জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)কুরআন শরীফে এসেছেঃ
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ
আল্লাহ তায়ালা কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নজরের হেফাজত না করার আপনার ঐ বন্ধুরই হবে।
আপনার নয়।
,
তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি যদি এমন হয় যে আপনার কারনেই সে ওখানে গিয়েছে,তাহলে তার গুনাহে আপনার কিছুটা সহযোগিতা পাওয়া গেলো।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
(০২)
সেখানে খাওয়া হারাম নয়,হালাল।
তবে গান শোনার গুনাহ হবে।
,
(০৩)
হ্যাঁ সেখানকার হালাল খাবার খাওয়া যাবে।
,
(০৪)
মা যদি পর্দা না করে,তাহলে মাকে ভালোভাবে হেকমতের সহিত বুঝাইতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘জেনে রেখ, তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারবর্গের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’ -সহীহ বুখারী ১/২২২ হাদীস ৮৯৩
আপনি যদি আপ্রান চেষ্টা করেন দ্বীনের পথে চলানোর জন্য,তারপরেও তিনি না শোনে,তাহলে আপনি তার সাথে বাহিরে যাওয়া বন্ধ করে দিবেন।
তাহলেই তিনি আপনার কথা মানবেন বলে আশা করছি।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে আপনার মায়ের শুধু গুনাহ হবে।
আপনার নয়।
তবে আপনি যদি আপ্রান চেষ্টা করে না বুঝান,তাহলে আপনারও গুনাহ হবে।
,
(০৫)
বাসায় বন্ধুদের আসতে বলবেন,তবে আপনার মার পর্দার যেনো কোনো সমস্যা না হয়,সেটা লক্ষ্য রাখবেন।
,
তাকে অন্য ঘরে রাখবেন।
,
যদি অবস্থা এমন হয় যে এহেন পরিস্থিতিতে পর্দা রক্ষা করে চলা আপনার মায়ের কোনোভাবেই সম্ভবপর নয়,তাহলে আপনার বন্ধুদেরকে আনবেননা।
মানা করে দিবেন।