আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in সালাত(Prayer) by (58 points)
আচ্ছালামু আ'লাইকুম,

১.  নামাজ শুরু করার পর যদি ফোন আসে তাহলে নামাজ ভেঙে কি ফোন কাটা যাবে? নাকি নামাজ ভাঙলে গুনাহ হবে? আর নামাজ ভাঙার উত্তম পদ্ধতি কোনটা?
এক আলেম বললো, যে অবস্থায় আছি সে অবস্থায় দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে দেওয়া।

২. নামাজে শেষ বৈঠকে কেউ ইচ্ছে করে যদি দুরুদ ও দোয়া মাছুরা না পড়ে (ওজর হলো সূর্য উদয় এর সময় শুরু হয়ে যাবে) তাহলে কি নামাজ মাকরুহ হবে? আর ওজর ছাড়া ইচ্ছাকৃত ভাবে করলে কি হবে?
৩. জামাত ধরার সময় মাসবূক এসে দেখলো ইমাম রুকুতে আছে সেও তাকবীর বলে রুকুতে যাচ্ছে আর ইমাম তাকবীর বলে রুকু থেকে উঠা শুরু করলো এতে কি মাসবূক কি ওই রুকুকে রাকাত ধরবে?

৪. মাসবূক এসে দেখলো ইমাম শেষ বৈঠকে সেও তাকবীর দিয়ে শেষ বৈঠকে বসতে যাবে এ অবস্থায় ইমাম সালাম ফিরানো শুরু করল আর মাসবূকও পুরোপুরি বসে গেল। এখন মাসবূক কি জামাত পেয়েছে অন্তর্ভুক্ত হবে নাকি নামাজ ভেঙ্গে নতুন করে নামাজ শুরু করবে.?

৫. আছর এর নামাজ আদায় করার পর একা একা নির্জন জায়গায় বা লোক নেই এমন জায়গায় কাযা নামাজ কি পড়া যাবে?

৬. নামাজ শেষ করার পর মনে পড়লো নামাজে একটা ওয়াজিব আদায় হয়নি সাহু সিজদা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে ২টি সেজদা দিয়ে আবার আত্তাহিয়্যাত, দুরুদ, দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফিরাল কি সাহু সেজদা আদায় হবে?

• এক্ষেত্রে কিবলা থেকে সিনা সরে গেলে বা নামাজ ভঙ্গের কারণ দেখা দিলে তো আবার নতুন করেই সালাত পড়তে হবে জানি  এটা সঠিক কিনা আর কেউ দাড়িয়ে গিয়ে অন্য সালাত আদায়ের জন্য কিন্তু নামাজ শুরু করেনি তখন মনে পড়ল আর সাহু সিজদা আদায় করল। এই সাহু সিজদা আদায় হবে?

৭. সাহু সিজদা এর ক্ষেত্রে কেউ যদি সাহু সিজদা কম বেশি করে তাহলে কি নামাজ নষ্ট হবে নাকি নামাজ হয়ে যাবে? যেমন সাহু সিজদা ১ টা বা ৩ টা দিয়ে দিলো।
৮. কেউ যদি আছর এর নামাজ এমন সময় পড়ে যেমন সালাম ফিরাচ্ছে বা শেষ বৈঠক থাকা অবস্থায় মাগরিব এর আযান দিয়ে দিল। তাহলে ঐ আছর এর নামাজ কি হয়েছে নাকি কাযা করতে হবে?

