আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (51 points)

আমার এক মেহেমানের কিছু খাবার নিয়ে আমার বাসায় আসার কথা। আর আমাকে তাকে এগিয়ে নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু আমি কোন কারণে যেতে পারলাম না। এনিয়ে আমার বিবি আমার সাথে রাগারাগি কোরে। আমি রাগ করে হটাত বললাম - 
এইসব গু গোবর নিয়ে কে আস্তে  বলছে ? অজ্ঞতা ও রাগের মাঝে এই কথা বলেছি। এতে কি কোন গুনা হবে। হলে কোণ ধরনের গোনা। 

 

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَن أبي هُرَيْرَة قَالَ: مَا عَابَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَعَامًا قَطُّ إِنِ اشْتَهَاهُ أَكَلَهُ وَإِنْ كرهه تَركه

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কোন খাদ্যের দোষ প্রকাশ করেননি। অবশ্য মনে ধরলে খেয়েছেন। আর অপছন্দ হলে পরিত্যাগ করেছেন। 
(সহীহ : বুখারী ৩৫৬৩, মুসলিম (২০৬৪)-১৮৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৪৩৭, আবূ দাঊদ ৩৭৬৩, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৫০১৭, তিরমিযী ২০৩১, ইবনু মাজাহ ৩২৫৯, আহমাদ ১০৪২১।)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ-
(مَا عَابَ النَّبِىُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَعَامًا قَطُّ) 

‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবারে দোষ ধরতেন না।’’ হাফিয ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বৈধ খাবারের দোষ ধরেননি। তবে হারাম খাবারের দোষ ধরতেন এবং তা খেতে নিষেধ করতেন। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ খাবার খাওয়ার আদব হলো তার দোষ ধরবে না। অর্থাৎ এরূপ বলবে না এটা টক, এটা সিদ্ধ হয়নি বা পাকেনি এটা পাতলা, এটা মোটা ইত্যাদি।

(إِنِ اشْتَهَاهُ أَكَلَهٗ وَإِنْ كَرِهَهٗ تَرَكَهٗ) ‘‘খাদ্যের প্রতি তার আগ্রহ থাকলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা খেতেন অন্যথায় তা পরিত্যাগ করতেন। যেমন দব্বের ব্যাপারে যা ঘটেছিল। এটা তার অপছন্দ ছিল তাই তিনি তা খাননি। এটা দোষ বর্ণনা নয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫৪০৯; শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৬৪; ‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭৫৯; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৩১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
খাবারের দোষ না ধরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সুন্নাতের খেলাফ কাজ হয়েছে।
এতে গুনাহ হবেনা।

তবে উক্ত কথা যদি আপনি মেহমানকে বলে থাকেন,সেক্ষেত্রে মেহমান কষ্ট পাওয়ার দরুন আপনার গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমার এখন মনে পরছে না উক্ত কথা কি মেহেমান কে বলছি নাকি আর মেহেমান তো এ সময় অনুপস্থিত ছিল। তাহলে মেহমানের কাছে কি মাফ চেয়ে নিব? 
by (574,050 points)
স্ত্রী থেকে বিষয়টি জেনে নিবেন।
স্ত্রী যদি বলে যে মেহমান বিষয়টি শুনেছে,তাহলে মেহমান থেকে মাফ চেয়ে নিবেন।
by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, 
দেশে বিদেশে অনেক সময় অনলাইনে কুপন কোড পাওয়া যায়। এই কুপন কোড ব্যবহার করলে পণ্যের দাম কিছুটা কম হয়। আমার প্রশ্ন হল  কুপন দিয়ে কিছু ক্রয় করা জায়েজ ?
by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, 
দেশে বিদেশে অনেক সময় অনলাইনে কুপন কোড পাওয়া যায়। এই কুপন কোড ব্যবহার করলে পণ্যের দাম কিছুটা কম হয়। আমার প্রশ্ন হল  কুপন দিয়ে কিছু ক্রয় করা জায়েজ ?
by (574,050 points)
কিভাবে এই কুপন কোড পাওয়া যায়,সেই বিষয় জানালো ভালো হতো।

আরো জানুনঃ- 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...