ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এত্থেকে প্রতিয়মান হলো যে,নিম্নস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল,নিজে শ্রবণ করা বা পাশবর্তীজন কর্তৃক শ্রবণ করা।আর নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান থেকে অক্ষর উচ্ছারিত হয়ে যাওয়া।(চায় নিজে শুনুক বা নাই শুনুক)যেমনটা ইমাম কারখী রাহ এর মাযহাব।তবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
আর উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,নিকটবর্তী নয় এমন কেউ শ্রবণ করা যেমন,প্রথম কাতারের লোকজন কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণের কোনো সাীমারেখা নাই।এ বিষয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যান।সুতরাং বিষয়টা ভালোভাবে বোধগম্য করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।মূলকথা হল,অর্থাৎ নিম্নস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণ,নিজে শ্রবণ করা বা পাশেরজন কর্তৃক শ্রবণ করা।এজন্য কেরাতকে নিজে শ্রবণ না করলে ফকিহ হিন্দাওয়ানি রাহ এর মতে নামায বিশুদ্ধ হবে না।আর ইমাম কারখী রাহ এর মতে হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে যদিও শুনা না যাক, এতে নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।(রদ্দুল মুহতার-১/৫৩৪:-:৫৩৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2570
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করতে যেয়ে যদি পাশের জন শুনে নিতে পারে, এমন পরিমাণ আওয়াজ হয়, তাহলে এতেকরে ওয়াজিব তরক হবে না। তবে যদি পাশের জন ব্যতিতও অন্য কেউ শুনে নিবে এমন পরিমাণ উচ্ছস্বরে কেউ তিলাওয়াত করে নেয়, তাহলে কিন্তু তখন ওয়াজিব তরক হয়ে যাবে।সাহু সিজদা তখন আসবে। আপনি নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। এবং চেষ্টা করতেই থাকবেন। পরিপূর্ণ আয়ত্বে আসার পূর্বে যদি বেশ উচ্ছস্বরে হয়ে যায়, তাহলে তখন সাহু সিজদা দিয়ে দিয়ে নামায পড়বেন এবং পাশাপাশি নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করার চেষ্টাকে অব্যাহত রাখবেন।