ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, কিসারে মুফাসসাল তথা সুরা যিলযাল থেকে নিয়ে সুরা নাস পর্যন্ত ছোট ছোট সূরার ক্ষেত্রে মাঝখানে এক সূরা বাদ দিয়ে পরের রাকাতে অন্য সূরা পড়া মাকরূহ।
তবে ভুলক্রমে বা না জানার কারণে করলে মাকরূহ হবে না।
প্রথম রাকাতে ছোট কিরাত ও দ্বিতীয় রাকাতে লম্বা কিরাত মাকরূহ।
ফরজ নামাযে প্রথম রাকাতে যে সূরা পড়া হয়, পরের রাকাতে তার আগের সূরা পড়া মাকরূহ।এছাড়া অন্যান্য নামাযে মাকরূহ হবে না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কিসারে মুফাসসাল তথা সুরা যিলযাল থেকে নিয়ে সুরা নাস পর্যন্ত ছোট ছোট সূরার ক্ষেত্রে যেগুলো সুরা তেমন ছোট বড় নয়,অনেকটক কাছাকাছি, সেগুলো পড়ার ক্ষেত্রে ১ম রাকাতে বড় আর পরের রাকাতে তার কাছাকাছি তুলনামূলক ছোট সূরা পড়া হলেও নামাজ মাকরুহ হবেনা।
সেই হিসেবে ১ম রাকাতে ইখলাস আর ২য় রাকাতে সুরা ফালাক পড়া হলে মাকরুহ হবেনা।
(০২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা-৪৩)
শতচেষ্টার পরও কোনো মহিলা পর্দা সম্মত অজু ও নামাযের স্থান না পায়। এবং তখন অজুর তুলনায় তায়াম্মুমকে পর্দার জন্য সুবিধাজনক মনে হয়, তাহলে মহিলা তায়াম্মুম করে নামাযকে আদায় করে নিবে।
যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে,যাতে নিজেকে পুরপুরুষের দৃষ্টি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে।
যেহেতু পর্দা সম্মত নামাযের ব্যবস্থার চেষ্টা সে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত করেছে, তাই তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত ঐ নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না। বরং তা যিম্মা থেকে আদায় হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি কেউ পর্দার সাথে অজু ও নামায পড়ার চেষ্টা ব্যতীত ওয়াক্তের প্রথমেই তায়াম্মুম করে নেয়,এবং ঐ তায়াম্মুম দ্বারা নামায আদায় করে নেয়, তাহলে এই তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত নামাযকে পানি দ্বারা অজু সহ আবার পূনরায় আদায় করতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তায়াম্মুম কর নামাজ পড়ে নিবেন,পরবর্তীতে বাসায় গিয়ে অযু করে উক্ত নামাজ দোহরিয়ে নিবেন।
★দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া অসম্ভব হলে বসে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
যানবাহনে বসে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
★বাসে বা অন্য কোথাও গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে নামাজ পড়তে হলে মুখ খোলা যাবেনা।
পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করতে হবে।
★বাইরে যদি শুধু ফরয সালাত কোনভাবে আদায় করতে পারেন, আর বাসায় আসার আগে যদি সেই ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় তাহলে বাসায় এসে কোনো সুন্নাত নফল আদায় করতে হবেনা।
সুন্নাত নফল নামাজের কোনো কাজা নেই।
(০৩)
কবরের আযাব থেকে মুক্তির জন্য সূরা মূলক মাগরিবের সালাতের পরই পড়লে আশা করা যায় ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ ।
বাকারার শেষ ২ আয়াতের আমলও মাগরিবের পর করা যাবে।
তবে সূরা মুলকের আমল ইশার পর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ অবলম্বনে ঘুমানোর আগে করারই নিয়ম।
তাই ঘুমানোর আগে করারই অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।