আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
নামাজে সাংসারিক কোনো বিষয় প্রার্থনা করা। নামাজরত সাংসারিক/দুনিয়াবি কোনো দোয়া করলে হানাফি মাজহাব মতে নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৯, আল বাহরুর রায়েক ২/৩)। তবে এ মাসআলার ক্ষেত্রে অন্য মাজহাবের ভিন্নমত আছে।এখানে সাংসারিক মানে কি ধরনের কথা বুঝানু হয়েছে? সিজদায় গিয়ে ত বান্দা আল্লাহর কাছে তার মনের ইচ্ছা গুলোর কথা বলে থাকে।এখন নামাজত অবস্তুায় কি আমারা সাংসারিক কোন ধরনের কথা বলা যাবে না?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/7320/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
শরীয়তের বিধান হলো দুনিয়াবি দোয়া করলে নামাজ ভেঙে যায়।

দুনিয়াবি দোয়াঃ যেটা মানুষের কাছে থেকেও পাওয়া যায়,যেমন হে আল্লাহ আমাকে কাপড় দাও,বিবাহ দাও,এক লক্ষ টাকা দাও ইত্যাদি। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১০৫)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন

إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ»

নিশ্চয় এ নামায; এতে মানুষের মুখে প্রচলিত কথা বলা উচিত নয়। নিশ্চয় এটি তাসবীহ, তাকবীর এবং কুরআন তিলাওয়াতের স্থান। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩৭] 

قال العلامۃ التہانوي تحتہ: دل الحدیث علی أنہ لا یجوز في الصلاۃ شيء من کلام الناس، فتفرع علیہ أن الدعاء أیضاً إذا کان یشبہ کلامہم لا یجوز، وہو قول أبي حنیفۃ وأصحابہ وطاؤس وإبراہیم النخعي۔ (کذا في فتح الباري ۲؍۲۶۶، إعلاء السنن ۳؍۱۷۲ رقم: ۸۹۳ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
থানবি রহঃ বলেন উক্ত হাদীস দালালত করে যে নামাজের ভিতর দুনিয়াবি কথাবার্তা বলা জায়েজ নেই।সুতরাং দুনিয়াবি দোয়া যেটা মানুষের কথার সাথে সাদৃশ্য রাখে,সেটি বলাও জায়েজ নেই।    


নামাযের  শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।
সেজদায় গিয়ে سبحان  ربي الأعلى 
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
আরো জানুনঃ  
.

والدعاء بما یشبہ کلامنا نحو: اللّٰھم ألبسني ثوب کذا أو أطعمني کذا أو أقض دیني أو أرزقني فلانۃ علی الصحیح؛ لأنہ یمکن تحصیلہ من العباد۔ (مراقي الفلاح)
দুনিয়াবি দোয়াঃ যেটা মানুষের কথার সাথে সাদৃশ্য রাখে,যেমন হে আল্লাহ আমাকে উমুক কাপড় দাও,ঐ খাবার দাও,ওই মহিলার সাথে বিবাহ দাও,আমার করজ শোধ করে দাও ইত্যাদি। 

وفي الطحطاوي: وذکر في البحر عن المرغیناني ضابطاً: فقال الحاصل أنہ إذا دعا في الصلاۃ بما جاء عن القراٰن أو في الماثور لا تفسد صلا تہ، وإن لم یکن في القراٰن أو الماثور فإن استحال طلبہ من العباد لا یفسد وإلاَّ یفسد۔ (طحطاوي ۱۷۶، درمختار مع الشامي ۲؍۳۷۷ زکریا، شرح الوقایۃ ۱؍۱۶۴، حاشیۃ الطحطاوي ۳۲۱) 
সারমর্মঃ কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া হলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 
কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া না হলে যদি সেটি "মানুষের কাছ থেকে চাওয়া সম্ভব হয়" জাতীয় দোয়া হয়, তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
অন্যথায় নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি নামাযের বাহিরে দুনিয়াবি, সাংসারিক  দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ"  কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...