ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ
“তোমার মাধ্যমে যদি আল্লাহ একজন লোককেও হেদায়েত দেন তবে তা তোমার জন্য একটি লাল উট পাওয়া থেকেও উত্তম।” (বুখারী ১২/৩৭)
তিনি আরো বলেন:
مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا
“যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে আহবান করে সে ঐ পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হয় যে ব্যক্তি তদনুযায়ী আমল করে। কিন্তু এতে আহ্বানকারীর সওয়াব কমানো হয় না।”(সুনানু আবি দাউদ-৪৬০৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/31389
অমুসলিমকে দাওয়াত দেয়ার সময় কয়েকটি বিয়ষের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)যিনি দাওয়াত দিবেন, উনাকে সুন্নাহর পুরোপুরি অনুসারী হতে হবে।
(২)নরম ভাষায় দাওয়াত দিতে হবে।
(৩) যাকে দাওয়াত দেয়া হবে, তার চিন্তাভাবনা ও রুচি অনুযায়ী কথা বলতে হবে।
(৪) সর্বপ্রথম আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দেওয়া হবে।
(৫) ধর্য্য সহকারে দাওয়াত দিতে হবে।
(৬) কুরআন অধ্যয়নের দিকে তাকে মনোনিবেশিত করতে হবে।
(৭)
ইসলামের সোনালি ইতিহাস তার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা।
(৮) যাকে দাওয়াত দেওয়ার ইচ্ছা তার সুবিধা অসুবিধার দিকে আন্তরিকতার সাথে লক্ষ্য রাখা।বিশেষ করে তার অসুবিধাকে দূর করে দেওয়া।
(৯) হেদায়ত লাভের উপকরণ তথা বই পুস্তিকা তাকে সরবরাহ করা।
(১০)তার হেদায়েতের জন্য মহান আল্লাহর নিকট দুআ করা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) হিন্দু-মুসলিম খ্রিস্টান প্রত্যেককেই দাওয়াত দিতে হবে।
(ক) দাওয়াতের মূলনীতি বলতে উপরের বিষয়গুলোকে যত্নসহকারে বুঝতে হবে।
(খ) দাওয়াত দেয়া ফরজে কেফায়া।
(২) আপনি আপনার হিন্দু বন্ধুর প্রতি আন্তরিকতা দেখান, তার সুবিধা অসুবিধাগুলোকে আন্তরিকতার সাথে সমাধান করার চেষ্টা করুন।
(ক) আপনি আপনার ঐ বন্ধুে ইসলামি উপন্যাস, গল্প ইত্যাদি হাদিয়া দিন।
(খ) তার সাথে উত্তম আচরণ করুন।
গ) সুসম্পর্ক বজায় রেখে দাওয়াত দিন।
(৩) আপনি এখন তাদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়ার চেষ্টা করুন।