আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
477 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (68 points)

১. স্ত্রী যদি তার স্বামীকে বলে "তোমাকে ছেড়ে দিলাম" তাহলে  কি বিবাহে সমস্যা হয়?  না কি  এই কথা দ্বারা স্ত্রীর নিজের উপর তালা* পতিত হয় না বুঝায়৷ তাই কোনো তালাক হবে না।

২. আজকে আমার বাসার এলাকায় এসেছিলো( সে এখন তার বাবার বাড়ি থাকে),  তার পর বাসায় গিয়ে লাগালাগ তিনটি ম্যাসেজ দেয় ,  (১)তোমারে ছাইড়া আইলাম, (২)তোমার আশেপাশে ছিলাম(৩)ঘন্টা খানিক।   এতে কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৩. স্বামী যদি এমনিই "তালাক" বা "তোমাকে ছেড়ে বলে" বা "তুমি মায়ের মতো" এসব কথা উচ্চারণ করে,বউ কে উদ্দেশ্য করে বলে নাই। নিজে নিজে বলে তবে কি বিবাহে সমস্যা হয়?

৪. চার নং সুরতে এসব কথা বলার সময় বউএর কথা  মনে পরে তবে কি তালাক হবে? বউ কে তালাক বা ছাড়ার কোনো ইচ্ছাই নাই।

৫. কেও যদি বলে "মুফতি" শব্দটি  কেমন জানি আমার কাছে লাগে মনে হয় হাত মুষ্টি দিয়ে মারবে। বলে হাত মুষ্টি করে হাত চালনা করে বলে মুফতি,  এতে কি ইমানে সমস্যা হবে? (মুফতিদের সম্মান করে,শুধু শব্দ টি নিয়ে বলেছে)

৬. কেও যদি তার মায়ের সংস্পর্শে এসে তার লিঙ্গ দাড়িয়ে যায়,  কিন্তু মায়ের প্রতি কোনো প্রকার সহবাসের ইচ্ছে ও নাই। মানে কোনো ফিলিংস ও নাই। অপরদিকে অনিশ্চকৃত মায়ের সাথে খারাপ কিছুর সিন কল্পনায় চলে আসে, যদিও মায়ের সাথে কিছুই করার ইচ্ছে নাই। অনিচ্ছায় কল্পনা এসে যায়। তবে কি হুরমত হবে?

৭. কোনো মানুষ যদি  " বউ কে তালাকের ইচ্ছে নাই " লেখার সময় " ব* কে তালাক " লিখে একটু থাকে ও পরে বাক্য লেখা শেষ করে। তবে কি এটুক লিখে থামার জন্য কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৮. ৪ ও ৭ নং প্রশ্ন লেখার জন্য কি বিবাহে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)স্ত্রী যদি তার স্বামীকে বলে "তোমাকে ছেড়ে দিলাম" তাহলে বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না। এই কথা দ্বারা স্ত্রীর নিজের উপর তালা* পতিত হওয়া বুঝাবে না।৷ তাই কোনো তালাক হবে না।

(২) আজকে আমার বাসার এলাকায় এসেছিলো( সে এখন তার বাবার বাড়ি থাকে),  তার পর বাসায় গিয়ে লাগালাগ তিনটি ম্যাসেজ দেয় ,  (১)তোমারে ছাইড়া আইলাম, (২)তোমার আশেপাশে ছিলাম(৩) ঘন্টা খানিক।   এতে বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩) স্বামী যদি এমনিই "তালাক" বা "তোমাকে ছেড়ে বলে" বা "তুমি মায়ের মতো" এসব কথা উচ্চারণ করে,বউ কে উদ্দেশ্য করে বলে নাই। নিজে নিজে বলে তবে বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)৩ নং সুরতে এসব কথা বলার সময় বউ এর কথা  মনে পরে তবেও তালাক হবে না। বউ কে তালাক বা ছাড়ার কোনো ইচ্ছাই নাই।কেননা ওয়াসওয়াসার রোগীদের কোনো প্রকার তালাক হয় না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

(৫)কেউ যদি বলে "মুফতি" শব্দটি  কেমন জানি আমার কাছে লাগে, মনে হয় হাত মুষ্টি দিয়ে মারবে। বলে হাত মুষ্টি করে হাত চালনা করে বলে মুফতি,এতে ইমানে সমস্যা হবে না। (মুফতিদের সম্মান করে,শুধু শব্দ টি নিয়ে বলেছে) তবে এরকম কথা বলা বা মনোভাব রাখা কখনো উচিৎ হবে না।

(৬) কেউ যদি তার মায়ের সংস্পর্শে এসে তার লিঙ্গ দাড়িয়ে যায়,  কিন্তু মায়ের প্রতি কোনো প্রকার সহবাসের ইচ্ছে নাই। মানে কোনো ফিলিংস নাই। অপরদিকে অনিশ্চকৃত মায়ের সাথে খারাপ কিছুর সিন কল্পনায় চলে আসে, যদিও মায়ের সাথে কিছুই করার ইচ্ছে নাই। অনিচ্ছায় কল্পনা এসে যায়। তাহলে হুরমত হবে না।কেননা হুরমতের জন্য  সহবাসের ইচ্ছা থাকতে হবে।

(৭) কোনো মানুষ যদি  " বউ কে তালাকের ইচ্ছে নাই " লেখার সময় " ব* কে তালাক " লিখে একটু থাকে ও পরে বাক্য লেখা শেষ করে। তবে এটুক লিখে থামার জন্য বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগীর কোনো তালাকই হয়না।

(৮) ৪ ও ৭ নং প্রশ্ন লেখার জন্য বিবাহে সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
কোনো মানুষ যদি  " বউ কে তালাকের ইচ্ছে নাই " লেখার সময় " ব* কে তালাক " লিখে একটু থাকে ও পরে বাক্য লেখা শেষ করে। তবে এটুক লিখে থামার জন্য বিবাহে কোনো সমস্যা হবে। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগীর কোনো তালাকই হয়না।

মুফতি সাহেব এইখানে মনে হয় বল্ট করা জায়গায়  "কোনো সমস্যা হবে না" হবে।
by (597,330 points)
সংম্পাদনা করা হয়েছে। জাযাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...