আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
94 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

সাধারনত দেখা যায়। জমির মালিকের অন্য ব্যবসা রয়েছে, সেই ব্যবসার উন্নতির জন্য তার টাকা প্রয়োজন। অন্যদিকে একজন খামারির গবাদিপশুর খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ঘাস না থাকায় তার ঘাসের জমি প্রয়োজন। এরকম পরিস্থিতিতে ৫০ শতক জমি ১ লাখ টাকার বিনিময়ে আমার কাছে বন্ধক রাখলেন, সেই জমি টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত আমার জন্য ভোগ করা জায়েজ হবে কি-না?

জায়েজ হওয়ার সপক্ষে আমি দুইটি তথ্য পেয়েছি। এগুলো কতটুকু সঠিক?

১ম সুরত : যিনি জমি নেবেন তিনি এ হিসেবে চুক্তি করবেন যে, তিনি জমিটি ভাড়া নিচ্ছেন। নামমাত্র কিছু মূল্য মাসিক ভাড়া হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিবে। যেমন ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা। আর অগ্রিম ভাড়া হিসেবে প্রদান করবে ১/২ লাখ টাকা। তারপর যেদিন জমিনটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন আগের নির্ধারণকৃত নামমাত্র ভাড়ার টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দেবে জমিনটি ভোগদখলকারী তথা জমির ভাড়াটিয়াকে। যেমন আবদুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আবদুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আবদুল্লাহ তার জমিটি আবদুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আবদুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

এমতাবস্থায়, আবদুল্লাহ তার জমিটি আবদুর রহমানের কাছে ভাড়া দিবে। মাসিক ভাড়া নির্দিষ্ট করে নিল কথার কথা ৫০ টাকা। যতদিন আবদুর রহমান জমিটি রাখবে, ততদিন মাসিক ৫০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করবে। মাসিক ভাড়া অগ্রিম হিসেবে আবদুর রহমান ৫ লাখ আবদুল্লাহকে দিয়ে দিবে। ফলে জমিটির ভাড়াটিয়া হিসেবে আবদুর রহমান ভোগদখল করতে থাকবে। আর আবদুল্লাহ টাকাটি খরচ করতে পারবে।

তারপর যেদিন আবদুল্লাহ তার জমিটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন বিগত দিনের মাসিক ভাড়া বাদ দিয়ে বাকি টাকা প্রদান করে জমিটি ফেরত নিয়ে নেবে। কথার কথা যদি ৫ মাস পর ফেরত নিতে চায়, তাহলে ৫ মাসের ভাড়া ২৫০ টাকা রেখে বাকি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫০ টাকা প্রদান করে আবদুল্লাহ সাহেব তার জমিটি ফেরত নিয়ে নিবেন। (ফতহুল কদ্বীর, কিতাবুয জাকাত ২/১৭৪)।

২য় সুরত : দুটি চুক্তি সম্পাদন করবে। প্রথমে ক্রয় বিক্রয় চুক্তি। তারপর আলাদা আরেকটি চুক্তি নামায় যেদিন টাকা পরিশোধ করতে পারবে, সেদিন জমিটি প্রথম জমির মালিক ক্রয় নিয়ে নিয়ে যাবে, আর বুর্মান মালিক তা বিক্রি করে দিবে মর্মে চুক্তি সম্পাদিত করবে। যেমন- আবদুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আবদুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আবদুল্লাহ তার জমিটি আবদুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আবদুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