৯. ধরি, কোনো ব্যাক্তির জোহর এর সালাত ছুটেছে। এই সালাত সে রাত্রে কাজা আদায় করবে। এখন সে কি গতকালের নিয়ত রাখবে নাকি আজ? যেহেতু ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী মাগরিবের পর নতুন তারিখ শুরু হয়।
১০. নামাজে তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে কোনো আয়াত বাদ পরে গেলে বা আয়াত আগ পিছ করলে ওই সালাত কি হবে?
১১.আর তিলাওয়াত এর ক্ষেত্রে রব্বিকি এর এর জায়গায় রব্বিকা এমন টাইপ মিসটেক করে ফেললে নামাজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
‘নামায’ অন্য সকল ইবাদত থেকে ভিন্ন ধরণের ইবাদত। এ ইবাদতটি হল সরাসরি আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজিরা দিয়ে তাঁর মহান স্বত্ত্বার সামনে দন্ডায়মান হয়ে তাঁর সাথে কথোপকথনের এক অপূর্ব মুহূর্ত। এ কারণেই নামায অবস্থায় একাগ্রতা ও খুশুখুযুর প্রতি যেভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, অন্য কোনো ইবাদতের বেলায় তেমনটি করা হয়নি। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ‘ঐ সকল মুমিন সফলকাম, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র। 
(সূরা মুমিনুন ১-২)

যদি জামাত চলাকালীন কোনো মুসল্লীর মোবাইল বেজে উঠে,তাহলে সেক্ষেত্রে দুই হাত ব্যবহার না করে নামাযের আপন অবস্থাতে থেকেই এক হাতের সাহায্যে মোবাইল পকেটে রেখেই কোনো বাটন চেপে রিং বন্ধ করে দিবে। আর পকেট থেকে বের করার প্রয়োজন হলেও এক হাত দ্বারাই করবে। মোবাইল বের করে পকেটের কাছে রেখেই না দেখে দ্রুত বন্ধ করে পকেটে রেখে দিবে।

নামাযে মোবাইল বন্ধের জন্য একসাথে দুই হাত ব্যবহার করা যাবে না। যদি এক সাথে দুই হাত ব্যবহার করে তবে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজ শুরু করার পর ফোন আসলে নামাজ ভেঙ্গে দেয়া জায়েজ নেই।
এক্ষেত্রে নামাজ চালু রেখেই হাত দিয়ে ফোন বন্ধ করতে হবে।

(০২)
ওযর বশত হলে কোনো সমস্যা নেই।
ওযর ছাড়া ইচ্ছাকৃত ভাবে করলে সুন্নাতের খেলাফ হবে।
যেটিকে মাকরুহ বলে।

(০৩)
রুকুতে গিয়ে ইমামকে রুকুতে সামান্য সময়ের জন্য হলেও পেতে হবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেমাসবূক ঐ রুকুকে রাকাত ধরবেনা।
পুনরায় তাকে উক্ত রাকাত আদায় করতে হবে। 

(০৪)
ইমামের সালাম ফিরানোর আগেই যদি তাকবিরে তাহরিমা বলা শেষ হয়,তাহলে তাকে জামায়াত পেয়েছে বলে ধরা হবে। 
নতুবা আলাদা ভাবে নামাজ আদা করবে।

(০৫)
হ্যাঁ, পড়া যাবে।

(০৬)
হ্যাঁ, এভাবে সাহু সেজদাহ আদায় হয়ে যাবে। 

শেষোক্ত ছুরতেও সাহু সেজদাহ আদায় হয়ে যাবে। 

এক্ষেত্রে কিবলা থেকে সিনা সরে গেলে বা নামাজ ভঙ্গের কারণ দেখা দিলে আবার নতুন করেই সালাত পড়তে হবে।
এই মাসয়ালা সঠিক।

(০৭)
একটি সেজদাহ আরো একটি সেজদাহ দিয়ে নামাজ শেষ করবে।
আর সেজদাহ বেশি দিলে এভাবে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে।
নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবেনা।

(০৮)
ঐ দিনের আছরের নামাজ হয়ে যাবে।

(০৯)
আমাদের দেশে তো এটিকে আজকের দিনই বলা হয়।
তাই সে আজকের দিনের নিয়তই করবে। 

(১০)
হ্যাঁ, সালাত হবে।

(১১)
এক্ষেত্রেও নামাজ হয়ে যাবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...