আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
১.আবু লাহাব তো কাফের অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।এখন কোনো মহিলার যদি মনে সন্দেহ লাগে আবু লাহাব কি পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলো যদি করে থাকে তাহলে তো তাকে কাফের বলা যাবে না এরকমটা কেন যেন মহিলার মনে হলো। আবু লাহাবকে নিয়ে এরকম সন্দেহ হওয়ার কারনে যে সে ইমান এনেছিলো কিনা পরবর্তীতে এতে কি ইমান চলে যাবে?এধরনের সন্দেহ করার পরের দিন সে ফোনে সার্চ করে দেখে তার কাফের অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।এখন ঐ মহিলার ভয় লাগছে তার ইমান চলে গেলো কিনা।

৩.শিয়ারা তো কাফের। এখন কারো মনে যদি সামান্য সময়ের জন্য সন্দেহ চলে আসে যে তারা কাফের কিনা আবার কিছুক্ষণ পর যদি সে শিয়াদের কাফের বলে মনে করে। তবুও এই সন্দেহ করার কারনে কি ইমান চলে যাবে উক্ত ব্যক্তির??

৪.কোনো পর্নস্টার পুরুষের গোপন অঙ্গ দেখে যদি কেউ তাকে মুসলিম ভেবে ফেলে এবং পরে মনে মনে বলে মুসলিম হলে কি লোকটা এতো খারপ হতো নাকি তার মনে হতে লাগলো খাৎনা হলে কি সে মুসলিম কিনা অনেক অমুসলিম ও তো খৎনা করে।এরকম টা প্রথমে মুসলিম ভাবার কারনে কি তার ইমান চলে যাবে?

৫.উপরের প্রশ্নগুলো কররার কারনে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?

৬.স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়ার পর হালালাহ ব্যতীত সেই স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করে এমন পুরুষ লোক যদি তার নিজ কন্যার অভিভাবক হিসেবে বিয়েতে উপস্থিত থেকে মেয়ের পক্ষ হতে প্রস্তাব বা কবুল বলে বিবাহ সম্পাদন করে।এতে কি উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবে??মেয়ে ইজাব কবুল বলেনি তার সম্মতি ছিলো।উক্ত বাবাই যদি সব করে থাকে।

৭.তালাক প্রাপ্ত কোন মহিলা যদি বলে আমরা দুজন আলাদা হয়ে গেছি দুজন ফাঁক হয়ে গেছি এতে কি নিজের উপর তালাক পতিত হবে যদি তালাকের নিয়তে বলে ফেলে?

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান তার অপর মুসলমান ভাইকে বলে, ‘হে কাফের’ তখন যে কোন একজনের উপর অবশ্যই বাক্যটি পতিত হয়। যাকে কাফের বলা হল, সত্যিই যদি সে কাফের হয়ে থাকে তবে কোন কথা নেই। কিন্তু সে যদি তা না হয়ে থাকে তবে যে কাফের বলে সম্বোধন করে তার ওপরই পতিত হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْمَُرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ.

হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৩৪)

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٌ قَالَ لأَخِيهِ: كَافِرٌ، فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا.

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন লোক তার কোন ভাইকে ‘হে কাফের’ বলে সম্বোধন করলে তাদের একজন কুফরীর শিকার হলো (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, মুয়াত্ত্বা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৪১)।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
ঐ মহিলার ঈমান চলে যায়নি।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে ভুল আকীদায় থাকার কারনে তাকে তওবা করতে হবে।

(০৪)
এতে তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৫)
উপরের প্রশ্নগুলো করার কারনে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মেয়ের পক্ষ থেকে সম্মতি নিয়ে উক্ত বাবা যদি এভাবে মেয়ের পক্ষ হতে প্রস্তাব বা কবুল বলে বিবাহ সম্পাদন করে,তাহলে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবে।

(০৭)
এতে তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (56 points)
৬.মেয়ে বিয়েতে আগে থেকে রাজি ছিলো তার সম্মতি ছিলো কিন্তু বাবা তার কাছ থেকে ঐ ভাবে জিজ্ঞেস করে সম্মতি নেয়নি যে মেয়ে বিয়েতে রাজি কিনা। তবে মেয়ে নিজে বিয়েতে রাজি ছিলো।এতে কি উক্ত বাবার অভিভাবকত্বে মেয়ের বিয়ে হয়েছে
by (559,260 points)
মেয়ে নাবালেগাহ হলে তো কোনো সমস্যা হয়নি।

মেয়ে বালেগাহ হয়ে থাকলে,
মেয়ের সামনে উক্ত বিবাহ সংক্রান্ত আলোচনা চলাকালীন সময় বাবার উপস্থিতিতে মেয়ে কি চুপ ছিলো? বা হাসি দিয়েছিলো?
যদি তাই হয়,সেক্ষেত্রে বিবাহ হয়ে যাবে।
by (56 points)
মেয়ে বালেগাহ এবং সে বিয়েতে মনে মনে রাজি ছিলো। তবে বাবার উপস্থিতিতে উক্ত বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনার সময় চুপ ছিলো বা হেসেছিলো কিনা তাতো মনে নেই আর বাবাও নিজে তার কাছ থেকে সম্মতি নেয়নি তবে মেয়ে রাজি ছিলো মনে মনে।এখন সমাধান কি হবে?
by (559,260 points)
এই সম্বন্ধে আলোচনা কালে 
মেয়ে যেহেতু উক্ত বিবাহে অসন্তুষ্টি মূলক কিছু জানায়নি,তাই এক্ষেত্রে এটিকে সন্তুষ্টি ধরা হবে।

★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...