এমতাবস্থায়, আবদুল্লাহ তার জমিটি ৫ লাখ টাকায় আবদুর রহমানের কাছে বিক্রি করে টাকা গ্রহণ করে নিবে। এভাবে আব্দুল্লাহ টাকার মালিক ও আবদুর রহমান জমিটির ভোগ দখলের মালিক হয়ে যাবে। তারপর ভিন্ন আরেকটি চুক্তি সম্পাদন করবে। যাতে লিখবে যে, যেদিন আবদুল্লাহ ৫ লাখ টাকা দিতে পারবে, সেদিন আবদুর রহমান জমিটি আবদুল্লাহের কাছে ৫ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিবে। এভাবে ভিন্ন দুটি চুক্তি সম্পাদিত করলে টাকা খরচ করা এবং জমিটি ভোগ দখলের মধ্যে অবৈধতার কোনো কিছুই বাকি থাকবে না। (বাহরুর রায়েক্ব, কিতাবুল বুয়ু’-বাবু খিয়ারিশ শরত ৬/৮; রদ্দুল মুহতার, কিতাবুল বুয়ু’ ৭/২৮১)। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত দেখুন (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮/২৪৪-২৪৫; শরহু মুখতাসারিত তহাবি ৩/১৪৯; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২১২; শরহুল মাজাল্লা, খালেদ আতাসি ৩/১৯৬-১৯৭; ইলাউস সুনান ১৮/৬৪; ইরওয়াউল গালিল হা/১৩৯৭)। আল্লাহু আলামু বিস সাওয়াব।

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/4958  নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে,

বন্ধককৃত জিনিষ থেকে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে চার মাযহাবে ভিন্নতর মতামত রয়েছে।এ মতবিরোধের সূচনা মূলত নিম্নোক্ত হাদীসকে ঘিরেই হয়েছিলো।যা হাদীসে মাশহুর গ্রন্থ সমূহে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে বর্ণিত রয়েছে।

নিম্নে সহীহ বুখারীর বর্ণনা উল্লেখ করা হলঃ-ইমাম বুখারী হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণনা করেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻘﻮﻝ ﺍﻟﺮﻫﻦُ ﻳُﺮﻛﺐ ﺑﻨﻔﻘﺘﻪ ﻭﻳُﺸﺮﺏ ﻟﺒﻦُ ﺍﻟﺪَّﺭِّ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻣﺮﻫﻮﻧﺎ

ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺮﻫﻦ » ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺮﻫﻦ ﻣﺮﻛﻮﺏ ﻭﻣﺤﻠﻮﺏ

খাদ্যর বিনিময়ে বন্ধককৃত জানোয়ারের উপর সওয়ার হওয়া যাবে,এবং দুধাল জানোয়ারের দুধও পান করা যাবে। (সহীহ বুখারী-২৩৭৬)

অতঃপর তিনি ৬নং পৃষ্টায় চার মাযহাবের ভিন্নতর মতামত উল্লেখ পূর্বক  আলোচনা করেনঃ-

و قد ظهر من هذه العبارات وغيرها من كلمات الثقات أنهم اختلفوا في الحديث المذكور علي أقوال أحدها :حمله علي ارتفاع الراهن وهو مسلك الشافعية وثانيها حمله علي ارتفاع المرتهن مطلقا وإن لم يأذن له الراهن وهو مسلك إمام الحنابلة وثالثها حمله علي ارتفاع المرتهن بإذن الراهن وهو مذهب جمهور علماء الأمة - ورابعها كونه منسوخا بتحريم القرض مع جر المنفعة،"ولا يخفى علي المنصف الغير المتعسف ان أعلى الأقوال  فيه هو حمله علي انتفاع المرتهن عند إذن الراهن ،لكن بشرط أن لا يكون مشروطا حقيقية او حكما كما سيأتي فيما يأتي

উপরোক্ত হাদীসের আলোকেবন্ধককৃত জিনিষ থেকে ফায়দা সম্পর্কীয়  হুকুম-আহকাম বর্ণনায় ফুকাহায়ে কেরামগণ ভিন্নতর  মতামত ব্যক্ত করেন।যথাঃ-

(১)ইমাম শা'ফী এর মতে বন্ধককৃত জিনিষ থেকে রাহিন(বন্ধকদাতা)এর জন্য ফায়দা গ্রহণ করা জায়েয।

