আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

আমার আব্বু একটা প্রতিষ্ঠানে কিছু টাকা জমা রাখার কারণে নির্দিষ্ট অংকের কিছু টাকা সুদ হিসেবে পান।কিন্তু সুদ হিসেবে প্রাপ্ত ওই টাকা ভোগ না করে তিনি সাদকা করে দিতে চান।এজন্য তিনি নিজের বোনের মেয়ের বিয়েতে ওই টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নেন।কেননা আমার ফুফু তথা আব্বুর বোন বিধবা হওয়ায় পারিবারিকভাবে সচ্ছল নয়।প্রশ্ন হচ্ছে,

১।এভাবে কি সুদের টাকার হক আদায় হবে?

২।ওই বিয়েতে যেহেতু আরো অনেকেই এভাবে আর্থিক সাহায্য করছে,তাই নিশ্চিতভাবেই সেখানে সাদকা হিসেবে প্রাপ্ত টাকার মাধ্যমেই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করার সম্ভাবনা থাকছে।যেহেতু আত্মীয়তার সম্পর্কের খাতিরে যাওয়া আবশ্যক তাই সেখানে উপস্থিতও থাকতে হবে।কিন্তু দাওয়াতে খাবার খেলে কি তা খাওয়া আমাদের জন্যও হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِلَحْمٍ فَقِيلَ تُصُدِّقَ عَلَى بَرِيرَةَ قَالَ " هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ، وَلَنَا هَدِيَّةٌ ".
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কিছু গোশত আনা হল এবং বলা হল যে, এটা আসলে বারীরার কাছে সাদকারূপে এসেছিল। তখন তিনি বললেন, এটা তার জন্য সাদকা আর আমাদের জন্য হাদিয়া।(সহীহ বোখারী-২৪০৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/61134

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ঐ ফুফু যদি বাস্তবেই গরীব হন, তাহলে আপনার বাবা প্রথমে ঐ টাকার মালিক আপনার ফুফু বানিয়ে নিবেন। অর্থাৎ প্রথমে টাকাগুলো আপনার ফুফুকে দিয়ে দিবেন।তারপর আপনার ফুফু যদি ঐ টাকা খরচ করে সবাইকে খাওয়ান, তাহলে আপনারা ফুফুর দাওয়াত কবুল করে খেতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...