আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম
মুহতারাম, আমার ফুফুকে দুই সন্তানসহ রেখে তার স্বামী নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৪ বছর পরে তার সন্ধান পাওয়া যায় যে সে রাঙামাটিতে থাকে এবং বিবাহ করেছে। তার সেখানেও দুইটা সন্তান হয়েছে। এখন ১৯ বছর হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত সে কোন ভরন পোষণ দেয় নাই এবং কোন খোঁজ খবরও রাখে নাই। আমার ফুফু এবং তার দুই সন্তান এত দিন আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য সহযোগীতায় দিন কাটিয়েছে। ১৯ বছর পরে সে বাড়িতে এসে আমার ফুফুর সাথে ঘর-সংসার করতে চায়। এতো বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর কি তাদের বিবাহ বহাল আছে নাকি তালাক হয়ে গেছে?

বিস্তারিত মাসয়ালা জানালে কৃতজ্ঞ হবো।

1 Answer

0 votes
by (687,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/40258/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «امْرَأَةُ الْمَفْقُودِ امْرَأَتُهُ حَتَّى يَأْتِيَهَا الْبَيَانُ».

মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিরুদ্দিষ্ট বা দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ব্যক্তির সংবাদ তার স্ত্রীর নিকটে না পৌছা পর্যন্ত ঐ স্ত্রী তারই থাকবে।
(সুনানে দারা কুতনি ৩/৩১২৫৫)

وَعَنْ عُمَرَ - رضي الله عنه - فِي امْرَأَةِ الْمَفْقُودِ: تَرَبَّصُ أَرْبَعَ سِنِينَ, ثُمَّ تَعْتَدُّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا. أَخْرَجَهُ مَالِكٌ, وَالشَّافِعِيُّ

উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নিরুদ্দিষ্ট (দীর্ঘদিন অনুপস্থিত) পুরুষের স্ত্রীকে চার বৎসর কাল অপেক্ষা করার জন্য বলেছেন। অতঃপর সে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে।
(মুয়াত্তা মালিক ১২১৯)

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ فَقَدَتْ زَوْجَهَا فَلَمْ تَدْرِ أَيْنَ هُوَ فَإِنَّهَا تَنْتَظِرُ أَرْبَعَ سِنِينَ ثُمَّ تَعْتَدُّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ثُمَّ تَحِلُّ قَالَ مَالِك وَإِنْ تَزَوَّجَتْ بَعْدَ انْقِضَاءِ عِدَّتِهَا فَدَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا أَوْ لَمْ يَدْخُلْ بِهَا فَلَا سَبِيلَ لِزَوْجِهَا الْأَوَّلِ إِلَيْهَا قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا وَإِنْ أَدْرَكَهَا زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ تَتَزَوَّجَ فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا قَالَ مَالِك وَأَدْرَكْتُ النَّاسَ يُنْكِرُونَ الَّذِي قَالَ بَعْضُ النَّاسِ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ قَالَ يُخَيَّرُ زَوْجُهَا الْأَوَّلُ إِذَا جَاءَ فِي صَدَاقِهَا أَوْ فِي امْرَأَتِهِ قَالَ مَالِك وَبَلَغَنِي أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ فِي الْمَرْأَةِ يُطَلِّقُهَا زَوْجُهَا وَهُوَ غَائِبٌ عَنْهَا ثُمَّ يُرَاجِعُهَا فَلَا يَبْلُغُهَا رَجْعَتُهُ وَقَدْ بَلَغَهَا طَلَاقُهُ إِيَّاهَا فَتَزَوَّجَتْ أَنَّهُ إِنْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا الْآخَرُ أَوْ لَمْ يَدْخُلْ بِهَا فَلَا سَبِيلَ لِزَوْجِهَا الْأَوَّلِ الَّذِي كَانَ طَلَّقَهَا إِلَيْهَا قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي هَذَا وَفِي الْمَفْقُودِ 

সাঈদ ইবন মুসায়্যিব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেন, যেই স্ত্রীর স্বামী নিরুদ্দেশ-জানে না সে কোথায়, সে স্ত্রী চারি বৎসর অপেক্ষা করিবে। অতঃপর চারমাস দশদিন ইদ্দত পালন করিবে। তারপর অন্যত্র তাহার বিবাহ হালাল হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর সে যদি বিবাহ করে তবে স্বামী তাহার সাথে সংগম করুক বা না করুক তাহার পূর্ববর্তী স্বামীর জন্য তাহাকে গ্রহণ করার কোন পথ নাই। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহাই আমাদের সিদ্ধান্ত। আর বিবাহের পূর্বে তাহার সহিত প্রথম স্বামীর সাক্ষাত হইলে তবে তিনিই অধিক হকদার হইবেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কিছু লোক বলিয়া থাকে যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেনঃ প্রথম স্বামী আসিলে তাহাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে (দ্বিতীয় স্বামী হইতে) মহর ফেরত লওয়া অথবা (মহর ফেরত না লইয়া) স্ত্রী ফেরত লওয়া।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) এই ধরনের ইখতিয়ার দিয়াছেন বলিয়া কিছু লোককে অস্বীকার করিতে পাইয়াছি।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেন, স্বামী স্ত্রীর নিকট উপস্থিত নাই, এমন স্ত্রীকে স্বামী তালাক দিয়াছে। অতঃপর স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহণ করিতে চাহিয়াছে। কিন্তু সে যে রুজু করিতে চাহিয়াছে এই খবর তাহার স্ত্রীর নিকট পৌছে নাই। শুধু তাহাকে তালাক দেওয়ার সংবাদই সে পাইয়াছে। তাই সে স্বামী গ্রহণ করিয়াছে। দ্বিতীয় স্বামী তাহার সহিত সংগত হউক না হউক প্রথম স্বামী যে তাহাকে তালাক দিয়াছিল তাহার পক্ষে স্ত্রীকে পাওয়ার আর কোন পথ নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে এবং নিরুদ্দেশের বিষয়ে আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহা আমার নিকট পছন্দনীয়।
(মুয়াত্তা মালেক ১২১০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
স্বামী হারিয়ে গেলে তার সম্পর্কে  কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে শরীয়তের নিয়ম হলো স্ত্রীর জন্য ৪ বছর অপেক্ষা করা।
তবে খোরপোশ না থাকা,গুনাহের আশংকা থাকা ইত্যাদি কারনে স্ত্রী চাইলে এতো দিন অপেক্ষা করতে না চাইলে আদালতের স্বরনাপন্ন হবে।

স্বামী হারিয়ে গেলে স্ত্রী বিষয়টি আদালতে পেশ করবে।
তারা এক্ষেত্রে স্ত্রীকে যতদিন অপেক্ষার কথা বলবে,ততদিন অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১০/৭০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী যেহেতু আদালতের স্বরনাপন্ন হয়নি,বিবাহ বিচ্ছেদ করেনি,এখন স্বামীও যদি তাকে তালাক না দিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 
তাদের মাঝে তালাক হয়নি।
,
তারা আবারো ঘর সংসার করতে চাইলে সেটি বৈধ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...