(২)হাম্বলী মাযহাব অনুসারেমুরতাহিন(বন্ধকগ্রহীতা)এর জন্য উক্ত জিনিষ থেকে ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এক্ষেত্রে বন্ধকদাতার অনুমতি  কোনো প্রয়োজন নেই।

(৩)জমহুর উলামায়ে কেরামের মতে বন্ধকদাতার অনুমতিক্রমে বন্ধকগ্রহীতা উক্ত জিনিষ থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারবে।

(৪)রেহেন পদ্ধতির বৈধতা রহিত হয়ে গেছে।নবীজী সাঃ ঐ হাদীসের মাধ্যমে যেথায় তিনি বলেছেনঃ" যে সমস্ত ঋণ লাভকে টেনে নিয়ে আসবে তা হারাম"একজন নিরপেক্ষ বিচারকের সামনে নিঃসন্দেহে এ বিষয়ে কোনো অস্পষ্টতা থাকবে না যে,পুর্বে উল্লেখিত মতামত সমুহের মধ্যে সর্বোত্তম অভিমত হচ্ছে,"বন্ধকদাতার অনুমতিক্রমে বন্ধকগ্রহীতা উক্ত জিনিষ থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারবে।"তবে শর্ত হচ্ছে,ফায়দা গ্রহণের জন্য কোনোপ্রকার শর্তারোপ থাকতে পারবে না।না হাক্বীকি (প্রকাশ্যে) শর্ত থাকতে পারবে, বা উরফি (অপ্রকাশ্যে) শর্ত থাকতে পারবে।

অতঃপর তিনি হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কেরামদের বিরোধমূলক মতামত উল্লেখ করে একটি সিদ্ধান্তমূলক আলোচনার একপর্যায়ে ৯নং পৃষ্টায় উল্লেখ করেনঃ

إعلم أنهم بعد ما اتفقوا على انه لا يجوز للمرتهن الانتفاع بالرهن بدون إذن الراهن ،اختلفوا فى جوازه بالإذن على أقوال عديدة كما دلت عليها عباراتهم المختلفة ،(الأول) أنه جائز (الثاني)انه ليس بجائز ،(الثالث)انه جائز قضاء غير جائز ديانة (الرابع)ان الإذن ان كان مشروطا فهو غير جائز وإلا فهو جائز (الخامس)أنه ان كان الاذن مشروطا فهو حرام وان لم يكن مشروطا فهو مكروه ،واولى الأقوال المذكورة واصحهاواوفقها بالروايات الحديثية هو القول الرابع أن ما كان مشروطا يكره وما لم يكن مشروطا لا يكره ،أما كراهة المشروط فلحديث كون القرض الذي جر منفعة فهو ربا ،أما عدم كراهة غيرالمشروط فلحديث الظهر يُركب بنفقته ولبن الدر يشرب ،والمراد بالكراهة التحريمية كما يفيده تعليلهم بأنه ربا،وهي المرادة من الحرمة في قول من تكلم بحرمة المشروط ،فإن المكروه التحريمي قريب من الحرام ،بل كأنه هو ،ثم المشروط اعم من ان يكون مشروطا حقيقيا او حكما ،

বন্ধকদাতার অনুমতি সাপেক্ষে বন্ধককৃত মাল থেকে বন্ধকগ্রহীতার জন্য ফায়দা গ্রহণ সম্পর্কে হানাফী উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ পরিলক্ষিত হচ্ছে,যা তাদের স্ব সস্ব কিতাবের ইবারত থেকে তাই পরিলক্ষিত হচ্ছে।যথাঃ-

(১)জায়েয।

(২)না জায়েয।

(৩)কাযাআন (দুনিয়ার বৈচারিক নিমিত্তে) জায়েয,কিন্তু দিয়ানাতান(আল্লাহর কাছে)না জায়েয।

(৪)শর্ত থাকলে নাজায়েয,নতুবা জায়েয।

(৫)শর্ত থাকলে হারাম নতুবা মাকরুহ।(এভাবে অনেক মতামত পাওয়া যায় তবে)

