বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
সন্তানকে বাধ্য করার জন্য এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতে হবেঃ-
اللهم) اَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ)
(আল্লাহুম্মা) আসলিহলি ফি যুররিয়্যাতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা।
(সুরা আহকাফ ১৫)
(হে আল্লাহ), আমার বংশধরদের সংশোধন করে দাও, অবশ্যই আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।
তাকে কুরআনের শিক্ষা দিতে হবে।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে পাঠানো যেতে পারে।
হক্কানি শায়েখদের ওয়াজ নসিহত শুনতে বলতে হবে।
নেককার লোকদের সাথে উঠাবসার ব্যবস্থা করতে হবে।
অসৎ সঙ্গ ত্যাগের যাবতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
প্রয়োজনে শাসনের লাঠি হাতে তুলে নিতে হবে
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ "
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাজ রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে অযু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১.বুলুগুল মারাম ৭৫।)
عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " إِذَا قَاءَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ أَوْ قَلَسَ ، فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ، ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى مَا مَضَى مِنْ صَلَاتِهِ ، مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ " ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : " فَإِنْ تَكَلَّمَ اسْتَأْنَفَ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেই নামাযরত অবস্থায় বমি করলে অথবা (পেট থেকে) খাদ্য বা পানীয় তার মুখে এসে গেলে সে যেন বের হয়ে গিয়ে উযু করে, তারপর অবশিষ্ট নামায পড়ে, যদি সে কথাবার্তা না বলে থাকে। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, সে যদি কথা বলে থাকে তাহলে পুনরায় নতুন করে নামায পড়বে।
(সুনানে দারা কুতনি ৫৪১।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সাহু সিজদা না দিয়ে নামাজে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে ফেলার পর যদি নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ না করে,যেমন খাওয়া পান করা,কাহারো সাথে কথাবার্তা বলা ইত্যাদি, তাহলে সেক্ষেত্রে তখনই দুই সিজদা দিয়ে আবার সালাম ফিরালে নামাজ শুদ্ধ হবে।
(০৩)
জায়েজ আছে।
সে যেহেতু মুসলিম, তাই তাকে বিবাহ করা জায়েজ আছে।
পরবর্তীতে বুঝিয়ে সুন্নাতী দাঁড়ি রাখানোর চেষ্টা করতে হবে।
(০৫)
পূর্বের নামাজগুলি পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
তবে আগামীতে এরকম আর করবেননা।
(০৬)
ওয়াক্ত থাকলে সেই নামাজ পুনরায় আদায় করা আবশ্যক।
আর ওয়াক্ত চলে গেলে তার উপর পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করা আবশ্যক কিনা,এই ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
সতর্কতামূলক এই ছুরতেও নামাজ পুনরায় আদায় করা উচিত।
(০৭)
হ্যাঁ, সাহু সেজদাহ দিলে হবে।