আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
edited by
আমি কয়েকমাস আগে মারাত্মক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ছিলাম। এখন সুস্থ আছি।
আজ আমাকে বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে দুধ কেনার কথা বলেছিল। আমি দুধের বাজারে না গিয়েই মিথ্যা বলেছি যে, দুধ পাওয়া যায়নি। ঠিক তখনই মনের মধ্যে তালাকের চিন্তা চলে আসলো। ব্যাপারটা এমন আকারে এসেছে যে, আমি যদি সত্যি না বলি তাহলে....  - সম্ভবত এটাই এসেছে। আসলে কি এসেছে মনের মধ্যে তা আমার পুরোপুরি মনে নাই যদিও কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। আমার ভয় লাগছে যে আমি উচ্চারণ করে বলে ফেললাম কি না? যদি উচ্চারণ করে ফেলি তাহলে তো বিয়ের পর তালাক হয়ে যেতে পারে। এই ভয় কাজ করছে। আমি কেনই বা উচ্চারণ করতে যাবো? তবুও ভয় করছে। আমি নিশ্চিত যে উচ্চারণ করে শর্ত দেয়নি। এরপরও ভয় হচ্ছে।
১. আমার কি সতর্কতা হিসেবে বাড়িতে সত্য বলা উচিত? নাকি ওয়াসওয়াসা ভেবে বাদ দিবো।
২. এই প্রশ্নটি লেখার মাধ্যমে যদি ভুল শর্ত লিখে থাকি তাহলে কি সেটার উপরও শর্তযুক্ত তালাক পতিত হবে? আসলে, সত্যি বলার ব্যাপারে এসেছিল কি না তাও মনে নাই। একটু আগে একবার প্রশ্ন করার সময় মনে হয় এমনটাই লিখেছিলাম। পরে আবার লেখা মুছে দিয়েছি।
৩. আপনার দেওয়া পরামর্শ না মানলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?
৪. আমি যদি ওয়াসওয়াসা ভেবে বাদ দেই এবং আমি যদি উচ্চারণ করে থাকি তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন?

এরপর আবার আরেক ঘটনা ঘটে গেছে। আমি দোকান থেকে ছেড়া টাকা ২ টা কলম কিনেছি। আমার মনে চলে আসলো দোকানদার কে না বললে হয়তো শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে। আমি ভয় পেয়ে দোকানদার কে টাকা পরিবর্তন করে দিলাম। এরপর দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম যে দেখুন টাকা ঠিক আছে কি না? দোকানদার বলল ঠিক আছে। এরপর আবার ৩০ টাকার জিনিশ কিনলাম। আমার ভয় হচ্ছে যে ৩০ টাকার মধ্যে ছেড়া টাকা ছিল কি না? আমি আর দোকানদারকে জিজ্ঞেস করিনি।

৫. আমার কি দোকানদার কে জিজ্ঞেস করতে হবে আবার?  নাকি পাত্তা দিবো না? এটা কি ওয়াসওয়াসা? ভয় লাগছে যদি উচ্চারণ হয়ে থাকে?

1 Answer

0 votes
by (679,240 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক শব্দ। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
শরীয়তের বিধান হিসেবে বাড়িতে সত্য বলা উচিত 
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  বাড়িতে সত্য/মিথ্যা বলায় আপনার কোনো শর্ত যুক্ত তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।
ওয়াসওয়াসা ত্যাগ করুন।

(০২)
না,সেটার উপর শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০৩)
পরামর্শ না মানলে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবেনা।

(০৪)
আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।

(০৫)
দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।
বিষয়টি ওয়াসওয়াসা। 
তাই এটিকে পাত্তা দিবেননা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
৬. আবারও আরেক ঘটনা। আমাকে মোবাইল ঠিক কর‍তে দিয়েছে। আমি দেখলাম কি হয়েছে। ইন্টারনেট চলছিল না। কোন সমস্যা না পেয়ে আমি বলেছি নেটওয়ার্কের সমস্যা। পরে মনে মনে তালাকের শর্ত চলে আসলো। আমি আবারো মোবাইল হাতে নিয়ে বললাম মোবাইলে কি হয়েছে আমার জানা নাই। আমার ভয় হচ্ছে যে উচ্চারণ করে বলে ফেললাম কি না?

মোবাইল হাতে নিয়ে যে বলেছি যে কি সমস্যা হয়েছে আমার জানা নাই - আমি যদি এটা না বলতাম তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যেতো? আমার কাছে মনে হয়েছিল যে এটা বলতে হবে। নয়তো শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যেতে পারে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...