আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।

১। উস্তাদ মাহরামের সামনে তো মহিলাদের পর্দার বিধানে শিথিলতা আছে, কিন্তু যদি স্বামী স্ত্রীকে বলে যে ঘরে থাকা অবস্থায়েও ফুল হাতা কামিজ বা ফুল হাতার ব্লাউজ সহ শাড়ি, আর চুলও ঢেকে রাখার জন্য তথা হাফ হাতার কিছু পড়া বা চুল অনাবৃত অবস্থায় রাখা এগুলো স্বামী অপছন্দ করে, তখন স্ত্রীর করণীয় কি?

২। উল্লেখ্য ঘরে স্বামী-স্ত্রী, স্বামীর বাবা-মা এরাই সদস্য। এমতাবস্থায় স্ত্রীর অনাবৃতভাবে শরীরের কোন কোন ভাগ রাখার বিধান আছে উস্তাদ।
৩। এমন পরিবারে স্ত্রী কি ঘরে কিছু ফিটিং পোশাক যা আছে তা পড়তে পারে কিনা? পায়জামা কি টাখনুর যৎসামান্য উপরে পড়তে পারবে কিনা যাতে পায়ের অলংকারাদি স্বামী দেখতে পারে?

৩। অফিসিয়ালভাবে কোন মুসলিমদের দেশে যদি ওখানের মুফতিগণ এই নিয়ম করেন যে, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মহিলারা মুখ ঢাকা ছাড়া বোরখা পরিধান করবে, এক্ষেত্রে উক্ত স্থানের মহিলাদের করণীয় কি হবে? আর যারা এই বিধান করছেন তাদের এই নিরাপত্তা বজায়ের ওজরের ভিত্তি আছে কিনা উস্তাদ? কোন মাজহাবে কি এমন বিধান আছে কিনা যে বাহিরে মহিলারা মুখ খোলা রাখতে পারবে? আর এই নিয়ম ঠিক না হলে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা তথা ওই মুফতিরা কি মানহানির অপরাধ করবে মহিলাদের?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,

إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.

‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪।)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيْ النِّسَاءِ خَيْرٌ؟ قَالَ: «الَّتِي تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إِذَا أَمَرَ وَلَا تُخَالِفُهُ فِي نَفْسِهَا وَلَا مَالِهَا بِمَا يَكْرَهُ» . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, কোন্ রমণী সর্বোত্তম? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে স্বামী স্ত্রীর প্রতি তাকালে তাকে সন্তুষ্ট করে দেয়, স্বামী কোনো নির্দেশ করলে তা (যথাযথভাবে) পালন করে এবং নিজের প্রয়োজনে ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ করে না।
হাসান :
(নাসায়ী ৩২৩১, আহমাদ ৭৪২১, ইরওয়া ১৭৮৬, সহীহাহ্ ৮৩৩৮, সহীহ আল জামি‘ ৩২৯৮.মিশকাত ৩২৭২।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামীর বৈধ আদেশ মান্য করা স্ত্রীর উপর আবশ্যক। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রীর করণীয় হবে স্বামীর উক্ত আদেশ মেনে চলার।

(০২)
শাশুড়ী তো মহিলা মানুষ, সুতরাং মহিলাদের সামনে মহিলাদের যতটুকু সতর,তাহা ব্যাতিত বাকি অংশ তার সামনে খোলা রাখা যাবে।

আর শশুর যেহেতু মাহরাম পুরুষ, সেক্ষেত্রে তার সামনে আপনার সেই পরিমান খোলা রাখা যাবে,যাহা অন্যান্য মাহরাম (বাবা ভাই) দের সামনে খোলা রাখা যায়।

উভয় ক্ষেত্রে আপনার সতর কতটুকু হবে,সে সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৩)
শুধু মাত্র স্বামীর সামনে তার মনোরঞ্জনের জন্য টাইট ফিটিং জামা পড়তে পারবে।
এবং পায়জামা টাখনুর যৎসামান্য উপরে পড়তে পারবে।

তবে বাড়ির অন্য কোনো সদস্যের সামনে টাইট ফিটিং জামা পড়তে পারবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে উক্ত স্থানের মহিলাদের করণীয় হবে শরীয়তের নির্দেশ পূর্ণ মোতাবেক চেহারা হাত ঢেকে পূর্ণ পর্দা মেনে চলা।

উক্ত এলাকার আলেমদের উক্ত ফতোয়া মানা যাবেনা।

মুফতী মুহাম্মদ শাফী রহ. লিখেছেন, ‘ইমাম চতুষ্টয়ের মধ্য থেকে ইমাম মালিক, ইমাম শাফি’ঈ ও ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রহ. তিনজনই মুখমণ্ডল ও হাতের কবজি খোলা রাখার মোটেই অনুমতি দেন নি- তা ফিতনার আশংকা থাকুক বা না থাকুক। ইমাম আবূ হানীফা রহ. ফিতনার আশংকা যদি না থাকে- এই শর্তে খোলা রাখার কথা বলেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এই শর্ত পূরণ হবার নয়, তাই হানাফী ফকীহগণ গায়র মাহরাম পুরুষের সামনে মুখমণ্ডল ও হাতের কবজি খোলা রাখার অনুমতি দেন নি।’ (মা‘আরিফুল কুরআন : ৭/২১৪)

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...