলে স্ত্রীকে হাত দিয়ে মৈথুন করে দিতে, স্ত্রী না করলে কি গুনাহ হবে তার?

৭। পুরু কোন কাপড় স্ত্রীকে পড়িয়ে নিতম্বে স্বামী তার যৌনাঙ্গ ঘর্ষণ করতে চাইলে স্ত্রীর রাজি থাকতে হবে কিনা? নিতম্বে এভাবে পোশাকের উপর দিয়ে স্বামী মলদ্বারে যৌনাঙ্গ প্রবেশ করাতে পারবে কিনা মানে এর মাধ্যমে কি মলদ্বারে সহবাসের হারাম কাজ হবে কিনা?
৮। সহবাসের সময় স্বামী স্ত্রীর নিতম্বে আস্তে আস্তে হাত দিয়ে আঘাত, মর্দন করতে চাইলে স্ত্রীর কি তা করতে দিতে হবে?

৯। স্বামী সবসময় মেহেদি দিয়ে থাকতে বললে স্ত্রী না করলে কি গুনাহ হবে? হাত পা ছাড়া পেট, স্তনে মেহেদি ডিজাইন করে দিতে চাইলে কি স্ত্রীর রাজি থাকতে হবে?

১০। গহনাদি স্বামী যদি পড়িয়ে দিয়ে বলে কোন সময় না খুলতে, বিশেষত পায়ের আংটি, নূপুর ইত্যাদি আর স্ত্রী যদি স্বামীর অগোচরে খোলে তা তাহলে কি তার গুনাহ হবে?

১১। স্বামী যদি ঘুমের সময় তার যৌনাঙ্গ যদি চায় স্ত্রীর যোনীতে প্রবেশ করিয়ে ঘুমাতে, স্ত্রী এতে বাধ সাধতে পারবে কিনা?

১২। স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তার পা দিয়ে মৈথুন করে দিতে, এতে স্ত্রী রাজি হতে হবে কিনা?

১৩। স্বামী যদি বলে তাকে অন্তর্বাস বা সল্পবসনা হয়ে হেঁটে দেখাতে রুমের মধ্যে, এতে কি স্ত্রীর করতে হবে কিনা?

১৪। স্বামী স্ত্রীর গায়ের লোম কাটতে বললে স্ত্রী তা না করলে কি গুনাহ হবে কিনা?

১৫। স্বামীর নাম, বা নামের প্রথম অক্ষর সম্বলিত লকেট, কানের দুল, নূপুর ইত্যাদি পড়তে বললে স্ত্রী তা করবে কিনা? লেখাগুলো আরবিতে হলে কি ইসলামের অবমাননা হবে?
by (16 points)
শুকরান উস্তাদ, তবে কয়েকটি জায়গায় আরেকটু পরিষ্কার করার জন্যঃ

২ নং এ উস্তাদ এতে কি স্বামীর উপভোগের ব্যাপারে বাধ সাধা হচ্ছে না যদি স্ত্রী সায় না দেয়, মানে কোমরে, নাভিতে চুম্বন করতে চাইলে?

এরপর ৪ এর বেলায় স্ত্রী রাজি না হলে কি স্ত্রীর সাজ সজ্জায় বাধ সাধা হবে কিনা? অর্থাৎ স্বামীর মনোরঞ্জনের জন্য সাজগোজ করতে রাজি না হওয়া।

১৪ এর জন্যও একই প্রশ্ন উস্তাদ।
এসব কাজে যদি স্ত্রীর ক্ষতির কোন আশংকা না থাকে তাহলেও কি নারাজ হতে পারবে সে? এগুলো এই তিনটি ক্ষেত্র, ২, ৪, ১৪ তে কি উল্লিখিত তিনটি মূলনীতির কোন তরক হচ্ছে উস্তাদ? 

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্য করবে যদি সে হারাম এবং সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কাজের আদেশ না করে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাত ৩২৫৪.হিলইয়াতুল আওলিয়া ৬/৩০৮।)

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ النِّسَاءِ خَيْرٌ قَالَ الَّتِي تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إِذَا أَمَرَ وَلَا تُخَالِفُهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهَا بِمَا يَكْرَهُ 

কুতায়বা (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন মহিলা উত্তম? তিনি বললেনঃ যে মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত স্বামীকে সন্তুষ্ট করে। সে আদেশ করলে তা সম্পন্ন করে, এবং তার বাড়ীর ও তার মালের ব্যাপারে যা অপছন্দ করে, সে তার বিরোধিতা করে।
(সুনানে নাসায়ী ৩২৩৪.মিশকাত ৩২৭২, সহীহাহ ১৮৩৮।)

আরো জানুনঃ 

★যে সমস্ত বিষয় স্বামীর জন্য ফায়দাদায়ক এবং স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর নয়,সে সমস্ত বিষয়ে স্বামীর আদেশ অনুসরণ স্ত্রীর উপর ওয়াজিব।যদি স্বামীর জন্য ফায়দাদায়ক না হয় বা স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর হয়,সে সমস্ত বিষয়ে স্বামীর আদেশ নিষেধের অনুসরণ ওয়াজিব নয়। 

