ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
‘নামায’ অন্য সকল ইবাদত থেকে ভিন্ন ধরণের ইবাদত। এ ইবাদতটি হল সরাসরি আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজিরা দিয়ে তাঁর মহান স্বত্ত্বার সামনে দন্ডায়মান হয়ে তাঁর সাথে কথোপকথনের এক অপূর্ব মুহূর্ত। এ কারণেই নামায অবস্থায় একাগ্রতা ও খুশুখুযুর প্রতি যেভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, অন্য কোনো ইবাদতের বেলায় তেমনটি করা হয়নি। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ‘ঐ সকল মুমিন সফলকাম, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র।
(সূরা মুমিনুন ১-২)
যদি জামাত চলাকালীন কোনো মুসল্লীর মোবাইল বেজে উঠে,তাহলে সেক্ষেত্রে দুই হাত ব্যবহার না করে নামাযের আপন অবস্থাতে থেকেই এক হাতের সাহায্যে মোবাইল পকেটে রেখেই কোনো বাটন চেপে রিং বন্ধ করে দিবে। আর পকেট থেকে বের করার প্রয়োজন হলেও এক হাত দ্বারাই করবে। মোবাইল বের করে পকেটের কাছে রেখেই না দেখে দ্রুত বন্ধ করে পকেটে রেখে দিবে।
নামাযে মোবাইল বন্ধের জন্য একসাথে দুই হাত ব্যবহার করা যাবে না। যদি এক সাথে দুই হাত ব্যবহার করে তবে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজ শুরু করার পর ফোন আসলে নামাজ ভেঙ্গে দেয়া জায়েজ নেই।
এক্ষেত্রে নামাজ চালু রেখেই হাত দিয়ে ফোন বন্ধ করতে হবে।
(০২)
ওযর বশত হলে কোনো সমস্যা নেই।
ওযর ছাড়া ইচ্ছাকৃত ভাবে করলে সুন্নাতের খেলাফ হবে।
যেটিকে মাকরুহ বলে।
(০৩)
রুকুতে গিয়ে ইমামকে রুকুতে সামান্য সময়ের জন্য হলেও পেতে হবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেমাসবূক ঐ রুকুকে রাকাত ধরবেনা।
পুনরায় তাকে উক্ত রাকাত আদায় করতে হবে।
(০৪)
ইমামের সালাম ফিরানোর আগেই যদি তাকবিরে তাহরিমা বলা শেষ হয়,তাহলে তাকে জামায়াত পেয়েছে বলে ধরা হবে।
নতুবা আলাদা ভাবে নামাজ আদা করবে।
(০৫)
হ্যাঁ, পড়া যাবে।
(০৬)
হ্যাঁ, এভাবে সাহু সেজদাহ আদায় হয়ে যাবে।
শেষোক্ত ছুরতেও সাহু সেজদাহ আদায় হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে কিবলা থেকে সিনা সরে গেলে বা নামাজ ভঙ্গের কারণ দেখা দিলে আবার নতুন করেই সালাত পড়তে হবে।
এই মাসয়ালা সঠিক।
(০৭)
একটি সেজদাহ আরো একটি সেজদাহ দিয়ে নামাজ শেষ করবে।
আর সেজদাহ বেশি দিলে এভাবে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে।
নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবেনা।
(০৮)
ঐ দিনের আছরের নামাজ হয়ে যাবে।
(০৯)
আমাদের দেশে তো এটিকে আজকের দিনই বলা হয়।
তাই সে আজকের দিনের নিয়তই করবে।
(১০)
হ্যাঁ, সালাত হবে।
(১১)
এক্ষেত্রেও নামাজ হয়ে যাবে।