আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
হুজুর আমার আগের প্রশ্নে আমি বলসিলাম আমি একজনকে বলসিলাম আমার প্রাক্তন স্বামীকে তালাক দিবো ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। আমি ওই বেক্তিকে কি এটাও বলসি কিনা জ কোনো সাইন লাগলে তুমি করে দিও এটা আমার মনে নেই। একবার মনে হচ্ছে বলসি আবার মনে হচ্ছে বলি নাই। আর যদি এই কথা আমি বলেই থাকি তাহলে ওই কাগজ আমার কাছে তো পাঠানোর  প্রয়োজন চিলনা। ওই ব্যক্তিই সাইন করে দিলেই হতো। আমার একবার মনে হচ্ছে তখন আমি তালাকের জন্য এতো বেশি অতিষ্ট হয়ে ছিলাম যে আমি বলসি  যে তুমি সাইন করার দরকার হলে করে দিও। আরেক মন বলতেসে আমি বলসি কিনা জানিনা বা আমি এমন কথা বলিনি।আবার ওই তালাকের কাগজে লিখা ছিলো স্বামীকে ১ ২ ৩ তালাক দিতেসি আর নিজের ওপর তালাকে তফাবিজ নিতেসি। তারা কাগজ লিখার সময় আমাকে পরে শুনায় নাই। আর তালাকে তফাবিজ কি আমি সেটা তখন জানতাম না। আমি জানতামই না মেয়েরা তালাক দিতে পারেনা মেয়েদের নিজের ওপর তালাক নিতে হয়।আর এই কাগজ আমি কোনোদিন কোর্টে পাঠাই নাই আমার প্রাক্তন স্বামী এখনো জানেনা আমি তাকে তালাক দিসিলাম। আর উনার সাথেই আমার স্বাভাবিক কোথায় হতো। এখন স্বামী স্ত্রী সুলভ কোনো কথা হইসে কিনা ওই তালাকের কাগজ বানানোর পরে সেটাও আমার মনে নাই।

১. যেহেতু আমি জানতাম না যে তালাকে তফাবিজ কি মেয়েদের নিজের ওপর তালাক নিতে হয় তারা তালাক দিতে পারেনা আর যাকে তালাকের কাগজের কথা বলসি  তারা কাগজ বানানোর সময় আমাকে পরেও  শুনায় নাই তাই যদি আমি ওই বেক্তিকে অলি করেও থাকি  তবুও কি তালাক আমি কাগজ হাতে পেয়ে সাইন করার পরে কার্যকরী নাকি ওই ব্যক্তি কাগজ বানানোর সাথেই সাথিরই কার্যকরী

২. আমি অনেক বেশি ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত। অনেক বেশি চিন্তিত। আমি জানিনা আমি স্পষ্ট কোনো কথা মনেও করতে পারতেসিনা। আমি তাহলে কি ধরে নিবো ওই বেক্তিকে অলি বানাইসি নাকি বানাই নাই।

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

আরো জানুনঃ- 
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি স্বামী কর্তৃক নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনি যখন উক্ত কপিতে সাইন করেছেন,তখন থেকেই তালাক কার্যকর হয়েছে। 

(০২)
তাকে আপনি ওলি বানান বা না বানান,সেই ব্যাক্তি যেহেতু উক্ত কপিতে সাইন করেনি,তাই কোনো সমস্যা নেই। 
আপনার সাইনের দ্বারাই তালাক হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...