আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

১/https://ifatwa.info/62027/

মা বাবার হারাম উপার্জন থেকে যে টাকাটা আমি খাচ্ছি।ঐ টাকার তো কোনো হিসাব আমার কাছে নেই।এই অনির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা যখন আমি উপার্জন করব তখন অল্প অল্প করে কোনো গরিবকে/অন্য কোথাও দিলে কি হবে।

২/ধরুন আমি যদি হালাল ইনকাম করি।এই টাকায় হয়ত আমি বই খাতা-কাপড় ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস নিজের জন্য কিনতে পারব। কিন্তু বাসায় রান্নাতো হবে আমার পিতা-মাতার ঐ হারাম টাকায়।তখন কি করা যায়??আর তাদেরকে তো বলাও যাচ্ছে না যে আপনাদের টাকাটা হারাম।তখন তো তারা ক্ষেপে যাবে।

৩/সহজে পড়া কি ভাবে মনে রাখা যায়।শব্দ করে পড়া নাকি শব্দ ছাড়া নিরবে বুঝে বুঝে পড়া উত্তম।দুনিয়াবি যেসকল পড়া আছে এসব পড়া কি মুখস্থ করা কি কার্যকর নাকি বুঝে বুঝে পড়ে বারবার রিভিশন দেয়া কার্যকর।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা ভাই চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2362

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু পরিপূর্ণ কোনো হিসাব আপনার কাছে নাই, তাই আপনি অনুমান করে ঐ পরিমাণ টাকা সামর্থ্য হলে আস্তে ধীরে সদকাহ করে দিবেন।

(২)
আপনি যখন হালাল ভাবে রোজি রোজগার করবেন, তখন নিজের প্রয়োজনিয় সকল জিনিষ নিজের টাকায় কিনবেন। এবং নিজের খাবারের বাবৎ অনুমান করে কিছু টাকা মাতাপিতার কাছে দিয়ে দিবেন।

(৩)
লেখাপড়া বুঝেশুনেই করা উচিৎ। প্রয়োজনিয় ক্ষেত্রে মুখস্থও করতে হবে। অর্থাৎ যদি কোথাও মূলনীতি মূলক কোনো লেখা থাকে, কোনো সুত্র থাকে, তাহলে সেগুলো মুখস্থ করে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...