জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ بَكَّارِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخْبَرَنِي أَبِي عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا جَاءَهُ أَمْرُ سُرُورٍ أَوْ بُشِّرَ بِهِ خَرَّ سَاجِدًا شَاكِرًا لِلَّهِ صحيح
আবূ বাকরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোনো খুশির খবর আসলে অথবা তিনি কোনো সুসংবাদ পেলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়াস্বরূপ সাজদাহয় পড়ে যেতেন।
(আবু দাউদ ২৭৭৪)
سجد كعب بن مالك رضي الله عنه حين جاءه خبر توبة الله عليه . رواه البخاري (4418) ومسلم (2769) .
সারমর্মঃ
হযরত কা'আব বিন মালিক রাঃ এর কাছে যখন তওবা কবুলের খবর এসেছিলো,তখন তিনি সেজদাহ করেছিলেন।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সেজদায়ে শোকর আদায় করা সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত।
এর পূর্ণ পদ্ধতি হলো শোকর আদায়ের নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা।
সেক্ষেত্রে নামাজের মধ্যে কোনো বাংলায় দোয়া করা যাবেনা। এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
শোকরানা সেজদা হিসেবে কেহ যদি শুধু সেজদাহ আদায় করে,সেটিরও অনুমতি রয়েছে।
অযু অবস্থায় তাকবির বলে কিবলার দিকে হয়ে সেজদায় যাবে,মহান আল্লাহর প্রশংসা করবে,শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে,তাসবিহ পাঠ করবে,তাকবির বলে উঠে যাবে।
আরো জানুনঃ-
(০১)
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤]
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শেজদায়ে শোকর যেহেতু নফল ইবাদত,তাই এক্ষেত্রেও কেবলার দিক হতে হবে।
তবে কিছু কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এক্ষেত্রে কেবলার দিক হওয়া আবশ্যক নয়,সেক্ষেত্রে তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে সিজদায়ে শোকর,সিজদায়ে তেলাওয়াত, নামাজ, সকল বিধান একই।
অর্থাৎ অপবিত্র অবস্থায় অথবা অযু বিহিন জায়েজ নেই।
কেহ যদি এমনটি করে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া সেজদা করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ " . قَالَ هَنَّادٌ فِي حَدِيثِهِ " إِلاَّ بِطُهُورٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ
ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না। হান্নাদ 'বিগাইরি তুহুর' এর স্থলে ইল্লা বিতুহূর’ উল্লেখ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭২) তিরমিজি ০১)
আবু ঈসা বলেন, এই অনুচ্ছেদে এ হাদীসটিই সবচাইতে সহীহ এবং উত্তম।
★তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে সেজদায়ে শোকর, সেজদার আয়াত তেলাওয়াত করে সেজদা দেয়ার জন্য ত্বাহারাত বা পবিত্রতা শর্ত নয়। সুতরাং ওযু না থাকলেও সিজদায়ে শোকর সিজাদায়ে তেলাওয়াত দেয়া জায়েয রয়েছে।
,
তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।