আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
403 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, কোন মুসলমানের জন্য জায়েয নয় যে, আপন মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া রাখে। যে ব্যক্তি তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া রাখিল এবং এই অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিল সে জাহান্নামে যাইবে। (আবু দাউদ)

আসসালামু আলাইকুম।

 সম্মানিত ওলামায়ে কেরামের কাছে এই হাদিসের আলোকে জানতে চাই, কোন মুসলমানের সাথে যদি আমি এসব কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করি যেমন - তার চরিত্র খারাপ, আখলাক নষ্ট, বদ মেজাজী। তার সাথে চলাফেরা করলে আমার যেকোনো ধরনের (আর্থিক, শারীরিক, মানসিক, দ্বীনি, দুনিয়াবি ইত্যাদি) ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাহলেও কি আমি হাদীসে উল্লেখিত শাস্তির সম্মুখীন হব?


জাযাকাল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (702,270 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু আইয়ুব রাযি থেকে বর্ণিত।
 وعَنْ أَبِي أَيُّوبَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، يَلْتَقِيَانِ, فَيُعْرِضُ هَذَا، ويُعْرِضُ هَذَا، وخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তির জন্য হালাল নয় যে সে তার ভাই এর সাথে তিন দিনের বেশী এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে, দু’জনে সাক্ষাৎ হলেও একজন এদিকে আর অপর জন সে দিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের মধ্যে যে সর্বপ্রথম সালামের সূচনা করবে, সেই উত্তম ব্যাক্তি।(সহীহ মুসলিম-২৫৬০)

উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় মুল্লা আলী কারী রাহ লিখেন,
وَأَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّ مَنْ خَافَ مِنْ مُكَالَمَةِ أَحَدٍ وَصِلَتِهِ مَا يُفْسِدُ عَلَيْهِ دِينَهُ أَوْ يُدْخِلَ مَضَرَّةً فِي دُنْيَاهُ يَجُوزُ لَهُ مُجَانَبَتُهُ وَبُعْدُهُ، وَرَبَّ صَرْمٍ جَمِيلٍ خَيْرٌ مِنْ مُخَالَطَةٍ تُؤْذِيهِ.
উলামাগণ একমত যে, কারো সাথে কথা বললে বা মিলিত হলে যদি তার দ্বীন নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা বা তার দুনিয়া তার জন্য কষ্টকর হবে বলে ধারণা হয়, তাহলে এমন মানুষ থেকে দূরে থাকার জায়েয রয়েছে।অনেক সম্পর্ক বর্জন বা দূরত্ব এমন রয়েছে যা মিলিত হওয়ার চেয়ে অনেক উত্তম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো চরিত্র খারাপ বা কেউ বদ মেজাজী থাকলে কিংবা তার সাথে  চলাফেরা করলে, আর্থিক,শারীরিক, মানসিক, দ্বীনি, দুনিয়াবি ইত্যাদি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তখন ঐ ব্যক্তি থেকে দূরে অবস্থান করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আস সালামু আলাইকুম।  আমিও একি রকম প্রশ্ন করেছি কিন্তু আমাকে উত্তরে বলা হয়েছে সালাম চালিয়ে যেতে। আমার অই আত্মীয়ের সাথে দেখা হয়েছে তবে আমি সালাম দেইনি মনের রাগ থেকে আবার নতুন করে খোচাখুচি কথা বলবে তাই।

আসলে সঠিক উত্তর কি? আমি আসলে কোনভাবেই চাচ্ছিনা আমার আপন ফুফু ও ফুফাতো ভাইএর সাথে সালাম বিনিময় করতে এবং একটা আপন চাচির সাথে।

কারণ তারা মনে অনেক জটিলতা নিয়ে চলে আর আমি নিজেকে পজিটিভ রাখতে পারিনা ওদের সাম্ননে। দয়া করে জানাবেন আমি কি করব?

এখন ফোনে সালাম দিয়ে মিটমাট করা লাগবে? নাকি যদি ভবিষ্যতে দেখা হয় তখন সালাম দিলেও হবে।
সবচেয়ে ভাল হয় যদি সালাম ও দিতে না হয়
by (702,270 points)
ভবিষ্যতে কখনো দেখা হলে সালাম দিলেই চলবে। যে সব আত্মীয়দের দ্বারা দুনিয়া আখেরাতে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে, তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা যাবে। তাদের সাথে কথা না বললে তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্টের কোনো গোনাহ হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...