আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আস্-সালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি তাআ'লা ওয়া...  সম্মানিত/মুহতারম মুফতি সাহেব হাফিঃ আমি মুহাম্মদ নাইমুল হোসাইন। চট্টগ্রাম থেকে বলছি। মুহতারম আশাকরি আল্লাহ দয়া তে ভালো আছেন।

মুহতারম আমার প্রশ্ন -

কেউ যদি আমার উপর তাবিজ করে।যার ফলে আমার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এবং শারীরিক সমস্যা থেকে মানসিক অস্থিরতা কাজ করে। যার জন্য আমি কোন কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২/৪ মাসের বেশি থাকতে পারি না। এবং শারীরিক অবনতি অনেকটা কঠিন। এখন শরীয়াহ্ ভিত্তিতে সেলফ্ রুকইয়া নিজের সামান্য জ্ঞানের ভিতরে করার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। তবুও যেন রেহাই পাচ্ছি না বদনজর ও তাবিজ এর প্রভাব থেকে। বলাবাহুল্য যে, আমাদের জন্য তাবিজ করছে আমার আপন চাচা। এটা ও আমরা শিওর। ২০১৯ সাল থেকে এই রকম হয়ে আসছে। আমি ২০১৯ সাল ২০২২ এর জুন এর মধ্যে অনেক কর্মক্ষেত্রে ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। যেমন ২০১৯ সালে হাফেজি মাদ্রাসা, ২০২১-২২ জুন ১৩ এর মধ্যে এমপিও ভুক্ত দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও জুমার খেদমত এ ছিলাম। তাও অল্প অল্প সময়। এখন কি করতে পারি?
আমি আলহামদুলিল্লাহ ব্যক্তিগত ভাবে অনেক সহজসরল ও বিনয়ী। এখন ধৈর্য্য হারা হয়ে গিয়েছি।
বিঃদ্রঃ আমি তাবিজ ঝুলানো তে বিশ্বাসী না।


এখন কি উপায়ে খারাপ জ্বিন থেকে ও বান থেকে রক্ষা পেতে পারি।


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাত এ সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুক আমিন।

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনার ফুফুকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন-http://istefta.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10103

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কওমী মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো মুদাব্বির তথা নেককার মানুষের শরণাপন্ন হবেন।ইনশা'আল্লাহ সফলতা আসবে।আল্লাহ সহায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...