আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি ফেক আইডি দিয়ে প্রশ্ন করার জন্য। আসলে নিরুপায় হয়ে প্রশ্ন করলাম আশা করি বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি নিজে ওয়াসওয়াসা রোগী ,একথা আমি জানি , আমার স্ত্রী জানে, আমার পরিবার জানে ,আমার কলিগরাও জানে যে আমি ওয়াসওয়াসার রোগী। এবং আপনারাও ফতুয়া দিয়েছেন আমার রিয়েল আইডিতে যে  আমি ওয়াসওয়াসার রোগী তাই আমার কোন তা*** গ্রহনযোগ্য না।

একবার উত্তর পেয়েছিলাম অন্য আইডি থেকে প্রশ্ম করে কিন্তু মনে আবার সন্দেহ আসে যে আমি কি ঠিক ভাবে প্রশ্নের বিবরন লিখতে পেরেছিলাম কিনা । তাই আবার প্রশ্ন করলাম যাতে আমার বিবরন টা সঠিক ভাবে লিখতে পারি।আমি আগেই জানতাম এই বিষয়ে শয়তান আমাকে আবার ধোকা দিবে তাই আমি স্ত্রীকে আপনাদের ফায়সালার কথা ও জানিয়েছিলাম যাতে আমি ভূলে গেলেও তার যেনো মনে থাকে। ক্ষমা করবেন প্লিজ। আমি ওয়াসওয়াসার রোগী। এই প্রশ্নের উত্তর পেলে আমার জীবন টা সাভাবিক হবে  ইনশাআল্লাহ । দয়া করে আপনারা আমার ওয়াসাওয়াসা কে বিবেচনা করে একটা ফায়সাল দিবেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি  উত্তরটা যেনো আগের মত হয়।

https://ifatwa.info/57962/ আগের প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্ন) ঘটনাটি ফোনে কথা বলার সময়।স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় সামী বলে "তোমার শিক্ষা হওয়া উচিত"। তারপর কিছু কথা বলার পর সামী ইংগিতে তা** শব্দ উচ্চারণ ব্যতীত মজলিস সম্পর্কে সাবধান করে এভাবে বলে , এমন কিছু কথা বললে মজলিস হয়ে যায় এবং মজলিস হয়ে  গেলে সেখানে নিয়ত ব্যতিত অনেক কিছুই হয়ে যায়"। একটু পর ঝগড়ার এক পর্যায়ে সামী ভয় পেয়ে ভাবে স্ত্রীর মুখ থেকে কেনায়া শব্দ উচ্চারণ হয়ে গেল কিনা।তারপর সামী ধমক দিয়ে স্ত্রীকে বলে তুমি কি চাও আমি ঊল্টাপাল্টা কিছু বলি? তুমি কিন্তু আমাকে বাধ্য করতেছো। স্ত্রী সম্ভবত বলে আমি কিছুই বলিনি যা বলার তুমি ই পাগলের মত বলতেছো আমি কিছুই বলিনি। স্ত্রী আসলেই কিছু বলেনি।সামীর ওয়াসওয়াসার কারনে ভাবে স্ত্রী হয়ত কোন  কেনায়া শব্দ বলেছে যার কারনে সম্পর্কে হয়ত হারাম হয়ে গেলো কিনা? এটা ভেবে সামী স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বলে " তুই হালাল সম্পর্ক  টাকে হারাম বানাইছোস"। এই কথা বলার দুইটা কারন ,একটা কারন হচ্ছে সামীর আশংকা যে স্ত্রীর হয়ত কোন কেনায়া শব্দের দারা হালাল সম্পর্ক হারাম হয়ে যাওয়ার ভয় আর দ্বিতীয় কারন হচ্ছে এই কথা শুনে স্ত্রী ভয় পেয়ে যাতে চুপ হয়ে যায় এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিলোনা । সত্যকথা হচ্ছে সেখানে স্ত্রী আদৌ কোন কেনায়া শব্দ বলেনি এবং সেখানে তাদের দুজনের কেউই  তা**** শব্দ উচ্চারণ বা তা*** চাওয়া হয়নি।সামী পরবর্তীতে আল্লাহর নামে সপথ করে বলেছে  " তুই হালাল সম্পর্ক  টাকে হারাম বানাইছোস" এই কথা তা*** নিয়তে বলেনি এই ব্যাপারে ১০০% সিউর এবং এটা স্ত্রী নিজেও জানে যে এটা স্ত্রীকে ধমকের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিলো। কারন স্ত্রী জানে তার সামী ওয়াসওয়াসা রোগী।

সামী ওয়াসওয়াসার রোগী এবং ফতোয়া দেয়া হয়েছিলো এখান থেকে সামীর কোন তা*** গ্রহনযোগ্যনয় যতদিন না পরিপূর্ণ সুস্থ হয়।

দয়া করে আমার ওয়াসওয়াসা কে বিবেচনা করে আমার বিষয়ে ফায়সালা দিবেন , অনুরোধ।

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।
এখানে স্বামী তার স্ত্রীকে বলেছে, "তুই হালাল সম্পর্ক টাকে হারাম বানাইছোস" স্বামীর এতটুকু কথা বলার দরুন তালাক হবেনা।

আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
আলহামদুলিল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ । আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ । জাযাকাল্লাহ খায়ের

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...