بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/55963/?show=55963#q55963 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ তায়ালা
ইরশাদ করেনঃ-
يَا أَيُّهَا
الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ
إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ
أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا
اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ [٤٩:١٢]
মুমিনগণ,
তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয়
কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা
না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে?
বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে
ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। {সূরা হুজুরাত-১২}
وَيْلٌ
لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ [١٠٤:١]
প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে
পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ, {সূরা হুমাজা-১}
عَنْ أَبِي
سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ
اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ
لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ”
فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى
يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ
হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন
আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও
জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে
আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে?
রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী
ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
অন্য বর্ণনায় এসেছে,
কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না,
যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা
করে। {শুয়াবুল ঈমান,
হাদীস নং-৬৩১৫,
আলমুজামুল আওসাত,
হাদীস নং-৬৫৯০}
"কারো নাম উল্লেখ না
করে গীবত করলে এতে গীবত হবে না। কিন্তু উপস্থিত
লোকেরা যদি বুঝতে পারে যে অমুক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে তবে তা গীবত বলে
গণ্য এবং হারাম হবে। তাই সর্বাবস্থায় এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/4700/
★★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!
১. এক্ষেত্রে আপনার
উচিত তাদেরকে হেকমত ও ভালোকাসার সাথে তাদেরকে বুঝানো ও উক্ত গীবত থেকে তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে, বাধা
দেওয়ার পরেও যদি কাজ না হয়, তাহলে
এমতাবস্থায় কৌশলে উক্ত
মজলিস পরিত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আপনারও গুনাহ হবে।
২. শরীয়ত মানতে গিয়ে দুনিয়াবি কাহারো কথা,
কষ্ট সহ্য করলে আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময়ে
উত্তম জাযা দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
এমতাব্স্থায় মা বাবা রেগে গেলেও আপনার
কোন গুনাহ হবে না। এমনকি তখন মাতাপিতার কথাকে মান্য করাও জায়েয হবে না।
কারণ, যদি মা-বাবা শরিয়তবিরোধী
কোনো কাজের জন্য সন্তানকে আদেশ দেয়, তাহলে সন্তানরা তাদের ওই হুকুম অমান্য করে তা থেকে বিরত
থাকতে হবে। কেননা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে অন্য কারো হুকুম মান্য করা যাবে না। তবে
সে ক্ষেত্রেও তাদের মা-বাবার সঙ্গে অসদাচরণ করা বৈধ নয়। বিস্তারিত জানুন: https://ifatwa.info/43201/?show=43201#q43201