আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
অাসসালামু অা'লাইকুম। অামি খুব পেরেশানিতে অাছি। দয়া করে উত্তর টি জানাবেন। অামার একটি বিড়াল অাছে। সে অতিশয় চঞ্চল। রান্নাঘরের সিংকে লাফ দিয়ে ওঠে জিনিস নষ্ট করে, ঘরের অন্যান্য জিনিসেও একি অবস্থা। জানালা বেয়ে সিলিং এ উঠে যায়। প্রতিবার তাকে নামিয়ে অানতে হয় কষ্ট করে কারন সে নামতে পারে না। সর্বক্ষণ পাহাড়া দিয়ে রাখতে হয়। তার এসব অত্যাচারে মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে হাত দিয়ে অাচ্ছা মত থাপ্পড় লাগাই। সে কান্না করতে থাকে।অামার টেনশনের কারন হলো অামি এতে জুলুম কারি দের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছি নাকি? পরে অবশ্য অাদর করে দিই। অাল্লাহর কাছেও মাফ চেয়ে নেই। কিন্তু এটা তো অাবার পুনরায় করছি! ধৈর্য রাখতে পারছি না! এটাকে কি জুলুম বলা হয়? অামার কি করা উচিত জানাবেন প্লিজ! জাজাকাল্লাহ


একজনের পক্ষ থেকে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://www.ifatwa.info/4980  ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে, 

পোষ্য প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে। এবং তার আরো অন্যান্য হক আদায় করতে হবে। 
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)(

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিড়ালকে এভাবে প্রহার করার কারনে আপনার গুনাহ হবে।
এটি জুলুম।

এভাবে বিড়ালের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আপনার জন্য করনীয় হবে তাকে প্রহার না করে তাকে অন্য এলাকায় ছেড়ে দিয়ে আসা।
যাতে সে আর আপনার বাসায় না আসতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...