ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বর্তমানে সর্বত্রই বাথরুম ও টয়লেট প্রায় এক সাথেই।অথচ ওজু খানা এবং বাথরুম পৃথক পৃথক হওয়া অধিক উত্তম।কেননা হাদীস শরীফে এসেছে.....
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবীজী সাঃ বলিয়াছেন,
ﻻ ﻳﺒﻮﻟﻦ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻓﻲ ﻣﺴﺘﺤﻤﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻓﻴﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﺛﻢ ﻳﺘﻮﺿﺄ ﻓﻴﻪ ﻓﺈﻥ ﻋﺎﻣﺔ ﺍﻟﻮﺳﻮﺍﺱ ﻣﻨﻪ
তোমরা কেউ বাথরুমে প্রস্রাব করিও না,কেননা কিছুক্ষণ পর সে তথায় ওজু/গোসল করবে,এবং প্রস্রাব করার ধরুণ নাপাকির ওয়াসওয়াসা সেখান থেকেই তার অন্তরে সৃষ্টি হবে।(আবু-দাউদ;২৭)
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না।এ সম্পর্কে আরো জানুন-১০১৫
এখন আমাদের সামনে প্রশ্ন হল,বাথরুমের বাহিরে বিসমিল্লাহ বলে তারপর বাথরুমে প্রবেশ করে কি ওজু করা যাবে।
উত্তরে বলা যায় যে,জ্বী হ্যা।বাহিরে বিসমিল্লাহ বলে তারপর বাথরুমের ভিতরে এসে অজু করা যাবে।
যেহেতু অজুর পূর্বে এবং অজুর পরের দু'আ সমূহ সহীহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে,এবং অজুর মধ্যকার বিভিন্ন অঙ্গ সমূহ ধৌত করার সময়ে কোনো দু'আ সহীহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়।জানুন-৫৯২৬
তাই বক্ষমান পরিস্থিতিতে অজুর পূর্বের ও পরের দু'আ সমূহকে বাথরুমের বাহিরে আদায় করাই উচিৎ ও যুক্তিসংগত। বাথরুমের ভিতরে কোনো প্রকার দু'আ করা যাবে না।
বিসমিল্লাহ বলার পর বেশী সময় বিরতি দেয়া যাবে না।নামাযের ইকামতের বিধানের উপর কিয়াস করে বলা যায় যে,হালকা পাতলা দু রাকাত নামাযের সময়ের চেয়ে বেশী সময় বিরতি হলে আবার নতুন করে বিসমিল্লাহ বলত হবে।জানুন-৬০০৭
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।