আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)

আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।
১.আমার বাবা একটু ঝগড়াটে স্বভাবের।পান থেকে চুন খসলেই ঝগড়া করে।ওনি আমাকে জেনারেল পড়ার ব্যাপারে বারবার বলাতে ওনার কথা সহ্য করা কষ্টকর হওয়ায় আমি ওনাকে বল্লাম যে ''অন্তত রোজার মাসটা আমায় শান্তি দাও,এরপর যা ইচ্ছা করো।"
এটা বলাতে ওনি রেগে গিয়ে যা ইচ্ছে তা বলে অভিশাপ দেন।ওনি প্রায়ই এমন করেন।আমার মাকেও কারণে অকারণে এরকম করেন।ওনি তাহাজ্জুদ গুজার।নামাজী।কিন্তু আচরণে অনেক ত্রুটি আছে।
এখন আমি জানতে চাইছি আমার আচরণের জন্য আল্লাহ কি আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন কিনা।
২.মাঝে মাঝে মনে হয় বাবার সাথে একদমই কথা না বলি,কেননা কথা বললেই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।কথা না বললে কি গুনাহ হবে?
৩.বাবা ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রেও আমি যদি নিজের গুনাহ বৃদ্ধির আসংকায় কথা বন্ধ রাখি আমার কি গুনাহ হবে?
৪.গুনাহ হওয়ার আসংকা করি,তাই জেনারেল শিক্ষায় যেতে না চাইলে বাবা মা অসন্তুষ্ট হলে এক্ষেত্রে আমি গুনাহগার হবো কিনা?
৫.বাবা প্রায়ই আমার রুম এ উঁকি দেন।এখন এই ব্যাপারটা আমার খারাপ লাগে,কারণ কখন কোন হালতে থাকি!তো আমি বাবাকে নবিজী(স:)এর ঐ হাদিস যেখানে উনি বলেছেন পাথর নিক্ষেপ করে চোখ অন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে ওটা বলেছিলাম,যাতে বাবা আন্দাজ করতে পারে।কিন্তু তিনি ক্ষেপে গিয়ে আমাকে অনেক অভিশাপ দেন।এখন আমার উপর কি আল্লাহ অসন্তুষ্টি হবেন?
৬.পর্দার কারণে আমি কিছু বিষয় থেকে নিজেকে ঘুটিয়ে নিতে চাইলে বাবা আমাকে যাচ্ছেতাই বলেন।সবর করা কঠিন।দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো সহজ করেন।যদি আল্লাহও আমার উপর অসন্তুষ্ট হন!আমি এই আসংকা করি।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


সন্তানদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা শরীয়ত বহির্ভূত কাজ।
শরীয়ত কর্তৃক গৃহীত কারন ব্যাতিত তাদেরকে ধমকানো,প্রহার কোনোটিই জায়েজ নেই।
,
সন্তানদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার এর কারনে কিয়ামতের ময়দানে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
   
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ فَالأَمِيرُ الَّذِي عَلَى النَّاسِ رَاعٍ عَلَيْهِمْ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى بَيْتِ بَعْلِهَا وَوَلَدِهِ وَهِيَ مَسْئُولَةٌ عَنْهُمْ وَالَعَبْدُ رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ " .

আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! তোমরা সকলে রাখালের ন্যায় দায়িত্বশীল এবং (কিয়ামতের দিন) প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অধীনস্থদের প্রতি দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আমীর (নেতা) হয়েছে, তাকে তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে যে, (সে তার অধীনস্থদের সাথে) কিরূপ ব্যবহার করেছে। আর প্রত্যেক পুরুষ তার পরিবার-পরিজনদের  রক্ষণাবেক্ষণকারী। তাকে তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর স্ত্রী, তার স্বামীর ঘর-সংসার ও তার সন্তানাদির রক্ষণাবেক্ষণকারিনী, তাকে এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কাজেই,  তোমরা সকলে দায়িত্বশীল রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তোমাদের সকলকে তোমাদের অধীনস্থদের  ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
(আবু দাউদ ২৯১৮)

রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘আল্লাহ যে বান্দাকে কোনো জনসমষ্টির দায়িত্বশীল করেন; কিন্তু সে এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে, সে তার অধীনস্থদের ব্যাপারে খেয়ানত করেছে; আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ১৪২)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

★যদি মা-বাবা শরিয়তবিরোধী কোনো কাজের জন্য সন্তানকে আদেশ দেয়, তাহলে সন্তানরা তাদের ওই হুকুম অমান্য করে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে অন্য কারো হুকুম মান্য করা যাবে না। তবে সে ক্ষেত্রেও তাদের মা-বাবার সঙ্গে অসদাচরণ করা বৈধ নয়। 

কোনো মা-বাবা যদি সন্তানের ওপর অত্যাচার করে, তবে তাদের জন্য দোয়া করতে হবে। যখন তাদের মন ভালো থাকে তখন তাদের বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে কোনো অবস্থায়ই খারাপ ব্যবহার করা যাবে না

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উক্ত আচরনের ফলে আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবেননা,ইনশাআল্লাহ।    

(০২)
হ্যাঁ একেবারে কথা বন্ধ করে দিলে ৩ দিন হলে গুনাহ হবে।
 
প্রয়োজনে কম কথা বলবেন।

(০৩)
এতে গুনাহ হবেনা।

(০৪)
না,এতে আপনি গুনাহগার হবেননা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উক্ত আচরনের ফলে আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবেননা,ইনশাআল্লাহ।    

(০৬)
তায়ালা আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবেননা,ইনশাআল্লাহ।    
জী,দোয়া করবো,ইনশাআল্লাহ।  
আপনিও আল্লাহর কাছে পিতার এহেন ব্যবহার পরিবর্তন হওয়ার দোয়া চাইবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...