আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
467 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (61 points)

১.হুরমত এর বিষয়গুলো জানার পর থেকে,  আমার মায়ের শরীরে আঙ্গুল লাগলেই (২/১ সেকেন্ড এর জন্যও) কিরকম যেনো ফিল হয়, এমনকি গুপনাঙ্গেও কেমন একটা যেনো ফিল হয়, কিন্তু লিঙ্গ দাড়ানোর দিকে যাচ্ছে এমনটা লাগে কিন্তু উনার সাথে কোনো অন্য রকম চিন্তার প্রশ্নই আসে না।  আগে তা হতো না ভয়ে উনার গায়ে হাত ও দেওয়া হচ্ছে না, ননমাহরাম থেকে আরো বেশি সতর্কে থাকতে হচ্ছে,  অনেক কষ্টে আছি। জানতে চাই, এরকম অনুভুতির জন্য ও কি হুরমত হবে?

এবং কিরকম ফিল আসলে আর এর প্রমান সরুপ লিংক কতোটুকু দারালে হুরমত হবে? এবং কতোক্ষন স্পর্শ থাকতে হবে?

২. আমার উনাকে নিয়ে কোনো বাজে ভাবনার ধারে কাছেও নাই, তাও উনার স্পর্শে কখনো যদি উত্তেজনা হয় ও তবে কি হুরমত হবে? উনাকে নিয়ে বাজে ভাবনা নাই।

৩. উনাকে নিয়ে বাজে ভাবনা না থাকার পরেও যদি উনি স্পর্শ করলে,  ওসওয়াসার কারনে ও অনিচ্ছায় যদি বাজে চিন্তা চলে আসে,  তখন কি হুরমত হবে? স্বইচ্ছায় উনাকে নিয়ে এসব ভাবার প্রশ্নই আসে না।

৪. কাপড়ের উপর হুরমত হয় না, তবে পাতলা যদি হয় যে উষ্ণতা বুঝা যায় হবে স্পর্শে হুরমত হবে, এই পাতলা কাপড় বলতে কিরকম? আমরা স্বাভাবিক যে কাপড় পড়ি তা কি এই কেটাগরির? স্বাভাবিক সুতি কাপড়?একটু কি বুঝাবেন?

৫. আমি একদিন টায়াড হয়ে মায়ের পায়ের কাছে ঘুমিয়ে পরি স্বপ্নে দেখি যে আমি আমার বউএর হাতে চুমো দিচ্ছি ঘুম ভেঙ্গে দেখি মায়ের পায়ে মুখ লাগানো, তখন উনার পা ঢাকা ছিলে পাতলা কাথা দিয়ে, এই কাথার উপর ও কি হুরমত হবে? স্বপ্নে উত্তেজনার রেশ হয়তো তখনো ছিলো, লিংগ স্বাভাবিক না কি দাড়ানোর পথে ছিলো মনে নাই।

৬. স্বপ্নে বা অন্য কারণে জাগ্রত অবস্থায় উত্তেজিত হয়ে লিঙ্গ দাড়ানো অবস্থায় মা/মেয়েকে স্পর্শ করলে তাদের সাথে সহবাসের ইচ্ছে না থাকলে কি হুরমত হবে? 

৭. আমি কনডম পরে সহবাস করলে দ্রুত বের হয়ে যায়, একটা ওয়েবসাইটে দেখেছি, যে মাথা ঠান্ডা রেখে হস্তমৈথুন করার পেকটিস  করলে এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করপ, এই সমস্যা সমাধানের জন্য কি কনডম পরে হস্তমৈথুন করা যাবে? চিকিৎসা হিসাবে?  (বউ দূরে থাকে)

৮.  মুসলিম জাতিকে "ওরা/তারা" বললে কি কুফর হবে? যেমন' "যারা মুসলিম তারা ইদের সময় সেমাই খায়, তারা নামাজ পরে" এরকম বললে কি নিজেকে এই সমাজের বাইরে বিবেচনা করছে এমন বলে কি তাকফির করা যায়?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যাকে স্পর্শ করা হবে,সেই নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।নতুবা হুরমত হবে না।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)( কিতাবুন-নাওয়যিল-৮/২৮৮) (হুরমত আউর এহতিয়াতি তাদাবির-৪৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1233

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হুরমত সম্পর্কে আপনার অর্ধেক জানাশোনা থাকার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আপনি অর্ধেক জানেন এবং অর্ধেক জানেন না। সেই জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ বিষয়টা ভালভাবে জানতে হবে।

হুরমতের উল্লেখযোগ্য শর্ত হল, সহবাসের ইচ্ছা নিয়ে স্পর্শ করা। যেহেতু মায়ের সহবাসের ইচ্ছা কোনো সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষ করতে পারে না, তাই মায়ের সাথে স্পর্শ বা দৃষ্টি দ্বারা কোনোক্রমেই হুরমত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

(৭)বিজ্ঞ কোনো চিকিৎসক পরামর্শ দিলে হস্তমৈথুনকে চিকিৎসা হিসেবে করা যাবে,নতুবা করা যাবে না।

(৮)মুসলিম জাতিকে "ওরা/তারা" বললে কুফর হবে না। যেমন' "যারা মুসলিম তারা ইদের সময় সেমাই খায়, তারা নামাজ পরে" এরকম বললে নিজেকে এই সমাজের বাইরে বিবেচনা করা হবে না। তবে যদি কেউ নিজেকে মুসলিম সমাজের বাহিরে নিয়ত করে এমনটা বলে, তাহলে তার ঈমান থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (61 points)
মুফতি সাহেব তাহলে কি উপরের কেনো ছুরতেই হুরমত হবে না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...