চতুর্থ শ্রেণীর মতামতই হচ্ছে হাদীসের সাথে সবচেয়ে বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সর্বোত্তম বিশুদ্ধ।অর্থাৎ ফায়দা গ্রহণের শর্ত থাকলে মাকরুহ (তাহরীমি)নতুবা জায়েয।শর্ত থাকলে মাকরুহ কেননা হাদীসে এসেছে,"প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসবে তা সুদের অন্তর্ভুক্ত।আর শর্ত না থাকলে বৈধ মাকরুহ নয়।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি এর উপরোক্ত হাদীসে বৈধতার কথা এসেছে।মাকরুহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মাকরুহে তাহরীমি কেননা ফুকাহাগণ মাকরুহ হওয়ার কারণ রিবা উল্লেখ করছেন।এবং শর্ত থাকা ধরুণ যারা হারাম বলে থাকেনঃ তাদের হারাম বলা দ্বারা মাকরুহে তাহরীমি-ই উদ্দেশ্য।কেননা মাকরুহে তাহরীমি হারামের প্রায় কাঁছাকাঁছিই ।এমনকি  মাকরুহে তাহরীমি দ্বারা কখনো স্বয়ং হারামকেই উদ্দেশ্য নেয়া হয়।ফায়দা গ্রহণমূলক শর্তারোপ ব্যাপকতর প্রকাশ্যে শর্ত হোক বা অপ্রকাশ্যে শর্ত হোক। সবধরণের শর্তের কারণেই হারাম বলে প্রমাণিত হবে।

https://ifatwa.info/3833/  নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে,

প্রচলিত জমি বন্ধক পদ্ধতির বৈধ বিকল্প:

১. বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা উপকৃত হতে চাইলে এ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে যে বন্ধকি চুক্তি বাতিল করে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা পদ্ধতি অবলম্বন করবে। অর্থাৎ যত দিন পর্যন্ত ঋণের টাকা শোধ না হয় ঋণদাতা জমিটি ইজারা পদ্ধতিতে তা ভোগ করবে এবং তার ন্যায্য ভাড়াও মালিককে আদায় করবে।

এ ক্ষেত্রে ঋণ ও ইজারাচুক্তি দুটি ভিন্ন হতে হবে, দুটি চুক্তিকে মিলিয়ে একটি অপরটির ওপর শর্তযুক্ত হতে পারবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/৪৬৫, ইমদাদুল আহকাম ৩/৫১৮)

২. অথবা সে বন্ধকদাতার সঙ্গে ‘বাই বিল ওয়াফা’ চুক্তি করবে। অর্থাৎ বন্ধকগ্রহীতার কাছে ঋণী ব্যক্তি তার জমিটি বিক্রি করে দেবে এই ওয়াদার ওপর যে ঋণ পরিশোধ হওয়ার পর বন্ধকগ্রহীতা আবার জমিটি তার কাছে বিক্রি করে দেবে। এ ক্ষেত্রে বন্ধকগ্রহীতার মালিকানায় যত দিন থাকবে সে তা মালিক হিসেবে ভোগ করতে পারবে। (ইমদাদুল আহকাম : ৩/৫১১)

সম্মানিত প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন !

১. প্রথম ছুরতটি নিয়ে উলামায়ে কেরামের মাঝে মতোবিরোধ রয়েছে। কারণ, সাধারণত আমাদের সমাজে বন্ধক ও ইজারা চুক্তি এক সাথেই করা হয়ে থাকে বিধায় তা নাজায়েয। তবে জায়েয হবে ঐ সময়, যখন ঋণ ও ইজারাচুক্তি দুটি ভিন্ন হবে, দুটি চুক্তিকে মিলিয়ে একটি অপরটির ওপর শর্তযুক্ত করা যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/৪৬৫, ইমদাদুল আহকাম ৩/৫১৮)

২. ২য় ছুরতটি অর্থাৎ ‘বাই বিল ওয়াফা’ ছুরতে লেনদেন করলে তা জায়েয আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...