আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in সালাত(Prayer) by (72 points)
শায়খ
আমি একজয়গায় পড়েছিলাম নামাজের শেষ বৈঠকে ওযু ছুটে গেলে মানে তাশাহহুদ পড়ার শেষদিকে ওযু ছুটে গেলেও নামাজ হয়ে যাবে।
এটাকি সত্য। শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার সময় বা দরুদ বা দুআ মাসুরা পড়ার সময়  ওযু ছুটে গেলে কি সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করে নিতে হবে নাকি সালাত আবার দোহরাতে হবে?

JajakAllahu Khairan......

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ " .

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাজ রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে অযু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১)

قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبَانَ مُسْتَمْلِيَ وَكِيعٍ يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ لَوِ افْتَتَحَ الرَّجُلُ الصَّلاَةَ بِسَبْعِينَ اسْمًا مِنْ أَسْمَاءِ اللَّهِ وَلَمْ يُكَبِّرْ لَمْ يُجْزِهِ وَإِنْ أَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ أَمَرْتُهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ ثُمَّ يَرْجِعَ إِلَى مَكَانِهِ فَيُسَلِّمَ إِنَّمَا الأَمْرُ عَلَى وَجْهِهِ .

আবু ঈসা রহঃ বলেন,আবদুর রহমান ইবনু মাহদী বলেছেন, কোন লোক যদি আল্লাহ তা'আলার নিরানব্বই নামের যে কোন সত্তরটি নাম নিয়ে নামায শুরু করে কিন্তু 'আল্লাহু আকবার’ না বলে, তাহলে তার নামায হবে না। আর সালাম ফিরানোর আগ মুহুর্তে যদি কারো ওযু ছুটে যায়, তাহলে আমি তাকে হুকুম করব, সে যেন আবার ওযু করে নিজ স্থানে এসে সালাম ফিরায়। এ হাদীসের জাহির আপাতদৃষ্ট অর্থই গ্রহণযোগ্য হবে।
(আবু দাউদ ২৩৮)

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ- 

إذا سبقہ الحدث  بعد ما قعد قدر التشہد في القعدۃ  الأخیرۃ، فإن صلا تہ تامۃً فرضاً عندہما، وعند أبي حنیفۃؒ لم تتم صلا تہ فرضاً فیتوضأ ویخرج منہا بفعل مناف لہا۔ (البحر الرائق، ۲۹۵/١)

সারমর্মঃ শেষ বৈঠলে তাশাহুদ পরিমাণ পর্যন্ত বসার পর অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে তার নামাজ  পূর্ণ হবেনা।
অযু করে এসে অবশিষ্ট  নামাজ  আদায় করবে।

وإن سبقہ الحدث من غیر عمدہ في ہذہ الحالۃ فکذلک تمت صلاتہ عندہما، وقال أبو حنیفۃ: یتوضأ ویخرج عن الصلاۃ، بفعلہ قصداً لکونہ فرضا قد بقي علیہ من فرائضہما، حتی لو لم یتوضأ ولم یخرج بصنعہ؛ بل عمل عملاً ینافي الصلاۃ من غیر متعلقات الوضوء تبطل صلاتہ لفعلہ فرضا من فرائضہما، وہو الخروج منہا بغیر طہارۃ۔ (حلبي کبیر، ۲۹۱)

সারমর্মঃ ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ এর নিকটে নামাজ হয়ে যাবে।
আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে তার নামাজ  পূর্ণ হবেনা।
অযু করে এসে অবশিষ্ট  নামাজ  আদায় করবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাহারো নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর অযু ওযু ছুটে গেলেও নামাজ হয়ে যাবে।
এটি ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ সহ আরো কিছু ইমামদের মত।

তবে ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর মত হলো,তার নামাজ পূর্ণ হবেনা।
অযু করে এসে অবশিষ্ট নামাজ আদায় করবে।
এর উপরেই ফতোয়া। 

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 50737 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে তার নামাজ হয়ে যাবে।
তবে যেহেতু সালাম ফিরানো ওয়াজিব।
সুতরাং অযু করে উভয় দিকেই অথবা শুধু এক দিকে সালাম ফিরানো ওয়াজিব।
অন্যথায় নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সুতরাং কাহারো নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর অযু ওযু ছুটে গেলে সে অযু করে এসে সালাম ফিরাবে।

আর যদি তাশাহুদ পূর্ণ হওয়ার আগেই অযু ভেঙ্গে যায়,সেক্ষেত্রে অযু করে এসে তাশাহুদ পুনরায় পাঠ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 284 views
...