আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম।


এখন অনেকে কয়েকজন একসাথে মিলে কোনো জমি কেনে তারপর সেখানে তারা বিল্ডিং বানায়।প্রত‍্যেকে তাদের ফ্লাটের টাকা নিজেরা দিবে।কিন্তু জমি কেনা ও ফাউন্ডেশনের টাকা সবাই মিলে শেয়ারে দিবে।


তো কেউ যদি তার হালাল ভাবে উপার্জিত অর্থ এই শেয়ারে দিতে চায় কিন্তু এই শেয়ারের মধ‍্যে যদি কারো হারামভাবে উপার্জিত অর্থও থাকে,এভাবে একসাথে জমি কেনা ও বিল্ডিং করা।এটা কি জায়েজ হবে?ওই ফ্লাটটা কি হালাল হবে?


যেমন দশজন মিলে শেয়ারে একটা জমি কিনবে,তারপর সেখানে বিল্ডিং বানাবে।নিজের ফ্লাটের টাকা নিজেরা দিবে।

এদের মধ‍্যে তিনজন সুদী ব‍্যাংকার যারা তাদের হারাম অর্থ এখানে দিবে।আর তাছাড়া বাকি অন‍্যান‍্য শেয়ার হোল্ডাররাও এখানে তাদের কি অর্থ দিবে,সেটা হালাল নাকি ঘুষ বা সুদের টাকা তা তো জানা যাচ্ছে না।


কোনো হালাল উপার্জনকারীর এদের সাথে এভাবে ফ্লাট বানানো কি জায়েজ হবে?সেই ফ্লাটটা কি হালাল হবে?কারন ফ্লাটে দেয়া টাকা হালাল হলেও,সেটা যে জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে সেটা তো পুরোটা হালাল টাকায় কেনা না।যদিও জমি শেয়ারে কেনা হয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 
,

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেউ যদি হালাল ভাবে উপার্জিত অর্থ এই শেয়ারে দিতে চায়, কিন্তু এই শেয়ারের মধ্যে যদি কারো হারামভাবে উপার্জিত অর্থও থাকে, সেক্ষেত্রে এভাবে একসাথে জমি কেনা ও বিল্ডিং করার ক্ষেত্রে হালাল টাকা প্রদানকারীর জন্য তার অংশ/ফ্ল্যাট/ইউনিট নির্দিষ্ট করে উল্লেখিত থাকলে তার জন্য এটি জায়েজ হবে।
ওই ফ্ল্যাট টিতে তার অংশ হালাল হবে।

তবে হারাম অর্থ প্রদানকারীদের অংশ/ফ্ল্যাট/ইউনিট হারামই থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...