জবাবঃ-
বিবাহিত দম্পতি তারা বিশ্রামের সময় আনন্দ ফুর্তি করবে,এটাই স্বাভাবিক।তবে আনন্দ ফুর্তির কারণে নামায চলে যাবে,এটা হতে পারে না।বরং নামায অবশ্যই সবাইকে পড়তে হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلاَةَ فَاذْكُرُواْ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُمْ فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা নিসা-১০৩)
বর ও নববধু সবার উপর নামায ফরয।বিয়ের কারণে বাসর রাতের আনন্দ ফুর্তির কারণে নামায মাফ হবে না।বরং নামাযকে যত্নসহকারে পড়তে হবে।এমনকি নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় পূর্বক আরও বেশী আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া প্রয়োজন।
নামাযের দাওয়াত দেওয়া অত্যান্ত ফযিলতপূর্ণ কাজ।পূর্বেকার নেককারদের থেকে প্রমাণিত রয়েছে যে,ঐ নামাযই পরিপূর্ণ যা দাওয়াতের সাথে হবে।
দাওয়াত ও তাবলিগ হেকমতপূর্ণ হতে হবে।হেকমতপূর্ণ হওয়ার অর্থ হল,পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে এমন মুহুর্তে দাওয়াত হতে হবে,যখন দাওয়াত দিলে লোকজন মনেপ্রাণে সেই দাওয়াতকে গ্রহণ করে।মনে কোনো প্রকার উত্তোক্তি সৃষ্টি না হয়।এবং নরম ভাষায় হতে হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।[সূরা নাহল, আয়াত: ১২৫]
হেকমতের তাকাযা হল,
বর এবং নববধুকে পূর্বেই নামাযের গুরুত্বের কথা জানিয়ে দেয়া।এ সম্পর্কে কোনো ওয়াজ নসিহত শুনানো।এবং কোনো কিতাব পুস্তিকা হাদিয়া দেয়া।
যেহেতু নতুন বিবাহিত দম্পতিকে ফজরের সময়ে সরাসরি দরজায় ঢোকা দিয়ে জাগানো তাদের আনন্দ ফুর্তির দিকে ইঙ্গিত হয়ে যায়,যা সবার মনে সহসাই জেগে উঠে।তাই নতুন নতুন অবস্থায় তাদের কে এভাবে না জাগানোই হেকমত।
হ্যা এমন পরিবেশ তৈরী করা যায়,যাতেকরে তারা জাগানো ব্যতীত ঘুম থেকে উঠে যায়,এবং নামায পড়ে নেয়।
দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে শান্ত রাখতে হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
“আল্লাহ্র দয়ায় আপনি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছিলেন; যদি আপনি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতেন তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। কাজেই আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন।”[সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ১৫৯]
কেউ নামায না পড়লে এর দায়ভাড় অন্যর উপর আসবে না।বরং প্রত্যেককে নিজ নিজ সাজা ভোগ করতে হবে।
বিবাহিত দম্পতির ফরয দায়িত্ব হল,নামাযকে যত্নসহকারে আদায় করা।যদি তারা আদায় না করে, তাহলে এর সাজা তাদেরকে পেতে হবে।