আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
210 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম আমার বোনের বিয়ে হয়েছে ১ বছর মতো প্রথম প্রথম তাদের মধ্যে সব ঠিক ছিলো কিন্তু কয়েক মাস হলো আমার বোন এর মনে হতে লাগে তার স্বামী তাকে আগের মতো ভালোবাসে না তো সন্দেহ বসত আমার বোন তার স্বামীর ফোন চেক করে এবং সে দেখতে পায় তার স্বামী কিছু মেয়ের সাথে কথা বলে। এ কথা স্বামীর কাছে বললে তার গায়ে হাত তোলে এবং বিষয় টা অশিকার করে। কিন্তু এভাবে ঝামেলা চললে এক পর্যায়ে ওর স্বামী বলে ওনার জ্বিনের সমস্যা আছে ওনি না চায়তেই মেয়ে বিষয় থেকে নিজেকে আটকাতে পারে না।


অন্য একটি ঘটনা আমার একটা ফুপাতো ভাই ছিলো তার ও নাকি জ্বিন সমস্যা ছিল তার প্রেমিকা আমাকে একদিন ফোন দিয়ে বলে যে আমার ভাই নাকি তার সাথে ছাড়াও আরো মেয়ের সাথে কথা বলে একই নাম্বার দিয়ে প্রায় এক ই সময়ে এটা নাকি আমার ভাই নিজে বলেছে তাকে কিন্তু এটা তার প্রেমিকা মানতে নারাজ কারণ তারা সবসময় কথা বলতো ফোন ওয়েটিং থাকলে তাকে কন্ভাট কলে সব শোনাতো তাহলে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলতো কখন।


এখন আমার প্রশ্ন হলো এমন কি আসলেই হয় জ্বিনে আসর করলে কি আসলেই এমন হয় আর যদি হয়ে থাকে তাহলে এর রুকিয়া কি কিভাবে আমার বোন এর সংসার বাঁচাবো,,
পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এসব জীন কর্তৃক সংঘটিত বলে বুঝা যায়না।

তবুও পরামর্শ থাকবে অভিজ্ঞ দ্বীনদার রুকইয়া কারী/কবিরাজের স্বরনাপন্ন হতে। এক্ষেত্রে তার জীনের সমস্যা আছে কিনা,জানা যাবে।

সেক্ষেত্রে জীনের সমস্যা থেকে বাঁচতে আমল করতে হবে।

বিশেষতঃ যে দুআটি রাসূলুল্লাহ ﷺ  থেকে সাব্যস্ত হয়েছে:
اللَّهُمَّ ربَّ النَّاسِ، أَذْهِب الْبَأسَ، واشْفِ، أَنْتَ الشَّافي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفاءً لاَ يُغَادِرُ سقَماً
(অর্থ- হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি কষ্ট দূর করে দিন ও আরোগ্য দান করুন। (যেহেতু) আপনিই রোগ আরোগ্যকারী। আপনার আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। আপনি এমনভাবে রোগ নিরাময় করে দিন যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।)
জিব্রাইল আ. নবী ﷺ-কে যে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন সেটাও পড়া যেতে পারে। 

সে দুআটি হচ্ছে-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
(অর্থ- আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সকল কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।)

এই দোয়াটি তিনবার পড়ে শরীরে ফুঁ দিবেন। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন।

তার জন্য আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...