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,

 " ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ  

যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব। এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না। কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭) 

আরো জানুনঃ- 

স্বামীর আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।

(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।

(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।

(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তার স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
শরীয়তের খেলাফ স্বামীর কোনো আদেশ মান্য করা জরুরি নয়।

উপরোক্ত মূলনীতি গুলোর আলোকে প্রশ্নের জবাব সমূহঃ-

(০১)
এটি স্বামীর জন্য ফায়দাজনক হলে স্ত্রীর উপর এই আদেশ মানা আবশ্যক। 
নতুবা স্ত্রীর গুনাহ হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে স্ত্রী সায় না দিলে স্ত্রীর গুনাহ হবেনা।
তবে স্ত্রীর জন্য বাধা দেয়া উচিত নয়।

(০৩)
এটি স্বামীর জন্য ফায়দাজনক, তাই স্ত্রী না পড়লে গুনাহ হবে।

(০৪)
উপরোক্ত ছুরত গুলোতে স্ত্রী স্বামীর আদেশ না মানলে স্ত্রীর গুনাহ হবেনা।

(০৫)
ক্রয় করে এনে দিলে এগুলো না পড়লে স্ত্রীর গুনাহ হবে।

(০৬)
স্ত্রী না করলে গুনাহ হবে।

(০৭)
এক্ষেত্রে স্ত্রীর রাজি থাকা আবশ্যকীয় নয়।
স্ত্রী রাজী না থাকলে তাতে স্ত্রীর কোনো গুনাহ হবেনা।

নিতম্বে এভাবে পোশাকের উপর দিয়ে স্বামী মলদ্বারে যৌনাঙ্গ প্রবেশ করাতে পারবেনা।
এটিও নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। 

(০৮)
স্ত্রীর তা করতে দিতে হবে।

(০৯)
স্ত্রী সাধ্যমতো না করলে গুনাহ হবে।

পেট, স্তনে মেহেদি ডিজাইন করে দিতে চাইলে স্ত্রীর রাজি থাকা আবশ্যকীয় নয়।

(১০)
স্ত্রী যদি স্বামীর অগোচরে খোলে তা, তাহলে তার গুনাহ হবেনা।
স্বামীর সামনে আবার পরিধান করবে। 

(১১)
স্ত্রী এতে বাধ সাধতে পারবেনা।

(১২)
হায়েজ,নেফাস অবস্থায় হলে স্ত্রী তার এই আদেশ মানতে বাধ্য।

নতুবা অন্য কোনো স্বাভাবিক সময়ে স্ত্রী এটি মানতে বাধ্য নয়।

(১৩)
স্ত্রীর এটি করতে হবে।

(১৪)
না,গুনাহ হবেনা।
তবে লোম অস্বাভাবিক হলে স্বামীর এই আদেশ না মানলে গুনাহ হবে।

(১৫)
স্ত্রী তাহা পড়তে পারে।
তবে তাহা আবশ্যকীয় নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
শুকরান উস্তাদ, তবে কয়েকটি জায়গায় আরেকটু পরিষ্কার করার জন্যঃ

২ নং এ উস্তাদ এতে কি স্বামীর উপভোগের ব্যাপারে বাধ সাধা হচ্ছে না যদি স্ত্রী সায় না দেয়, মানে কোমরে, নাভিতে চুম্বন করতে চাইলে?

এরপর ৪ এর বেলায় স্ত্রী রাজি না হলে কি স্ত্রীর সাজ সজ্জায় বাধ সাধা হবে কিনা? অর্থাৎ স্বামীর মনোরঞ্জনের জন্য সাজগোজ করতে রাজি না হওয়া।

১৪ এর জন্যও একই প্রশ্ন উস্তাদ।
এসব কাজে যদি স্ত্রীর ক্ষতির কোন আশংকা না থাকে তাহলেও কি নারাজ হতে পারবে সে? এগুলো এই তিনটি ক্ষেত্র, ২, ৪, ১৪ তে কি উল্লিখিত তিনটি মূলনীতির কোন তরক হচ্ছে উস্তাদ? 


by (574,050 points)
(০২)
এখানে যা যা উল্লেখ রয়েছে,তাহা অনেকের কাছে ঘৃনিত।
তাই এমন বিষয় স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দেয়া যায়না।

(০৪)
এক্ষেত্রে স্ত্রী রাজি না হলে স্ত্রীর সাজ সজ্জায় বাধ সাধা হবেনা।

(০৫)
এসব ক্ষেত্রে তো স্বামীর কোনো উল্লেখযোগ্য ফায়দা নেই।
তাই স্ত্রীকে এই বিষয়ে চাপ দেয়া যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...