ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ঐ বোনের উপর ওয়াজিব হল, সে তাৎক্ষণিক হস্তমৈথুনকে ছেড়ে দিবে।এবং জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সে তাৎক্ষণিক বিয়ে করে নেবে অথবা ধারাবাহিক রোযা রাখবে। হস্তমৈথুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4344
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
যদি পরিবার বিয়ের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে,তাহলে এক্ষেত্রে অভিভাবকের বিনাঅনুমতিতে উপযুক্ত পাত্রের সাথে বিয়ে করে নেয়ার রুখসতও রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ঐ বোনের জন্য বিয়ে করাটা ফরজ।
(২) পরিবারকে বুঝাতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। শত চেষ্টার পরও যদি সে ব্যর্থ হয়, তাহলে তখন কু'ফু মিল রেখে নিজে নিজেই বিয়ে করতে পারবে, সেই রুখসত থাকবে।
(৩)উনার জন্য প্রবাসী ছেলে বিয়ে করা উচিৎ হবে না।
(৪)সকাল-সন্ধ্যায় হেফাজতের আমল করার পরও কেউ ঘুমের ঘুরে হস্তমৈথন করে ফেললে, এতেকরে গোনাহ হবে না।
(৫) মাদরাসার শিক্ষককরা কেন শিখান না, বিষয়টা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন।কুরআনকে তাজবীদ সহ পড়াটাই উত্তম।
(৬)গাড়ীতে দাড়ানো না গেলে বসে ফরজ নামাজ পড়া যাবে।তবে এই নামাযকে গাড়ী থেকে নেমেই দোহড়িয়ে নিতে হবে।
(৭)ইস্তেখারা করুন, এবং তাহাজ্জুদের নামায পড়ে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দুঅা করুন।
(৮)একবোন হস্তমৈথন করবেন না বলে কসম করেছিলেন উনি আবার করে ফেলেছেন।এখন উনাকে কাফফারা স্বরুপ ১০ জন মিসকিনকে টাকা দিতে চাইলে মিসকিন না পাওয়া গেলে কোনো এতিম খানায় দিয়ে দিবেন।
(৯)গোবর দিয়ে লাখরী করে জ্বালানো জায়েয।
জাঝাকাল্লাহু খইরান