আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (91 points)
১. আমরা একটা খাবারের থিওরী সাপোর্ট করি, যে সকালে খেতে হবে বেশি করে, কারণ সারাদিন কাজ করতে হ, দুপুরে মোটামুটি আর রাতে কম। নবী (সাঃ) এর সুন্নাহ কি এই মত সমর্থন করে? এই মত প্রচার-প্রসার করায় কি গুনাহ/ইমানে সমস্যা হবে?

২.আমার বউকে বলি যে "জলদি ঘুমাও না হয় ফজরের ওয়াক্তে উঠতে পারবে না" তখন সে বলে" না পারলে নাই" এর পরপর ম্যাসেজ দিলো আবার" ঘুমানির ব্যবস্থা করা লাগবো" এই কথায় কি ইমানে সমস্যা হবে?

৩. কেও যদি বলে "নামাজ পরতে ইদানিং ভালো লাগে না" বা "নামাজ পরতে ভালো লাগে না" তবে কি কুফর হবে?

৪  "আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে, নামাজ পরতে ভালো লাগে না, জোর করে পড়ি" এমন কেও বললে সে কি কুফরি হবে?

৫. আমার জীবনে কিছু নামাজে ভুল করে সন্দেহ থেকে সাহু সিজদা দিয়েছি, দোহরাতে বলেছেন, কিন্তু এর সংখ্যা, কোন কোন নামাজ কিছুই তো মনে নাই। এখন কিভাবে দোহরাবো মুফতি সাহেব, একটা পরামর্শ দিবেন।

৬."মাহরামে আবদি " মানে কি, শাশুড়ি/নানী শশুড়ি  কি এই কেটাগরীতে পড়েন?

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইসলামে দিনে রাতে কতবার আহার গ্রহণ করতে হবে? এর নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। রাসূলুল্লাহ সাঃ সেহরি ও ইফতার খেতেন।এটা নির্দিষ্ট। এছাড়া আর কোনো খানা নির্দিষ্ট নয়।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
مَا أَکَلَ آلُ مُحَمَّدٍ أَکْلَتَیْنِ فِي یَوْمٍ إِلَّا إِحْدَاهُمَا تَمْرٌ.
نبی کریم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم کے اہل خانہ نے ایک دن میں کبھی دو مرتبہ ایسا کھانا تناول نہیں فرمایا جن میں ایک وقت کھجوریں نہ ہوں۔
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পরিবারবর্গ দিনে কখনো এমন দুইবার খানা খেতেন না, যার মধ্যে একবার খেজুর থাকতো না।অর্থাৎ দিনে দুই বার খানার মধ্যে একবার খেজুর থাকতোই।(সহীহ বোখারী-৬০৯০)

এ সমস্ত বিবরণ থেকে একথা বুঝা যায় যে, 
ইসলামে দু'টি খানা রয়েছে। 'গাদা' তথা সকালের খানা আর আশা' তথা রাতের খানা। 


(২)
কেউ যদি তার বউকে বলে যে "জলদি ঘুমাও না হয় ফজরের ওয়াক্তে উঠতে পারবে না" তখন সে বলে" না পারলে নাই" এর পরপর ম্যাসেজ দিলো আবার" ঘুমানির ব্যবস্থা করা লাগবো" 

এই কথায় ইমানে সমস্যা হবে না। কেননা উপরের কথায় নামাযকে অস্বীকার করা বুঝা যাচ্ছে না। তবে যদি কারো কোনো কথায় নামায অস্বীকার করা বুঝায়, তাহলে তার ঈমান বাকী থাকবে না।


(৩) কেউ যদি বলে "নামাজ পড়তে ইদানিং ভালো লাগে না" বা "নামাজ পরতে ভালো লাগে না" তবে কুফরি হবে না।কেননা এখানে নামাযকে অস্বীকার করা বুঝা যাচ্ছে না।

(৪)"আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে, নামাজ পরতে ভালো লাগে না, জোর করে পড়ি" এমন কেউ বললে তারও কুফরি হবে না।তবে এজাতীয় কথায় আল্লাহ নারাজ হন।সুতরাং এজাতীয় কথাকে অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে।

(৫)আমার জীবনে কিছু নামাজে ভুল করে সন্দেহ থেকে সাহু সিজদা দিয়েছি, দোহরাতে বলেছেন, কিন্তু এর সংখ্যা, কোন কোন নামাজ কিছুই তো মনে নাই। 

আপনি অনুমান করে দোহড়িয়ে নিবেন।

(৬)"মাহরামে আবদি " মানে যাদেরকে চিরস্থায়ী বিয়ে করা হারাম, শাশুড়ি/নানী শশুড়ি ও এই কেটাগরীতে পড়বে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,200 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...