আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তাদ।

১. মডেল মসজিদে নামাজ পরাতে সমস্যা আছে কি না?

২. একটি মসজিদ এক স্থানে আছেই, নতুন করে তার বিপরীতেই একটি মসজিদ দেয়া হয়েছে যা দরকার ছিল না। এই নতুন মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে?
৩. কোনো ভাই হঠাৎ নামাজ পরা ছেড়ে দিলে, "সে গাফেল হয়ে গেছে" এই ধারণা করা কি গুনাহ হবে? উক্ত ধারণা না রাখলে তাকে দাওয়াত দেয়া যাবে না। সে সঠিক রাস্তায় নেই, এই ধারণা রাখলেই তো কেবল দাওয়াত এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। এ ক্ষেত্রে মন্দ ধারণা করার গুনাহ হবে?
৪. পরিবার যদি সহশিক্ষা থেকে বের হয়ে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করাতে রাজি হয় তবে হঠাৎ মাথায় চিন্তা আসে, "বড় পর্যায়ে পৌছাতে পারলে, বড় কিছু হতে পারলে বেশি দাওয়াহ এর কাজ করা যাবে তাই কষ্ট করে হলেও সহশিক্ষায় পড়ি"

উক্ত চিন্তা কি ঠিক?

৫. কয়েকজন বন্ধু মিলে কুরআনের কোনো আয়াতকে ঘিরে গভির আলোচনা করা উচিত? এক্ষেত্রে অনেক সময় নিজেরা ভুল ব্যাখ্যা করার সম্ভাবনা থাকে।


জাজাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)মডেল মসজিদে নামাজ পড়েতে কোনে সমস্যা নাই।

(২)একটি মসজিদ এক স্থানে আছেই, নতুন করে তার বিপরীতেই একটি মসজিদ দেয়া হয়েছে যা দরকার ছিল না। এই নতুন মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে।পুরাতন মসজিদকে হয়তো নতুন মসজিদের সাথে মিলানো হবে অথবা দেয়াল দিয়ে হেফাজত করা হবে।

لأهل المحلة تحويل باب المسجد... لهم تحويل المسجد إلی مکان آخر إن ترکوه بحيث لايصلی فيه ولهم بيع مسجد عتيق لم يعرف بانيه وصرف ثمنه في مسجد آخر.
মহল্লাবাসী মসজিদের দরজাকে পরিবর্তন করতে পারবে........ এমনকি মহল্লাবাসী মসজিদকে এক স্থান থেকে অন্যত্র পরিবর্তন করতে পারবে যদি লোকজন তাতে নামায পড়া ছেড়ে দেয়। তাছাড়া পুরাতন বিরান এমন মসজিদ যে মসজিদের নির্মাতা সম্পর্কে জানা যায় না, সেই মসজিদকে বিক্রি করারও সুযোগ রয়েছে।এবং সেই মসজিদের মূল্যকে ভিন্ন মসজিদে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।(রদ্দুল মুহতার-৪/৩৫৭,দারুল ফিকর,বায়রুত থেকে প্রকাশিত) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/60384

(৩) কোনো ভাই হঠাৎ নামাজ পরা ছেড়ে দিলে, "সে গাফেল হয়ে গেছে" এই ধারণা করা গুনাহ হবে না।

উক্ত ধারণা না রাখলে তাকে দাওয়াত দেয়া যাবে না। সে সঠিক রাস্তায় নেই, এই ধারণা রাখলেই তো কেবল দাওয়াত এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। এজন্য মন্দ ধারণা করার গুনাহ হবে না।তবে তার ব্যাপারে সমালোচনা করে বেড়ানো যাবে না।

(৪)পরিবার যদি সহশিক্ষা থেকে বের হয়ে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করাতে রাজি হয় তবে হঠাৎ মাথায় চিন্তা আসে, "বড় পর্যায়ে পৌছাতে পারলে, বড় কিছু হতে পারলে বেশি দাওয়াহ এর কাজ করা যাবে তাই কষ্ট করে হলেও সহশিক্ষায় পড়ি"

উক্ত চিন্তা অঠিক নয়। অনেকাংশে সঠিকই রয়েছে।

(৫)কয়েকজন বন্ধু মিলে কুরআনের কোনো আয়াতকে ঘিরে গভীর আলোচনা করা উচিত।আলোচনাটা মুফাসসিরিনে কেরামের উক্তির সাথেই হতে হবে। নতুবা মনগড়া ব্যখ্যা হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...