আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
314 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

"যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীকে বলে বাচ্চা না হলে আমাকে (তা...)দিতে বলবে না। যদি তখন স্বামী অন্যের দিকে যদি ইঙ্গিত করে বলে কোন বেক্তি তার ইস্ত্রি কে এ ধরনের কথা বললে হয় কিন্তু স্ত্রী বললে হয় না তবে স্ত্রীকে অধিকার  দিলে তখন যদি স্ত্রী বলে তাহলে হয়। এ কথা বলার পর ★ ঐ বেক্তি যদি তার  স্ত্রীকে বলে "তবুও এ ধরনের কথা বলতে রাগ হয়,বিরক্ত লাগে"।

★  প্রশ্ন (১) (অর্থাৎ  স্ত্রীর মুখ থেকে না,  স্বামীরই নিজের মুখ থেকে (তা...) সম্পর্কিত কথাবার্তা বলতে  স্বামীর বিরক্ত লাগে এটা বুঝাতে  যদি স্বামী যদি বলে থাকে "তবুও এ ধরনের কথা বলতে রাগ হয়,বিরক্ত লাগে")  এতে কি তার ইস্ত্রির উপর কোন কিছু পতিত হবে কি?
প্রশ্ন (২) যদি স্ত্রীর মুখ থেকে(তা...) সম্পর্কিত কথাবার্তা বলতে  স্বামীর বিরক্ত লাগে এটা বুঝাতে  যদি স্বামী যদি বলে থাকে "তবুও এ ধরনের কথা বলতে রাগ হয়,বিরক্ত লাগে")  এতে কি তার ইস্ত্রির উপর কোন কিছু পতিত হবে কি?

প্রশ্ন (৩) এখানে কি (তা...) এর মজলিস হবে কি ?

প্রশ্ন (৪) কোন স্বামী তার স্ত্রীকে যদি বলে আমাকে স্বামী হিসাবে  গ্রহণ করলে না তাহলে এ কথাতে তার ইস্ত্রির উপর কোন কিছু পতিত হবে কি?

প্রশ্ন (৫) যদি কোন বেক্তি (তা...) এর নিয়তে শুধু "শেষ " শব্দ  উচ্চারন  করে তাহলে কি তার ইস্ত্রির উপর কোন কিছু পতিত হবে কি? আর যদি নিয়ত  না থাকে তাহলে কি হবে?

প্রশ্ন (৬) একজন বেক্তি অপর জনকে টাকা পয়সা না থাকার অর্থে বলছে তোর তো কোন কিছু  নাই তখন সেই  অপরজন ব্যক্তি  যদি হ্যা উত্তর  দেওয়ার সময় যদি (তা..) এর নিয়তে "হ্যা" বলে তাহলে তার ইস্ত্রির উপর কোন কিছু পতিত  হবে কি?  আর যদি নিয়ত  না থাকে তাহলে পতিত হবে কি ?

প্রশ্ন (৭) ১ম বেক্তি যদি  বলে দেহের ছায়ার দিকে তাকালে অসুখ  হয় এ কথা কি সঠিক তখন ২য় বেক্তি  জিজ্ঞাসা করে এই কথা কি বিশ্বাস করেন তখন ১ম বেক্তি  বলে অনেকে বলেন  তাই বিশ্বাস  করি তখন ২য় বেক্তি  বলল এগুলো  হয়তো কুফরী কথা এবং এই বেক্তি  জানতে চাইলেন যে,তিনি শিরক করেন কিনা তাই তিনি যদি এইভাবে জিজ্ঞেস  করেন যে, ছায়ার দিকে তাকালে অসুখ ছায়া দেয়। তখন ১ম বেক্তি  বলেন ছায়া অসুখ দিবে কি করে ছায়ার দিকে তাকালে  আল্লাহ  হয়তো অসুখ দেয়।

★ এখন জানতে চাচ্ছি ১ম বেক্তির এধরনের বিশ্বাসে তার ইমান নষ্ট হয়েছে  কি? তার বিবাহের কোন  সমস্যা হয়েছে কি? এবং ২য় বেক্তি  জানতে চাইলেন ১ম বেক্তি  শিরক করেন কিনা তা জানতে চাওয়ার জন্য যদি এইভাবে জিজ্ঞেস  করেন যে, ছায়ার দিকে তাকালে অসুখ ছায়া দেয়।কিন্তু  প্রশ্নবোধক শব্দ "কি" যদি উচ্চারণ না করেন এতে কি তার কুফরী করা হবে কি?তাকে কি নতুন করে কালেমা পড়তে হবে?

প্রশ্ন (৮) কাজি যখন কনেকে প্রথমবার বিবাহ পড়ানোর সময় বলেন এতো টাকা নগদ বুঝিয়া পাইয়া কিন্তু ঐ সময় বর কনেকে নগদ টাকা কনের হাতে দেয় নাই টাকাটা বরের পকেটে ছিলো কিন্তু বরের মনে ছিলো  না টাকাটা কনের হাতে দিতে কিন্তু  কনে যখন প্রথমবার কবুল বলেছে তারপর বর টাকাটা কনের হাতে  দিয়েছে। তারপর  দুইবারই কনে কবুল বলার সময় নগদ টাকাটা কনের হাতে  ছিলো।

★এখন জানতে চাচ্ছি কনের প্রথমবার কবুল বলাটা গ্রহণীয় হয়েছে  কি? বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে কি? বিবাহে যদি কেও একবার কবুল বলে তাহলে কি তার  বিবাহ শুদ্ধ হবে কি? বিবাহে তিনবার কবুল বলা কি জরুরি শর্ত?
হুজুর আপনাকে অনেকগুলো  প্রশ্ন  করেছি তাই আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।আপনাকে অনুরোধ করছি দয়া করে  প্রশ্নের ক্রম অনুযায়ী উত্তর দিবেন। ১ ও ৫,৬ প্রশ্নের  উত্তরের কারনটা জানাবেন দয়া করে।আল্লাহ আপনাকে শান্তিতে রাখুক।

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

(০১)
এতে স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রেও স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা।

(০৩)
https://ifatwa.info/45359/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
শরীয়তের বিধান মতে যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটি তালাকের মজলিস হবেনা।

(০৪)
এ কথার দরুন স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৬)
এক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত থাকুক বা তালাকের নিয়ত না থাকুক, তালাক হবেনা। 

(০৭)
এক্ষেত্রে কাহারোই ঈমান নষ্ট হয়নি।
কাউকেই ঈমান আনতে হবেনা।

তবে ১ম ব্যাক্তিকে তওবা করতে হবে,এহেন আকীদা হতে ফিরে আসতে হবে।

(০৮)
কনের প্রথমবার কবুল বলাটা গ্রহণীয় হয়েছে।
প্রথমবার কবুল বলার দ্বারাই বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে। বিবাহে যদি কেউ একবার কবুল বলে তাহলে তার বিবাহ শুদ্ধ হবে। বিবাহে তিনবার কবুল বলা জরুরি নয়, শর্তও নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...