ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)মডেল মসজিদে নামাজ পড়েতে কোনে সমস্যা নাই।
(২)একটি মসজিদ এক স্থানে আছেই, নতুন করে তার বিপরীতেই একটি মসজিদ দেয়া হয়েছে যা দরকার ছিল না। এই নতুন মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে।পুরাতন মসজিদকে হয়তো নতুন মসজিদের সাথে মিলানো হবে অথবা দেয়াল দিয়ে হেফাজত করা হবে।
لأهل المحلة تحويل باب المسجد... لهم تحويل المسجد إلی مکان آخر إن ترکوه بحيث لايصلی فيه ولهم بيع مسجد عتيق لم يعرف بانيه وصرف ثمنه في مسجد آخر.
মহল্লাবাসী মসজিদের দরজাকে পরিবর্তন করতে পারবে........ এমনকি মহল্লাবাসী মসজিদকে এক স্থান থেকে অন্যত্র পরিবর্তন করতে পারবে যদি লোকজন তাতে নামায পড়া ছেড়ে দেয়। তাছাড়া পুরাতন বিরান এমন মসজিদ যে মসজিদের নির্মাতা সম্পর্কে জানা যায় না, সেই মসজিদকে বিক্রি করারও সুযোগ রয়েছে।এবং সেই মসজিদের মূল্যকে ভিন্ন মসজিদে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।(রদ্দুল মুহতার-৪/৩৫৭,দারুল ফিকর,বায়রুত থেকে প্রকাশিত) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/60384
(৩) কোনো ভাই হঠাৎ নামাজ পরা ছেড়ে দিলে, "সে গাফেল হয়ে গেছে" এই ধারণা করা গুনাহ হবে না।
উক্ত ধারণা না রাখলে তাকে দাওয়াত দেয়া যাবে না। সে সঠিক রাস্তায় নেই, এই ধারণা রাখলেই তো কেবল দাওয়াত এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। এজন্য মন্দ ধারণা করার গুনাহ হবে না।তবে তার ব্যাপারে সমালোচনা করে বেড়ানো যাবে না।
(৪)পরিবার যদি সহশিক্ষা থেকে বের হয়ে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করাতে রাজি হয় তবে হঠাৎ মাথায় চিন্তা আসে, "বড় পর্যায়ে পৌছাতে পারলে, বড় কিছু হতে পারলে বেশি দাওয়াহ এর কাজ করা যাবে তাই কষ্ট করে হলেও সহশিক্ষায় পড়ি"
উক্ত চিন্তা অঠিক নয়। অনেকাংশে সঠিকই রয়েছে।
(৫)কয়েকজন বন্ধু মিলে কুরআনের কোনো আয়াতকে ঘিরে গভীর আলোচনা করা উচিত।আলোচনাটা মুফাসসিরিনে কেরামের উক্তির সাথেই হতে হবে। নতুবা মনগড়া ব্যখ্যা হয়ে যাবে।