আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
322 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

১. এক বোন ২০ বছর বয়স চলছে।উনি একটি হারাম সম্পর্কে জরিয়ে গেছেন। অনেক চেষ্টা করেও বের হতে পারছেন না। তাছাড়া ওই বোন  মাঝে মধ্যেই হস্তমৈথন করে ফেলেন।অনেক সময় ঘুমের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত ভাবেই তিনি করে ফেলেন।এই বোনের জন্য বিয়ে করাটা কি ফরজ হয়ে গেছে?
২.এখন বিয়ে না করতে পারলে করণীয় কী? পরিবারে এখন বিয়ের কথা বলতে পারবেন না উনি, এর ভাইরে আর কী চেষ্টা করতে পারেন বিয়ের জন্য।

৩.প্রবাসী ছেলে বিয়ে করলে উনার সমস্যা হতে পারে ভাবছেন, উনার কি ঠিক হবে প্রবাসী ছেলে বিয়ে করা,যেহেতু ছেলে প্রবাসে থাকবে?

৪.সকাল-সন্ধ্যায় হেফাজতের আমল করেও কেনো ঘুমের ঘুরে হস্তমৈথন করে ফেলেন। কী করণীয়।

৫.আমাদের গ্রামের মক্তব গুলোতে শুধু কুরআন রিডিং পড়াটাই  শেখানো হয়।নূন্যতম হরফ উচ্চারণের পার্থক্য গুলোও শেখানো হয়না।এমন মক্তবে বাচ্চাদের পড়ানো ঠিক কিনা? আর হুযুররা কেনো শেখান না, উনারাতো জানেন, উনারাইতো মাদ্রাসার টিছার,।মাদ্রাসার অনেক ভালো স্টুডেন্টকেও দেখেছি নূন্যতম তাজবিদ ছাড়া কুরআন পড়তে।

৬.গাড়ীতে দাড়ানো না গেলে বসে ফরজ নামাজ পড়া যাবে কিনা?

৭.একবোনের হারাম সম্পর্ক ছিলো, ওই ছেলের সাথে বিয়ে নিয়ে ইস্তেখারার নামাজ পড়েও বিয়েটা এগুচ্ছে না।সেই ৭ মাস আগ থেকে ছেলের মা বলছে ওনার মেয়ের বিয়ের পর দেখা যাবে, এখনো কিছু হচ্ছেনা।ছেলের সাথে কথা বলা ও ছাড়া যাচ্ছে না।কী করণীয়।

৮.একবোন হস্তমৈথন করবেন না বলে কসম করেছিলেন উনি আবার করে ফেলেছেন।এখন উনাকে কাফফারা স্বরুপ ১০ জন মিসকিনকে টাকা দিতে চাইলে মিসকিন না পাওয়া গেলে করণীয় কী?

৯.গোবর দিয়ে লাখরী করে জ্বালানো জায়েজ কিনা।

জাঝাকাল্লাহু খইরান

1 Answer

0 votes
by (589,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ঐ বোনের উপর ওয়াজিব হল, সে তাৎক্ষণিক হস্তমৈথুনকে ছেড়ে দিবে।এবং জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সে তাৎক্ষণিক বিয়ে করে নেবে অথবা ধারাবাহিক  রোযা রাখবে। হস্তমৈথুন  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4344

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)

যদি পরিবার বিয়ের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে,তাহলে এক্ষেত্রে অভিভাবকের বিনাঅনুমতিতে উপযুক্ত পাত্রের সাথে বিয়ে করে নেয়ার রুখসতও রয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১)ঐ বোনের জন্য বিয়ে করাটা ফরজ।

(২) পরিবারকে বুঝাতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। শত চেষ্টার পরও যদি সে ব্যর্থ হয়, তাহলে তখন কু'ফু মিল রেখে নিজে নিজেই বিয়ে করতে পারবে, সেই রুখসত থাকবে।

(৩)উনার জন্য প্রবাসী ছেলে বিয়ে করা উচিৎ হবে না।

(৪)সকাল-সন্ধ্যায় হেফাজতের আমল করার পরও কেউ ঘুমের ঘুরে হস্তমৈথন করে ফেললে, এতেকরে গোনাহ হবে না।

(৫) মাদরাসার শিক্ষককরা কেন শিখান না, বিষয়টা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন।কুরআনকে তাজবীদ সহ পড়াটাই উত্তম।

(৬)গাড়ীতে দাড়ানো না গেলে বসে ফরজ নামাজ পড়া যাবে।তবে এই নামাযকে গাড়ী থেকে নেমেই দোহড়িয়ে নিতে হবে।

(৭)ইস্তেখারা করুন, এবং তাহাজ্জুদের নামায পড়ে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দুঅা করুন।

(৮)একবোন হস্তমৈথন করবেন না বলে কসম করেছিলেন উনি আবার করে ফেলেছেন।এখন উনাকে কাফফারা স্বরুপ ১০ জন মিসকিনকে টাকা দিতে চাইলে মিসকিন না পাওয়া গেলে কোনো এতিম খানায় দিয়ে দিবেন।

(৯)গোবর দিয়ে লাখরী করে জ্বালানো জায়েয।

জাঝাকাল্লাহু খইরান


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,560 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...