আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
আসসালামু আ'লাইকুম
এক স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করল বিয়েতে যাচ্ছো?

স্বামী উত্তর দিলো- হ্যাঁ তোমার ফ্রেন্ড আছে না একটা অমুক নামের তখন স্ত্রী চিনতে না পারায় আবার বলে আরে তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই মেয়েটা( স্ত্রী চিনতে পারছিল না কারণ মেয়েটা ফ্রেন্ড নয় বলে)যাই হোক স্বামী পরে স্ত্রীকে বুঝাতে সক্ষম হলো কিন্তু কথা বলার মধ্যে **** শব্দ উচ্চারণ করল কোন একটা কথা বলার সময় এবং শব্দটা কেন উচ্চারণ করেছিল শুনেনি কিন্তু শব্দ শুনেই অন্যমনস্ক হয়ে যায়

স্ত্রীকে অন্যমনস্ক হতে দেখে স্বামী জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে স্ত্রী বলে জানো তো ওই শব্দটাতে সমস্যা আছে তাও কেনো বলো????

এটা শুনে স্বামী অনেক চিল্লাপাল্লা করে স্ত্রীর সাথে যে স্ত্রীর কারণে সাধারণ কথাবার্তাও বলতে পারছে না।

১।এখন স্ত্রী চাচ্ছে সন্দেহ দূর করতে৷ কারণ স্ত্রী সম্পূর্ণ বাক্য শুনেনি শুধু ****** শব্দ বলতে শুনেছে এবং সন্দেহ দূর করতে হলে স্বামীকে জিজ্ঞেস করতে হবে কিন্তু কিভাবে করবে?যদি কোন কারণে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয় তাহলেও তো অসুবিধা।

হুজুর আপনি বলেছেন জিজ্ঞেস করতে হবে না কিন্তু

 স্বামী কখনো স্পষ্ট বাক্যে ওই শব্দটা ব্যবহার করেনি তাই স্ত্রীর টেনশন কম ছিল কিন্তু এখন শব্দ টা ব্যবহার করাতে স্ত্রী ঘুমাতে পারছে না, উল্টা পালটা চিন্তা আসছে স্ত্রীর মনে

সরাসরি জিজ্ঞেস না করে কিভাবে স্বামীকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা যাবে হুজুর প্লিজ একটু বলবেন

২।স্ত্রী স্পষ্টভাবে স্বপ্ন দেখেছে কিনা বলতে পারেনা কিন্তু শুধু মনে হয় দেখেছে এমন যে স্বামী স্ত্রীর *****
এটার কি কারণে হতে পারে?

৩।কারো এক অযু ৩/৪ বার করা এবং এক নামায(ফরজ) বারবার দোহরিয়ে পড়া কি ওয়াসওয়াসার মধ্যে পড়ে না?

প্রত্যেক নামাজ ভুল হয়েছে মনে করে সিজদাহ সাহু দেয়া কি ওয়াসওয়াসা না?

৪। কারো কোন বিষয়ে ওয়াসওয়াসা থাকলে সে বিষয়ে কি ইসলামে তার জন্য শিতিলতা আছে?

৪।হুজুর স্ত্রী **** এর মাসয়ালা কম পড়ছে তাও ওই বিষয়ে ওয়াসওয়াসা যাচ্ছে না।কারণ দৈনন্দিন জীবনের ছোট খাটো ঘটনা জিনিসটা মনে করিয়ে দেয়

হুজুর সাধারণ কথাবার্তার মধ্যে নিয়ত আসলে কি অসুবিধা হবে?

হুজুর ভালোভাবে পড়ে উত্তর দিবেন
আপনার একটা উওর কারো ওয়াসওয়াসা দূর করতে পারে

1 Answer

0 votes
by (683,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।)

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে স্বামী আপনাকে তালাক প্রদানের উদ্দেশ্যে কিছু বলেনি।
তাই আপনাকে পূর্বের ফতোয়াতে বলা হয়েছিলো স্বামীকে কিছু জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই।

তবুও যদি আপনার সন্দেহ থাকে যে স্বামী আপনাকে তালাক প্রদানের উদ্দেশ্যে তালাক বলেছে,সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে আপনি স্বামীকে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন।

মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলে তালাক হবেনা।

(০২)
সারাদিন এই বিষয় নিয়ে ভাবনার কারনেই স্ত্রী এহেন স্বপ্ন দেখেছে।

(০৩)
হ্যাঁ, তার জন্য শিথিলতা রয়েছে।

(০৪)
পুরোপুরি তালাকের মাসয়ালা পড়া বাদ দিতে হবে।
এ সম্পর্কে কোনো আলোচনা, চিন্তা থেকেও দূরে থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...