ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী।যথা-(১)সূর্যোদয়ের সময়(২)সূর্যাস্তের সময় (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়।আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ।উপরোক্ত তিন সময়।(৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের নামাযের আগে ও পরে (৫)আছরের নামাযের পরে।(শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়)সুতরাং এই পাঁচ সময়ে যেকোনো প্রকার নফল নামায,চায় তাহিয়্যাতুল ওজু হোক বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হোক, সবই মাকরুহ।প্রথম তিন প্রকারে মাকরুহে তাহরিমীর বিধান রয়েছে।আর শেষ দুই প্রকারে প্রকাশ্যে কোথাও পাইনি।তবে যতটুকু সম্ভব মনে হচ্ছে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/8219
চার মাযহাব সম্বলীত নির্ভর্যোগ্য ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-ফেকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ"
ولكن اتفق ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة أوقات، فقالوا: إن الصلاة المفروضة لا تنعقد فيها أصلاً،
ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর যখনই আদায় করা হোক না কেন?সেটা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।চায় তিন মাকরুহ ওয়াক্তের কোনো ওয়াক্তেই আদায় করা হোক না কেন?হানাফি উলামায়ে কেরাম ঐ মাকরুহ তিন ওয়াক্ত সম্পর্কে মতবিরোধ করেন।তারা বলেন,ঐ সময়ে মূলত নামাযই আদায় হবে না।(এই মতানৈক্য ফরয নামাযকে নিয়ে)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/471
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়লে ঐ নামাজ কবুল হবে না।