আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,যোহর আর আসরের সলাতে তো আস্তে কিরাত ওয়াজিব। কিন্তু আমার শুদ্ধ উচ্চারণে আস্তে কিরাত করতে খুব কষ্ট হয়। আমি চেষ্টা করি এখন আস্তে কিরাত করতে কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ অনিচ্ছাসত্তেও গলা থেকে আওয়াজ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে পড়তে গিয়ে গলা শুকিয়ে যায়,শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ফুসফুসে চাপ অনুভব করি,ঠিককরে উচ্চারণ করতে পারি না। প্রায় প্রতিদিন আওয়াজ বেরিয়ে যাওয়ার কারণে আমি সাহু সিজদা দিয়ে দিয়ে সলাত আদায় করছি। প্রতিদিনই কষ্ট হচ্ছে আমার যোহর ও আছরের সলাত আদায়ে শুদ্ধ উচ্চারণে আস্তে কিরাত করতে গিয়ে। কী করব আমি? এর কোনো সমাধান আছে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এত্থেকে প্রতিয়মান হলো যে,নিম্নস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল,নিজে শ্রবণ করা বা পাশবর্তীজন কর্তৃক শ্রবণ করা।আর নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান থেকে অক্ষর উচ্ছারিত হয়ে যাওয়া।(চায় নিজে শুনুক বা নাই শুনুক)যেমনটা ইমাম কারখী রাহ এর মাযহাব।তবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
আর উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,নিকটবর্তী নয় এমন কেউ শ্রবণ করা যেমন,প্রথম কাতারের লোকজন কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণের কোনো সাীমারেখা নাই।এ বিষয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যান।সুতরাং বিষয়টা ভালোভাবে বোধগম্য করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।মূলকথা হল,অর্থাৎ নিম্নস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণ,নিজে শ্রবণ করা বা পাশেরজন কর্তৃক শ্রবণ করা।এজন্য কেরাতকে নিজে শ্রবণ না করলে ফকিহ হিন্দাওয়ানি রাহ এর মতে নামায বিশুদ্ধ হবে না।আর ইমাম কারখী রাহ এর মতে হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে যদিও শুনা না যাক, এতে নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।(রদ্দুল মুহতার-১/৫৩৪:-:৫৩৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2570

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করতে যেয়ে যদি পাশের জন শুনে নিতে পারে, এমন পরিমাণ আওয়াজ হয়, তাহলে এতেকরে ওয়াজিব তরক হবে না। তবে যদি পাশের জন ব্যতিতও অন্য কেউ শুনে নিবে এমন পরিমাণ উচ্ছস্বরে কেউ তিলাওয়াত করে নেয়, তাহলে কিন্তু তখন ওয়াজিব তরক হয়ে যাবে।সাহু সিজদা তখন আসবে। আপনি নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। এবং চেষ্টা করতেই থাকবেন। পরিপূর্ণ আয়ত্বে আসার পূর্বে যদি বেশ উচ্ছস্বরে হয়ে যায়, তাহলে তখন সাহু সিজদা দিয়ে দিয়ে নামায পড়বেন এবং পাশাপাশি নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করার চেষ্টাকে অব্যাহত রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 316 views
...