বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
ওয়াকফ সম্পত্তির মালিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4254
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মসজিদের প্রয়োজনে মসজিদের ঐ জায়গা যেখানে এখনো নামাযের ব্যবস্থা করা হয়নি,সেই জায়গাকে বিক্রি করে মসজিদের কাজে লাগানো যাবে।
لأهل المحلة تحويل باب المسجد... لهم تحويل المسجد إلی مکان آخر إن ترکوه بحيث لايصلی فيه ولهم بيع مسجد عتيق لم يعرف بانيه وصرف ثمنه في مسجد آخر.
মহল্লাবাসী মসজিদের দরজাকে পরিবর্তন করতে পারবে........ এমনকি মহল্লাবাসী মসজিদকে এক স্থান থেকে অন্যত্র পরিবর্তন করতে পারবে যদি লোকজন তাতে নামায পড়া ছেড়ে দেয়। তাছাড়া পুরাতন বিরান এমন মসজিদ যে মসজিদের নির্মাতা সম্পর্কে জানা যায় না, সেই মসজিদকে বিক্রি করারও সুযোগ রয়েছে।এবং সেই মসজিদের মূল্যকে ভিন্ন মসজিদে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।(রদ্দুল মুহতার-৪/৩৫৭,দারুল ফিকর,বায়রুত থেকে প্রকাশিত)
حوض أو مسجد خرب وتفرق الناس عنه فللقاضي أن يصرف أوقافه إلی مسجد آخر ولو خرب أحد المسجدين في قرية واحدة فللقاضي صرف خشبة إلی عمارة المسجد الآخر.
যদি কোনো হাউজ বা এমন মসজিদ পরিত্যাক্ত হয়ে যায়, এবং লোকজন তাতে নামায না পড়ে, তাহলে কাজী সাহেব(আদালত) উক্ত মসজিদের যাবতীয় সম্পত্তিকে ভিন্ন কোনো মসজিদে মালিকানায় দিয়ে দিবে। যদি কোনো এক মহল্লাতে দু'টি মসজিদ থাকে, এবং কোনো একটি পরিত্যাক্ত হয়ে যায়, তাহলে কাযী সাহেব(আদালত) এর জন্য রুখসত রয়েছে যে, তারা পরিত্যাক্ত মসজিদের সরঞ্জামকে অন্য মসজিদের নির্মাণে ব্যবহার করে নেবে। (আল বাহরুর রায়েক-৫/২৭৩, দারুল মা'রেফাহ বাইরুত থেকে প্রকাশিত, এবং মাজমাউল আনহুর ফি শরহে মুলতাকাল আবহুর-২/৫৯৫-আব্দুর রহসান ইবনে মুহাম্মদ কর্তৃক লিখিত,দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ কর্তৃক প্রকাশিত)
لوخرب المسجد وماحوله وتفرق الناس عنه لايعود إلی ملک الوقف عند أبي يوسف فيباع نقضه بإذن القاضي ويصرف ثمنه إلی بعض المساجد.
ابن عابدين شامي، رد المحتار، 4: 359
مرغيناني، الہداية شرح البداية، 3: 20، المکتبة الإسلامية
ابن الہمام، شرح فتح القدير، 6: 236، بيروت: دار الفکر
زيلعي، تبيين الحقائق، 3: 330، القاہرة: دار الکتب الإسلامي
যদি কোনো মসজিদ পরিত্যাক্ত হয়ে যায়,এবং তার আশপাশও জনশূন্য হয়ে যায়,এবং লোকজন এদিক সেদিক চলে যায় তাহলে ইমাম আবু ইউসুফ রাহ এর মতে উক্ত জায়গা ওয়াকফকারীর মালিকানায় দ্বিতীয়বার যাবে না, তখন কাযী সাহেবের অনুমতিক্রমে সেই মসজিদকে বিক্রি করে তার মূল্য ভিন্ন কোনো মসজিদে দেয়া যাবে।
(রদ্দুল মুহতার-৪/৩৫৯, হেদায়া-৩/২০,আল-মাকতাবাতুল ইসলামিয়্যাহ কর্তৃক প্রকাশিত,ফতহুল ক্বাদির-৬/২৩৬-দারুল ফিকর বাইরুত থেকে প্রকাশিত,তাবয়ীনুল হাক্বাইক-যায়লাী-৩/৩৩০,দারুল কুতুবিল ইসলামি)
عن شمس الأئمة الحلواني أنه سئل عن مسجد أو حوض خرب وليحتاج إليه لتفرق الناس عنه هل للقاضي أن يصرف أوقافه إلی مسجد أو حوض آخر؟ فقال نعم.
ابن عابدين شامي، رد المحتار، 4: 359
الشيخ نظام وجماعة من علماء الهند، الفتاوی الهندية، 4: 478، بيروت: دار الفکر
শামসুল আইম্মা হুলওয়ানী রাহ কে জিজ্ঞাসা করা হল, ঐ মসজিদ বা হাউজ সম্পর্কে যা পরিত্যাক্ত হয়ে গেছে,এবং তার জরুরতও এখন আর নাই,বরং লোকজন এদিক সেদিক চলে গেছে, তাহলে ঐ মসজিদ বা হাউজকে কি অন্য কোনো মসজিদের জন্য খরচ করা যাবে, তিনি জবাবে বলেন, জ্বী, হ্যা করা যাবে। (রদ্দুল মুহতার- ৪/৩৫৯,ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৪/৪৭৮ দারুল ফিকর বাইরুত,
আল্লামা শামী রাহ আরো বলেন,
ولا سيما في زماننا فإن المسجد أو غيره من رباط أو حوض إذا لم ينقل يأخذ أنقاضه اللصوص والمتغلبون کما هو مشاهد وکذلک أوقافه يأکلها النظار أو غيرهم ويلزم من عدم النقل خراب المسجد الآخر المحتاج إلی النقل إليه.
ابن عابدين شامي، رد المحتار، 4: 360
বিশেষত আমাদের জামানায় মসজিদ, আস্তাবল বা হাউজকে যখন ভিন্ন কোনো স্থানে স্থানান্তরিত করা হবে না, তখন চুর বা ল্যান্ডমাফিয়ারা তাতে হস্তক্ষেপ করে নিবে, যেমনটা আমাদের সামনে অহরহ ঘটছে। ঠিকতেমনিভাবে তত্বাবধায়ক বা কর্তৃপক্ষও হজম করে নেয় অনেক সময়। তাই উক্ত মসজিদকে বিক্রয় করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা না হলে, অন্য এমন মসজিদ যার অনেক প্রয়োজনিয়তা রয়েছে, সেই মসজিদটিও পরিত্যাক্ত থেকে যায়। ফলাফল, প্রথমটি লোকজন না থাকায় পরিত্যাক্ত এবং দ্বিতীয়টি অর্থাভাবে পরিত্যাক্তের মত। (রদ্দুল মুহতার-৪/৩৬০)