আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়ি। আমাদের প্রতি বছর ১০টা বিষয় পড়তে হয়। ৫টা বিষয় করে বছরে দুইটা পরীক্ষা হয় দুটোই ফাইনাল পরীক্ষা। প্রত্যেক বিষয়ের জন্য আবার আলাদা ভাবে ৩০ নম্বরের ২টা ক্লাস টেস্ট হয় যা ফাইনালের অন্তর্ভুক্ত এবং ১০ নম্বর করে প্রতি বিষয়ের ক্লাস উপস্থিতি,বাড়িড় কাজ ইত্যাদি উপর থাকে। অতএব ফাইনাল হয় ৬০ নম্বরের।

*ফাইনালের কোন বিষয়ে ফেইল করলেও পরের ক্লাসে প্রমোশন হয়।এমনকি অনার্সে কোন বিষয়ে ফেইল থাকলেও মাস্টার্স করা যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক বিশওবিদ্যালয়  নিয়ম করে যে শেষ বর্ষে ফেইল করলে আর মাস্টার্স করা যাবে না। পরের ব্যাচের সাথে পরীক্ষা দিয়ে পাস করে আসতে হবে। সেক্ষত্রে ১ বছর অপেক্ষা করা লাগবে।

*মূল কথা- আমি শেষ বর্ষে  ১ম ফাইনাল পরীক্ষায় ১ বিষয়ে ফেইল করি। পরে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে যাই। আরেকবার পরীক্ষা দেয়া যাবে কিনা জানতে চাই. কারণ ১টা বিষয়ের জন্য ১ বছর লস যাবে। তিনি বলেন বিষয় শিক্ষকের নিকট হতে গ্রেস মার্ক নিতে। অর্থাৎ ৬ নম্বর যোগ করে পাস নিয়ে নিতে। আমি বিষয় শিক্ষকের নিকট গেলে তিনি বলেন এটা লিগ্যাল না ,মানবিক ভাবে দেয়া গেলেও তিনি রিক্স নিবেন না।যদি এক্সাম কমিটি অনুরোধ করেন তাহলে দিতে পারেন।  এক্সাম কমিটি কে এই কথা জানাই।কমিটি এই বিষয়টা পুরো ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের মিটিং এ উত্থাপন করেছিল। আমাকে শর্ত দেয় শেষ সেমিস্টারে কোন বিষয়ে ফেইল করা যাবে না,যদি শর্ত পুরন হয় সেক্ষেত্রে এক্সাম কমিটি বিষয় শিক্ষককে অনুরোধ করবেন যতে আমাকে গ্রেস দিয়েই পাস দিয়ে দেয়। আমি শর্ত পুরন করেছি।মিটিং এ কি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানি না,কিন্তু আমি সব শেষ যোগাযোগ করলে আমাকে বলেছেন চিন্তা না করতে।  আমি চাই পরীক্ষা দিতে,কিন্তু উনারা গ্রেস দিয়েই পাস করিয়ে দিতে চান।
* আমি জানতে চাই যে- এভাবে গ্রেস নম্বরে পাস নিলে তা জায়েয হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


পরীক্ষায় ফেইল আসার পর গ্রেস মার্ক নিয়ে পাস করা এক্সামের আইন বহীর্ভুত বিষয়। 
যাহা বৈধ নয়।
এটি বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে ধোকা দেয়ার শামিল।
বিধায় তাহা জায়েজ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ড কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে এভাবে গ্রেস মার্ক নিয়ে পাস করার অনুমতি থাকলে এটি জায়েজ হবে।

আর তাদের অনুমতি না থাকলে এটি যেহেতু আইনের খেলাফ কাজ,তাই এটি জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...