ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কারো আদত থাকে যে অমুক সময় তার হায়েয শুরু হবে, এমতাবস্থায় নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পরও ইচ্ছাকৃত নামাযকে পরিত্যাগ করার কারণে পরবর্তীতে কাযা করলেও গোনাহ হবে।কিন্তু যদি কারো সাধারণ এক সময়ে হায়েয হওয়ার আদত না থাকে,এবং ইচ্ছাকৃত নামাযকে পরিত্যাগ করার কারণে নামাযকে ডিলে করা না হয়, তাহলে নামায কাযা হওয়ার কারণে কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, আওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়াই উচিৎ ও দায়িত্ব এবং কর্তব্য।