ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَعْدَدْتُ لِعِبَادِيَ الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ . ذُخْرًا بَلْهَ مَا أَطْلَعَكُمُ اللَّهُ عَلَيْهِ " . ثُمَّ قَرَأَ ( فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন সব জিনিস তৈরী করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এবং যা কোন মন কখনো কল্পনাও করেনি। এগুলো আমি তোমদের জন্য জমা করে রেখে দিয়েছি। এসব ছাড়া আল্লাহ তোমাদেরকে যা কিছু দেখিয়েছেন তা তো আছেই। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন, “কেউই জানেনা তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কী লুকায়িত রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ।” (সূরা সাজদাঃ ১৭)। (সহীহ মুসলিম-৬৮৭৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
"এসব ছাড়া আল্লাহ তোমাদেরকে যা কিছু দেখিয়েছেন তা তো আছেই। "
এর অর্থ হল, কুরআন হাদীসে জান্নাতিদের যে সমস্ত নিয়ামতের কথা আলোচনা হয়েছে, সেগুলো তো অবশ্যই জান্নাতিরা পাবেন।
(২)
জান্নাতে কিছু স্পেশাল নেয়ামত থাকবে যেগুলো কেউ কোনোদিন দেখেনি।অথবা অর্থ হল, সম্মিলিত ভাবে অনেকেই এই নি'য়ামত দেখেননি। হ্যা, ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ এই নিয়ামতকে দেখে থাকতে পারেন।
(৩)
এটা ইসরাঈলি বর্ণনা। এই বর্ণনা সম্পর্কে সত্য-মিথ্যা কিছুই বলা যাবে না
(৪)না, মনে মনে ওয়াদা করলে সেই ওয়াদা পুরণ করা জরুরী নয়।
(৫)
নামাজে সূরা তিলাওয়াতের মধ্যে কেউ যদি মনে মনে স্ত্রীকে তালাক দেয়, তাহলে তালাক হবে না।
(৬)
নামাজে তিলাওয়াত করার মধ্যে কেউ মনে মনে কোনো ওয়াদা/ মানত করলে তা পূরন করা জরুরী নয়।
(৭)
জ্বী, হিন্দু সহপাঠীকে বিয়েতে দাওয়াত দেওয়া যাবে।
(৮)
কেউ যদি আল্লাহকে ভয়ের পাশাপাশি মানুষের সমালোচনার ভয়েও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে,তাহলে এতেকরে তার ঈমান চলে যাবে না।
(৯)
যদি পাঞ্জাবির কাপড় চোখের সামনে নিয়ে আসলে কাপড়ের চিদ্রগুলো দেখা যায় কিন্তু পাঞ্জাবিটা শরীরে পড়লে স্বাভাবিকভাবে শরীর/শরীরের রং দেখা না যায়,তাহলে সেই পাঞ্জাবি দিয়ে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধে নাই।