আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। নিচের এই হাদিসের আলোকে আমি যদি অন্য কারও মেসেঞ্জার গ্রুপে অ্যাড হই, এবং সেই গ্রুপে আমি বাদে অন্যান্য মেমবার্স রা এমন মেয়েদের সাথে প্রয়োজনে অতিরিক্ত  চ্যাট করে যাদেরকে বিয়ে করা তাদের জন্য এবং আমার জন্য জায়েজ,  আর যখন তারা মেয়েদের সাথে প্রয়োজন অতিরিক্ত কথা বলবে ঠিক তখনই আমি যদি এই হাদিস টা অনুসরণ করি তাহলে কি আমার  গুনাহ হবে? আমিতো ওই মেয়েদের সাথে চ্যাট করবো না সেটা অন্যরা করবে। আর যদি সেই গ্রুপে ইসলামে নিষিদ্ধ এমন কোনো কাজ আমি বাদে গ্রুপের অন্য মেমবার্সরা করে তাহলে যখন তারা ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ করবে ঠিক তখনই যদি আমি নিচের এই হাদিস টার অনুসরণ করি তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? আমি শুধু গ্রুপে হালাল ভাবে আড্ডা দিব, কথা বলবো। আর গ্রুপে ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ হলে এই হাদিস এর অনুসরণ করবো।

আল-উরস ইবনু 'আমীরাহ আল-কিনদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো স্থানে যখন অন্যায় সংঘটিত হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তি তাতে অসন্তুষ্ট হলে, সে অনুপস্থিতিদের মতোই গণ্য হবে (তার গুনাহ হবে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের স্থান থেকে অনুপস্থিত হয়েও তাতে সন্তুষ্ট হয়, সে অন্যায়ে উপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত।

সুনামে আবু দাউদ, হাদিস নংঃ ৪৩৪৫

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল-উরস ইবনু ’আমীরাহ আল-কিনদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنِ الْعُرْسِ ابْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا عُمِلَتِ الْخَطِيئَةُ فِي الْأَرْضِ، كَانَ مَنْ شَهِدَهَا فَكَرِهَهَا - وَقَالَ مَرَّةً: أَنْكَرَهَا - كَانَ كَمَنْ غَابَ عَنْهَا، وَمَنْ غَابَ عَنْهَا فَرَضِيَهَا، كَانَ كَمَنْ شَهِدَهَا
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো স্থানে যখন অন্যায় সংঘটিত হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তি তাতে অসন্তুষ্ট হলে, সে অনুপস্থিতিদের মতোই গণ্য হবে (তার গুনাহ হবে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের স্থান থেকে অনুপস্থিত হয়েও তাতে সন্তুষ্ট হয়, সে অন্যায়ে উপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত। (আবূ দাঊদ-৪৩৪৫) ইমাম আবু দাউদ রাহ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, উক্ত হাদীস বিশুদ্ধ। আপনি যদি উক্ত চ্যাট এ শরীক না হন, তাহলে এতেকরে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (24 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। "আপনি যদি উক্ত চ্যাট এ শরীক না হন,"  দুঃখিত আপনার এই কথার মানি বুঝলাম না, শরীক মানি কি? মেসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাটের ভিতরে যদি ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো কাজ হয়, তখন যদি এই হাদিস টা অনুসরণ করি যেমন হাদিসের এই অংশে লিখা আছে যে "সেখানে উপস্থিত ব্যক্তি তাতে অসন্তুষ্ট হলে, সে অনুপস্থিতিদের মতোই গণ্য হবে (তার গুনাহ হবে না)।" তাহলে মেসেঞ্জার গ্রুপে যখন ইসলামের নিষিদ্ধ অথবা অন্যায় কাজ হয় তখন যদি আমি অসন্তষ্ট হই, তাহলে কি আমার গুনাহ হবে না?
by (597,330 points)
+1
আপনি অসন্তুষ্ট থাকলে, আপনার গোনাহ হবে না।
by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম। আর হুজুর আমি যদি আমার বন্ধুদের বা অন্য কাওকে বলি যে আমাকে মেসেঞ্জার গ্রুপে অ্যাড দেন, মানি নিজের ইচ্ছায় যদি অ্যাড হই। আর ওই গ্রুপে যদি আমি বাদে অন্যরা ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ করে, যখনই অন্যরা ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ করবে তখন যদি আমি এই হাদীস টা মেনে চলি বা হাদীস টা অনুসরণ করি তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? আমি শুধু গ্রুপে হালাল ভাবে মানুষের সাথে আড্ডা দিব, চ্যাট করবো, আর যখনই গ্রুপে ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো কিছু হবে তখনই এই হাদিস টা মেনে চলবো। হাদীস টা হলোঃ

আল-উরস ইবনু 'আমীরাহ আল-কিনদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো স্থানে যখন অন্যায় সংঘটিত হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তি তাতে অসন্তুষ্ট হলে, সে অনুপস্থিতিদের মতোই গণ্য হবে (তার গুনাহ হবে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের স্থান থেকে অনুপস্থিত হয়েও তাতে সন্তুষ্ট হয়, সে অন্যায়ে উপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত।

সুনামে আবু দাউদ, হাদিস নংঃ ৪৩৪৫

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস।
by (597,330 points)
+1
জ্বী, আপনি এভাবে  ঐ গ্রুপে থাকতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...